পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সহযোগিতা চেয়েছে ঢাকা। সামনের দিনগুলোতে অর্থনৈতিক কূটনীতিতে জোর দেবে বাংলাদেশ। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন ঢাকার বিদেশি কূটনীতিকদের ব্রিফিংয়ে এ তথ্য উল্লেখ করে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় অনুষ্ঠিত কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে ঢাকায় অবস্থিত বিদেশি ৫৫টি মিশনের মিশন প্রধানরা উপস্থিত ছিলেন। একাদশ সংসদ গঠনের পর গতকালের ব্রিফিংটি ছিল এই সরকারের সঙ্গে কূটনীতিকদের প্রথম আনুষ্ঠানিক আলাপ-আলোচনা।
কূটনৈতিক ব্রিফিংয়ে সবাইকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ‘বাংলাদেশ অন মার্চ টুওয়ার্ডস প্রসপারিটি, ইলেকশন মেনিফেস্টো ২০১৮ অব বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ’- শীর্ষক একটি পুস্তিকা দেওয়া হয়। সেখানে বর্তমান সরকারের খাতওয়ারি উন্নয়ন পরিকল্পনা এবং বিগত আমলে অর্জিত সব সাফল্যের উল্লেখ রয়েছে। ব্রিফিং শেষে ঢাকার কূটনীতিক কোরের প্রধান ও ভ্যাটিকান সিটির রাষ্ট্রদূত আর্যবিশপ জর্জ কোচেরি গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, বর্তমান সরকারের নির্বাচনী ইশতেহার, আগামী দিনের পরিকল্পনা (ভিশন) সম্পর্কে জানান হয়েছে। আগামী দিনে অর্থনৈতিক কূটনীতিতে সাফল্য লাভের জন্য সবার কাছে সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সদ্যসমাপ্ত ভোট নিয়ে কূটনীতিকদের কেউ কোনো প্রশ্ন করেনি এবং এই বিষয়ে কোনো আলোচনা হয়নি উল্লেখ করে রাষ্ট্রদূত আর্যবিশপ জর্জ কোচেরি বলেন, কূটনীতিকদের পক্ষ থেকে আমি পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানিয়েছি। ড. এ কে আবদুল মোমেনকে বলেছি, তার নতুন মিশন বাস্তবায়নে আমাদের সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে। এর আগে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, ব্রিফিংয়ে সদ্য অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পর্কে সবাইকে জানানো হবে। বাংলাদেশের ইতিহাসে একাদশ সংসদ নির্বাচন যে শান্তিপূর্ণ ও সব দলের অংশগ্রহণে অনুষ্ঠিত হয়েছে, তার পরিসংখ্যান তুলে ধরা হবে। এ ছাড়া ভোটে যে সব অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে, সে সম্পর্কে নির্বাচন কমিশনের নেওয়া পদক্ষেপও তুলে ধরা হবে। এজন্য ব্যাপক প্রস্তুতিও নেয়া ছিল। কিন্তু ব্রিফিংয়ে ভোটের প্রসঙ্গটাই সবাই এড়িয়ে গেছেন।
কূটনৈতিক ব্রিফিং সম্পর্কে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রিফিংয়ে নতুন সরকারের অর্থনৈতিক কূটনীতির বিষয়গুলো সবার সামনে বিস্তারিত আকারে তুলে ধরেন। আগামী ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে উন্নীত হওয়া, ২০৩০ সালের মধ্যে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জন এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত বিশ্বে পরিণত হতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সবার সহযোগিতা চেয়েছেন।
বিশ্বে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য বাংলাদেশ অব্যাহতভাবে কাজ করে যাচ্ছে উল্লেখ করে গতকালের ব্রিফিংয়ে অগ্রাধিকার বিষয় হিসেবে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সবার সমর্থন চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
কূটনীতিকদের বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দুর্নীতি বিষয়ে বাংলাদেশ জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছে। দুর্নীতির সঙ্গে কোনো আপস হবে না।
এ ছাড়া নারী ও তরুণ সম্প্রদায়ের ক্ষমতায়ন, বাণিজ্য-বিনিয়োগ এবং সরকারি-বেসরকারি অংশিদারিত্ব বিষয়ে কূটনীতিকদের কাছে বিশেষ সহযোগিতা চেয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আবদুল মোমেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।