পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় উপলক্ষে রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আওয়ামী লীগের বিজয় সমাবেশ আজ। দেশ বরেণ্য শিল্পীদের গানের মাধ্যমে শুরু হবে বিজয় আনন্দ।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি সমাবেশে দিক নির্দেশনামূলক বক্তব্য দেবেন। জাতীয় নেতৃবৃন্দও সমাবেশে বক্তব্য রাখবেন। সমাবেশ শুরু হবে দুপুর আড়াইটায়। তবে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান শুরু হবে দুপুর বারোটায়। সকাল এগারোটায় সমাবেশস্থলে প্রবেশের গেইট খুলে দেয়া হবে।
দলের হ্যাটট্রিক বিজয়কে স্মরণীয় করে রাখতে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রতীক নৌকার আদলে তৈরি করা হয়েছে বিশাল মঞ্চ। সমাবেশ মাঠে ছোট-বড় ৫০-এর অধিক নৌকা ও বৈঠাসহ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বঙ্গবন্ধু কন্যা আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ফেস্টুনে সুসজ্জিত করা হয়েছে। এছাড়া রাজধানী ঢাকার বিভিন্ন সড়ক সজ্জিত করা হয়েছে।
বিজয় সমাবেশকে বিজয় আনন্দে রূপ দিতে বরণ্যে শিল্পীরা বিভিন্ন গান পরিবেশন করবেন। এ লক্ষ্যে মূল বিজয় মঞ্চের সামনে পৃথকভাবে আরেকটি মঞ্চ করা হয়েছে। মূল মঞ্চের ব্যাকগ্রাউন্ডে একাদশ জাতীয় সংসদের নির্বাচনি ইশতেহারের মলাটের রঙ’র আদলে সজ্জ্বিত করা হয়েছে। দুপুর ১২টার পর সংগীত শিল্পীরা বিভিন্ন গান পরিবেশন শুরু করবেন। দুপুর আড়াইটার পর আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সমাবেশস্থলে আসবেন। আওয়ামী লীগ সভাপতির আগমনের সময় শিল্পী মমতাজ গান পরিবেশন করবেন এবং মঞ্চে আসন গ্রহণের পর ‘জিতেছে এবার নৌকা’ গানের শিল্পীরা সমবেত কণ্ঠে গান পরিবেশন করবেন। বিজয় সমাবেশ গান পরিবেশন করবেন শিল্পী মমতাজ বেগম, আঁখী আলমগীর, রফিকুল আলম, ফাহমিদা নবী, কল্পনা মজুমদার, জলের গান এবং ‘জিতবে এবার নৌকা’ গানের শিল্পীরা। এরপর দলের নেতারা বক্তব্য রাখবেন।মূল অনুষ্ঠান পরিচালনা করবে দলের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ এবং উপ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক আমিনুল ইসলাম আমিন।
এদিকে বিজয় সমাবেশ সফল করার লক্ষ্যে সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে আওয়ামী লীগ। এ উপলক্ষে গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভার আয়োজন করে। তথ্যমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ এতে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন। তিনি শনিবারের বিজয় সমাবেশ, উৎসব নয় উল্লেখ করে নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেন, সমাবেশ বর্ণিল কিন্তু সুশৃঙ্খল হবে। নেত্রীর বক্তব্য শেষ হওয়া পর্যন্ত সবাই উপস্থিত থাকার নির্দেশনাও দেন তিনি।
এছাড়াও ঢাকার আশেপাশের জেলাগুলোর নেতারা বর্ধিত সভায় ব্যাপক জনসমাগমের প্রস্তুতি নিয়েছেন।
এদিকে সমাবেশের মঞ্চ, সাজসজ্জা, মাঠ পরিষ্কার করা হয়েছে। খাবারের পানি, পয়:নিষ্কাশনের ব্যবস্থাসহ সকল পস্তুতি রাখা হয়েছে। সমাবেশস্থলে কেউ হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্যও ব্যবস্থা থাকবে। সমাবেশে শৃঙ্খলা বজায় রাখার জন্য নেতা-কর্মীদের মিছিলে বহন করে আনা ব্যানার, ফেস্টুন নিয়ে সমাবেশস্থলে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছে। উদ্যানের ৬টি গেইটের মধ্যে শিখা চিরন্তন গেইট দিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এবং জাতীয় নেতৃবৃন্দ, ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশনের গেইট দিয়ে আমন্ত্রিত অতিথিরা প্রবেশ করবেন।
তিন নেতার মাজার সংলগ্ন গেইট, বাংলা একাডেমীর সামনের গেইট, টিএসটি গেইট ও চারুকলার সামনের গেইট দিয়ে দলীয় নেতা-কর্মীরা প্রবেশ করবেন। সমাবেশস্থলকে নান্দনিক শৈল্পিকভাবে সাজানো হয়েছে। সমাবেশের বিশাল প্যান্ডেলে প্রায় ত্রিশ হাজার চেয়ার বসানো হবে বলে জানানো হয়। অনুষ্ঠানে কয়েক লাখ লোকের সমাবেশ হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতারা।
৫২ হাজার লাল-সবুজের পতাকা উড়াবে যুবলীগ: দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামী লীগের যে কোনো সভা সমাবেশে ভিন্ন মাত্রা এনে দেয় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগ। আজকের বিজয় উৎসবে ভিন্নমাত্রা দিতে লাল-সবুজের পতাকা ও লাল ফিতা হাতে নিয়ে মাঠে থাকবে সংগঠনের ৫২ হাজার নেতাকর্মী। এজন্য সব ধরনের প্রস্ততি শেষ করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট জানিয়েছেন, আজকের বিজয় সমাবেশকে বিশেষভাবে স্মরণীয় করতে রাখতে ইতোমধ্যে সব ধরনের পস্তুতি শেষ করা হয়েছে। ২৫ টি থানা ও ৭৫ টি ওয়ার্ডের নেতাদের ডেকে একাধিক বর্ধিত সভা করে নেতাকর্মীকে উপস্থিত থাকতে প্রয়োজনীয় দিকনিদের্শনা দেওয়া হয়েছে। তিনি জানান, প্রত্যেক ওয়ার্ড থেকে ৭০০ নেতাকর্মী লাল-সবুজের গেঞ্জি পরিবিহত হয়ে মিছিল নিয়ে নিধারিত সময়ের আগেই সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে উপস্থিত হবেন। তাদের হাতে জাতীয় ও দলীয় পতাকা এবং লাল ফিতা থাকবে। রাষ্ট্র নায়ক শেখ হাসিনা যখন বক্তৃতা করবেন পতাকা নেড়ে তাকে স্বাগত জানানো হবে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।