Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভারত থেকে ১৩০০ রোহিঙ্গার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ১৮ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৪ এএম

মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর আশঙ্কায় ভারত থেকে বাংলাদেশে পালিয়ে আসছে রোহিঙ্গারা। চলতি বছরের ৩ জানুয়ারি থেকে ১৬ জানুয়ারির মধ্যে অন্তত ১৩০০ রোহিঙ্গা সেখান থেকে পালিয়ে বাংলাদেশে এসেছে। ভারতের এক কর্মকর্তার বরাতে এই তথ্য জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিজনেস ডে।
প্রতিবেদন বলা হয়, মিয়ানমারে সহিংসতা ও নিপীড়নের শিকার হয়ে বিভিন্ন সময়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গার সংখ্যা প্রায় ৪০ হাজার। এদের বেশিরভাগই বসবাস করছে আশ্রয় শিবিরে। আবার অবৈধভাবে প্রবেশের অভিযোগে অনেককে রাখা হয়েছে অভিবাসী আটক কেন্দ্রে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন হিন্দু জাতীয়তাবাদী সরকার রোহিঙ্গাদের অবৈধ অভিবাসী উল্লেখ করে তাদের ভারতের নিরাপত্তার জন্য হুমকি হিসেবে আখ্যায়িত করে আসছে। ২০১২ সাল থেকে অনুপ্রবেশের দায়ে ভারতে কারাভোগ করা সাত রোহিঙ্গাকে গত বছরের ৪ অক্টোবর মিয়ানমারে ফেরত পাঠায় ভারত। গত ৩ জানুয়ারি দ্বিতীয় দফায় আরও পাঁচজন রোহিঙ্গাকে মিয়ানমার কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়। বৈধ কাগজপত্র ছাড়া ভারতে প্রবেশের অভিযোগে ২০১৪ সালে স্বামী-স্ত্রী ও তাদের তিন সন্তানের পরিবারটিকে উত্তর-পূর্ব আসামে গ্রেফতার করা হয়েছিল। কারাভোগও করেছে তারা।
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠানোর ঘটনায় সমালোচনার মুখে পড়েছে ভারত। জাতিসংঘসহ আরও অনেক অনেক আন্তর্জাতিক ও মানবাধিকার সংগঠন তাদের নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। রাখাইনে সহিংসতার চলমান থাকার পরও ভারতের এমন পদক্ষেপের সমালোচনা করেছে ব্রিটিশ মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। জাতিসংঘের শরণার্থী কনভেশনে স্বাক্ষর করেনি ভারত। ২০১৮ সালে তারা ২৩০ জন রোহিঙ্গাকে গ্রেফতার করে। কট্টরপন্থীরা হিন্দুরা বারবারই তাদের বিতারণের দাবি জানাচ্ছিলো। ফলে সেখানে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা ছিল শঙ্কার মধ্যে।
জাতিসংঘ ও অন্যান্যা বিদেশি মানবাধিকার সংগঠন সমন্বয়কারী প্রতিষ্ঠান ইন্টারসেক্টর কো-অর্ডিনেশন গ্রুপের মুখপাত্র নয়ন বোস বলেন, ৩ জানুয়ারি রোহিঙ্গাদের নতুন এই ঢল শুরু হয়। তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত ভারত থেকে বাংলাদেশে ৩০০ পরিবারের মোট ১৩০০ রোহিঙ্গা বাংলাদেশে এসেছে। তাদের সবাইকে জাতিসংঘের ট্রানজিট সেন্টারে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে।’ জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মুখপাত্র ফিরাস আল খাতিব বলেন, তারা বিষয়টি সম্পর্কে অবগত।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রোহিঙ্গার বাংলাদেশে অনুপ্রবেশ
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ