পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : হিমালয় কন্যা নেপালের সঙ্গে বাণিজ্য বাড়াতে বৈঠক করছেন বাংলাদেশ ও নেপালের বাণিজ্য সচিবরা। বাংলাদেশ-নেপাল সচিব পর্যায়ের এটি তৃতীয় বৈঠক। গতকাল (মঙ্গলবার) বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মলেন কক্ষে সকাল ১০টায় দুই দিনব্যাপী এ বৈঠক শুরু হয়। বৈঠকে ১৮ সদস্যবিশিষ্ট বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব হেদায়েত আল মামুন। নেপাল প্রতিনিধি দলের নেতৃত্বে সে দেশের বাণিজ্য সচিব নায়ন প্রসাদ উপাধ্যায়া।
বৈঠকে দুই দেশের বাণিজ্য বাড়াতে ১১টি ইস্যু চিহ্নিত করে আলোচনা চলছে। বুধবার (১১ মে) নেপালি প্রতিনিধি দল বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহমেদের সঙ্গে বেলা ১১টায় সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। এরপর দুপুরে দুই দেশের মধ্যে কয়েকটি চুক্তি সম্পাদন হওয়ার কথা রয়েছে। এরপর দুপুর আড়াইটায় অনুষ্ঠিত হবে যৌথ সংবাদ সম্মেলন।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, বাংলাদেশ-নেপাল বাণিজ্য বৃদ্ধির উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে।
এই সম্ভাবনা বহুমাত্রিক; যেমন নেপালে বাংলাদেশি পণ্যের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অন্যদিকে নেপালে উৎপাদিত জলবিদ্যুৎ বাংলাদেশে আমদানির সম্ভাবনা আছে। নেপাল স্থলবেষ্টিত দেশ হওয়ায় বাংলাদেশের সমুন্দবন্দর ব্যবহার করে রেল ও সড়ক পথে ট্রানজিটের মাধ্যমে পণ্য আমদানিতে নেপালের উৎসাহ রয়েছে। দুই দেশের সচিব পর্যায়ের এই বৈঠকে বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হবে।
সূত্র জানায়, যে ১১টি বিষয়ের ওপর আলোচনা হচ্ছে তা হলো- বাংলাদেশ-নেপালের মধ্যে ট্রানজিটের মাধ্যমে কার্গো পরিবহনের পদ্ধতি নির্ধারণ, উভয় দেশের পণ্য আমদানিতে পারস্পারিক শুল্ক সুবিধা দেয়া, কাকরভিটা-পানি ট্যাংকি-ফুলবাড়ি বাণিজ্যপথ পুরোপুরি চালু, রেল যোগাযোগ স্থাপনে রোহনপুর-সিংবাদ রেলপথ ব্যবহার করে নেপালে পণ্য পরিবহন, টেকনিক্যাল ব্যারিয়ার টু ট্রেড (টিবিটি) দূর করার লক্ষ্যে সেনেটারি ও ফাইটো সেনেটারি (এসপিএস) ব্যবস্থা সমন্বিতকরণ, বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য নেপালে বিজনেস ভিসা সহজ করা এবং নেপালি নাগরিকদের বাংলাদেশে আসার ক্ষেত্রে অনএরাইভেল ভিসা চালু, এক দেশ অন্য দেশের বাণিজ্য মেলায় অংশগ্রহণ, দু’দেশের পর্যটন শিল্প বৃদ্ধি, নেপালের জলবিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ, ফার্মাসিউটিক্যাল পণ্যের নিবন্ধন সহজ করা ও বাংলাদেশ ট্রেডিং করপোরেশন (টিসিবি) এবং পাবলিক ট্রেডিং করপোরেশন অব নেপালের (পিটিসিএন) মধ্যে সরকারি পর্যায়ে জরুরি পণ্য সরাসরি ক্রয়-বিক্রয় সম্পর্কিত সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর।
উল্লেখ্য, গত ২০১৪-১৫ অর্থবছরে নেপালে বাংলাদেশি পণ্যের রফতানির পরিমাণ ছিল ২৫ মিলিয়ন ডলারের ওপরে। আর নেপাল থেকে বাংলাদেশ আমদানি করে সাড়ে ১১ মিলিয়ন ডলারের পণ্য।
বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপালের মধ্যে আঞ্চলিক বাণিজ্য বাড়ানো ও ট্রানজিট বাণিজ্য গড়ে তোলার লক্ষ্যে গত বছরের ১৫ জুন বিবআইএন মোটর ভেহিক্যাল এগ্রিমেন্ট (এমভিএ) স্বাক্ষরিত হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।