পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া পাকিস্তানের গুপ্তচর হিসেবে কাজ করছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া বাংলাদেশের স্বার্থ না দেখে পাকিস্তানের স্বার্থ দেখেন। তিনি এখনও পাকিস্তানের ভাবধারায় বিশ্বাসী।
গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের হলরুমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বামী ও প্রখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম এ ওয়াজেদ মিয়ার ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
খালেদা জিয়ার সমালোচনা করে হাছান বলেন, খালেদা জিয়া ১৯৯১ সালের নির্বাচন করেছেন আইএসআইয়ের টাকায়। এখনও আইএসআইয়ের কাছ থেকে নিয়মিত মাসোহারা নেন খালেদা। তিনি বলেন, যে রাজনীতিবিদ পাকিস্তানের গোয়েন্দা সংস্থার কাছ থেকে অর্থ সংগ্রহ করেন, তিনি বাংলাদেশে রাজনীতিতে থাকার যোগ্যতা রাখেন না। যারা যুদ্ধাপরাধীদের পক্ষে কথা বলে তারা বাংলাদেশে রাজনীতি করার অধিকার রাখেন না। আমি সরকারের কাছে এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, যে দল ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে প্রার্থী দেয়ার ক্ষেত্রে মনোনয়ন বাণিজ্য করে তাদের কাছে জাতি কি আশা করতে পারে। বিএনপির কাউন্সিল অনেক দিন আগে হলেও এখনও তারা পূর্ণাঙ্গ কমিটি দিতে পারছে না। এখানেও বাণিজ্য হচ্ছে কিনা তাও ভাবার বিষয়।
বঙ্গবন্ধু পরিবারের সাফল্যে কথা তুলে ধরে হাছান মাহমুদ বলেন, প্রধানমন্ত্রী পুত্র সজিব ওয়াজেদ জয় কম্পিউটার বিজ্ঞানে দু’বার উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। মেয়ে পুতুল বিশ্বের নামকরা অটিজম বিশেষজ্ঞ। শেখ রেহানার ছেলে ববি সিদ্দিক উচ্চতর ডিগ্রি অর্জন করেছেন। অপর দৌহিত্র টিউলিপ সিদ্দিক বৃটিশ পার্লামেন্টের এমপি। এই অর্জন পরিবারের জন্যই হয়েছে। তাই আমি আজকের এই দিনে ড. ওয়াজেদ মিয়াকে স্মরণ করছি।
নিজামীর ফাঁসির রায় কার্যকরের বিষয়ে হাছান বলেন, মতিউর রহমান নিজামীর ফাঁসির আদেশ হয়েছে। এই রায়ের প্রতিক্রিয়ায় পাকিস্তান যেমন প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে। তখন বেগম খালেদা জিয়া বলেছে প্রতিহিংসার রায় বাস্তবায়ন করছে সরকার।
সংগঠনের সভাপতি মো. শাহাদাত হোসেন টয়েলের সভাপতিত্বে ড. ওয়াজেদ মিয়ার স্মরণ সভায় আরও বক্তব্য রাখেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মন্ত্রী শামসুল হক টুকু, আওয়ামী লীগের উপ কমিটির সহ সম্পাদক বলরাম পোদ্দার, এমএ করিম, স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান আলম সাজু প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।