পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বিএনপি চেয়ারর্পাসন খালেদা জিয়াকে অসুস্থতার কারণে গ্যাটকো মামলায় আদালতে হাজির করা হয়নি। তার পায়ে ফোঁড়া ওঠায় আদালতে হাজির করতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ। গতকাল বুধবার পুরান ঢাকার বকশীবাজারস্থ আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু সৈয়দ দিলজার হোসেনের আদালতে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা গ্যাটকো মামলার শুনানিতে এসব কথা জানান রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী। পরবর্তী চার্জ শুনানির তারিখ ২৪ জানুয়ারি ধার্য করেন আদালত। এদিন খালেদা জিয়াসহ এ মামলার সব আসামিকে হাজির করার নির্দেশ দেন আদালত।
গ্যাটকো মামলায় গতকাল খালেদা জিয়াকে আদালতে হাজির করার দিন ধার্য ছিল। তবে অসুস্থ থাকায় তাকে আদালতে হাজির না করে আদালতে কাস্টডি ওয়ারেন্ট পাঠায় কারা কর্তৃপক্ষ। কাস্টডি ওয়ারেন্টে উল্লেখ করা হয়, খালেদা জিয়া শারীরিকভাবে অসুস্থ, তাই তাকে আদালতে উপস্থিত করানো যায়নি। আর শুনানিতে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, খালেদা জিয়ার পায়ে ফোঁড়া ওঠায় তাকে আদালতে আনা সম্ভব হয়নি। তাই কারা কর্তৃপক্ষ কাস্টডি ওয়ারেন্ট পাঠিয়েছে।
অপরদিকে খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বলেন, আমরা জানতে পেরেছি খালেদা জিয়া অসুস্থ। তার পায়ে ফোঁড়া হয়েছে। তার অনুপস্থিতিতে মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির কোনো সুযোগ নেই। শুনানি শেষে আদালত ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াসহ এ মামলার সব আসামীকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন। ওইদিন এ মামলার অভিযোগ গঠনের বিষয়ে পরবর্তী শুনানির তারিখ ধার্য করা হয়েছে। গত ১০ জানুয়ারি কারাবন্দী খালেদা জিয়াকে গ্যাটকো মামলায় ১৬ জানুয়ারি হাজির করার নির্দেশ দিয়ে প্রোডাকশন ওয়ারেন্ট জারি করে ছিলেন আদালত।
শুনানি যা হল : মামলার কার্যক্রম শুরুতে দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, মামলাটি চার্জ শুনানির জন্য আছে। মামলার প্রধান আসামি খালেদা জিয়া কাস্টডিতে আছেন। তাকে আজ হাজির করতে পারিনি। তিনি অনুপস্থিত থাকলেও অন্যান্য আসামিরা চার্জ শুনানি করতে পারেন। তিনি বলেন, এ মামলায় জামিনে থাকলেও খালেদা জিয়া অন্য মামলায় দন্ডপ্রাপ্ত। তিনি বর্তমানে কারাগারে আছেন। তার অনুপস্থিতিতে অন্য আসামিরা শুরু করতে পারেন। খালেদা জিয়া আদালতে আসলে তার পক্ষে শুনানি করা হবে। অন্য আসামিরা শুরু না করলে কার্যক্রম এগিয়ে নিতে পারবো না। খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বলেন, খালেদা জিয়া কাস্টডিতে আছেন। অসুস্থ থাকায় আদালতে আসেননি। আমরা তার উপস্থিতিতে চার্জ শুনানি করতে চাই। যেহেতু খালেদা জিয়া কাস্টডিতে আছে, সেহেতু তার অনুপস্থিতিতে চার্জ শুনানি করলে আইন সম্মত হবে না। ইচ্ছা থাকলে, প্রস্তুতি থাকলেও অন্য আসামির পক্ষে চার্জ শুনানি শুরু করলে আইনের খেলাপ হয়ে যাবে। আইনকে প্রতিপালন করে এগোতে হবে। মোশাররফ হোসেন কাজল বলেন, উপস্থিত অন্য আসামিরা শুরু করতে পারেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়া সম্মানিত লোক। তাকে তো জোর করে আনা যাবে না। যতটুকু জেনেছি খালেদা জিয়ার পায়ে ফোঁড়া উঠেছে, এজন্য উনি আসেননি। অন্যরা শুরু করুক। এসময় মাসুদ আহম্মেদ তালুকদার বলেন, যখন সব আসামির উপস্থিতি নিশ্চিত হবে তখন শুনানি করার আবেদন করেন। এরপর অন্য আসামির আইনজীবীরাও চার্জ শুনানি পেছানোর আবেদন করেন।
আসামি পক্ষের আরেক আইনজীবী তাজুল ইসলাম বলেন, আসামির অনুপস্থিতিতে মামলার অভিযোগ গঠন শুনানির কোনো সুযোগ নেই।
উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত বলেন, দীর্ঘদিন মামলাটির বিচার কার্যক্রম বন্ধ ছিল। আপনারা এখনও চার্জ পিটিশন দাখিল করবেন বলে আপনার সময় চাচ্ছেন? এর আগেও পিটিশন দিতে পারতেন। হাইকোর্ট মামলাটি ছয় মাসের মধ্যে নিষ্পত্তির নির্দেশ দিয়েছেন। মামলাটি নিষ্পত্তি করতে আপনাদের সহযোগিতা চাই। এরপর আদালত পরবর্তী চার্জ শুনানির তারিখ ২৪ জানুয়ারি ধার্য করেন।
প্রসঙ্গত, ২০০৭ সালের ২ সেপ্টেম্বর দুদকের উপ-পরিচালক মো. গোলাম শাহরিয়ার বাদি হয়ে খালেদা জিয়া, তাঁর ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করেন। মামলাটি তদন্ত করে ২০০৮ সালের ১৩ মে চারদলীয় জোট সরকারের নয় জন সাবেক মন্ত্রী ও উপমন্ত্রীসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের উপপরিচালক মো: জহিরুল হুদা অভিযোগপত্র দাখিল করেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।