পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রখ্যাত সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবীর আর নেই। গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টায় তিনি রাজধানীর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে ইন্তেকাল করেছেন। ইন্নানিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৭২ বছর। তাঁর মৃত্যুর সংবাদে সাংবাদিক সমাজে শোকের ছায়া নেমে আসে। সহকর্মীরা তাকে দেখতে হাসপাতালে ছুটে যান।
আমানুল্লাহ কবীর শেষ সময়ে অনলাইনভিত্তিক সংবাদপত্র বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমের সিনিয়র সম্পাদক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। তবে তিনি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থার (বাসস) ব্যবস্থাপনা পরিচালক, দৈনিক আমার দেশের প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ও ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টারের বার্তা সম্পাদক ছিলেন। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি আমানুল্লাহ কবীর ১৯৪৭ সালের ২৪ জানুয়ারি জামালপুরে জন্মগ্রহণ করেন।
মরহুম কবীরের ছেলে শাতিল কবীর জানান, আমানউল্লাহ কবীর বেশ কিছুদিন ধরেই ডায়াবেটিস ও লিভারের জটিলতায় ভুগছিলেন। অসুস্থতা নিয়ে দুই সপ্তাহ আগে শ্যামলীর ঢাকা সেন্ট্রাল ইন্টারন্যাশনাল হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে তাঁকে বিএসএমএমইউতে নেওয়া হয়। সেখানেই চিকিৎসারত অবস্থায় ইন্তেকাল করেন।
সাংবাদিক নেতা আমানুল্লাহ কবীরের দ্বিতীয় জানাজা গতকাল সাড়ে ১১টার দিকে জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্পন্ন হয়। জানাজার পর তাঁর দীর্ঘদিনের সহকর্মীরা শ্রদ্ধা জানান। জাতীয় প্রেসক্লাব, বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) দুই অংশ, ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের দুই অংশ, বিএনপি, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি, ফটো জার্নালিস্ট ইউনিয়ন, জামালপুর সমিতি, বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংস্কৃতিক ফোরাম প্রভৃতিসহ বিভিন্ন সাংবাদিক, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক সংগঠনের পক্ষ থেকে মরহুমের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানানো হয়। এর আগে ফজরের নামাজের পর কল্যাণপুরের দারুস সালাম ফুরফুরা শরীফ মসজিদে মরহুমের প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
প্রেসক্লাব কর্তৃপক্ষ জানায়, আমানুল্লাহ কবীরের লাশ তাঁর নিজ জেলা জামালপুরে নিয়ে যাওয়া হবে। আজ (বৃহস্পতিবার) মেলান্দহ উপজেলার রেখিরপাড়া উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে তৃতীয় দফা জানাজার পর পারিবারিক কবরস্থানে বাবা-মায়ের পাশে তাকে দাফন করা হবে।
ড. কামাল ও মির্জা ফখরুলের শোক প্রকাশ
আমানুল্লাহ কবীরের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন. এই গুণী সাংবাদিক নেতার মৃত্যুতে দেশ ও সাংবাদিক সমাজের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। অপর এক শোকবার্তায় প্রখ্যাত সাংবাদিক আমানুল্লাহ কবীরের মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করতে তার ভূমিকা ছিল প্রশংসনীয়। তার লেখনি ছিল সমসময়ই সত্য ও ন্যায়ের পক্ষে। তার সততা, নিষ্ঠা ও কর্তৃত্ববোধ সর্বজনস্বীকৃত ও প্রশ্নাতীত। সাংবাদিকতায় তার অবদান অনিস্বীকার্য। গণমাধ্যমের স্বাধীনতা হরণের এই দুঃসময়ে তার মৃত্যুতে গণতন্ত্রকামী মানুষের হৃদয়ে গভীর বেদনার সৃষ্টি করেছে। নেতৃবৃন্দ মরহুমের রুহের মাগফিরাত কামনা করে শোকাহত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।