পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গত বছর ১ অক্টোবর থেকে চালু হয়েছে মোবাইল নম্বর পোর্টেবিলিটি (এমএনপি) বা নম্বর অপরিবর্তিত রেখে অপারেটর পরিবর্তন করার সেবা। নতুন এই সেবা চালুর পর থেকেই সাড়া ফেলেছে মোবাইল ফোন গ্রাহকদের মধ্যে। নম্বর পরিবর্তনের ঝামেলা না থাকায় সেবার মান নিয়ে অসন্তুষ্ট গ্রাহকরা এক অপারেটর থেকে অন্য অপারেটরে যুক্ত হচ্ছেন। এমএনপি সেবা চালুর প্রথম তিন মাসেই এক লাখ ৬ হাজার ৩৪৩ জন গ্রাহক সফলভাবে অপারেটর পরিবর্তন করেছেন। অন্যদিকে আগ্রহ থাকলেও এবং চেষ্টা করেও অপারেটর পরিবর্তন করতে ব্যর্থ হয়েছেন ৮৫ হাজার ৩৬৮ জন গ্রাহক। মোবাইল ফোন সেবা প্রদানকারী ৪টি অপারেটরের (গ্রামীণফোন, রবি, বাংলালিংক ও টেলিটক) মধ্যে গ্রামীণফোনই সবচেয়ে বেশি গ্রাহক হারিয়েছে। গত তিন মাসে অপারেটরটির ৪৯ হাজার ৬৫৮জন গ্রাহক অন্য অপারেটরে যুক্ত হয়েছে। যদিও এই সময়ে গ্রামীণফোন অন্য তিন অপারেটর থেকে ১০ হাজার ৪৯১ জন গ্রাহক পেয়েছে। এমএনপির ফলে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেয়েছে রবি আজিয়াটা। এই সেবা চালু হওয়ার প্রথম তিন মাসেই তিন অপারেটরের সেবায় অসন্তুষ্ট হয়ে ৭২ হাজার ৫জন গ্রাহক তাদের নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে।
টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ সংস্থা বিটিআরসি’র একটি পরিসংখ্যান থেকে জানা যায়, গত বছর ১ অক্টোবর এমএনপি সেবা চালু হওয়ার পর প্রথম মাসেই ৭৬ হাজার ৩৪৭জন গ্রাহক বিদ্যমান অপারেটরের সেবায় অসন্তুষ্ট হয়ে অপারেটর পরিবর্তনের জন্য আবেদন করে। এর মধ্যে ৪৪ হাজার ৩১২টি সফলভাবে পরিবর্তিত হয়। আর বাতিল হয় ৩২ হাজার ৩৫জন। নভেম্বর মাসে আবেদন করে ৫৮ হাজার ৮১২ জন। এর মধ্যে সফলভাবে পরিবর্তিত হয় ৩২ হাজার ৭৭৩ জন এবং বাতিল হয় ২৬ হাজার ৩৯ জন। ডিসেম্বর মাসে ৫৬ হাজার ৫৫২জন গ্রাহক অপারেটর পরিবর্তনের আগ্রহ প্রকাশ করে। এর মধ্যে সফলভাবে পরিবর্তিত হয় ২৯ হাজার ২৫৮টি এবং বাতিল হয় ২৭ হাজার ২৯৪ জনের আবেদন।
এমএনপির ফলে সবচেয়ে বেশি গ্রাহক হারিয়েছে গ্রামীণফোন। প্রথম তিন মাসেই তাদের ৪৯ হাজার ৬৫৮ জন গ্রাহক অন্য অপারেটরের নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে। এর পরেই রয়েছে বাংলালিংক। তারা এই সময়ে গ্রাহক হারিয়েছে ৩৪ হাজার ২৫৬ জন, রবি হারিয়েছে ২০ হাজার ৪০৬ জন এবং রাষ্ট্রায়াত্ত¡ অপারেটর টেলিটক হারিয়েছে ২ হাজার ২৩জন গ্রাহক। এমএনপি সেবায় সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে রবি আজিয়াটা। প্রথম তিন মাসে বিভিন্ন অপারেটর থেকে সর্বাধিক ৭২ হাজার ৫জন গ্রাহক তাদের নেটওয়ার্কে যুক্ত হয়েছে। একই সময়ে বাংলালিংকে যুক্ত হয়েছে ২২ হাজার ৩২৫ জন, গ্রামীণফোনে ১০ হাজার ৪৯১ জন এবং টেলিটকে যুক্ত হয়েছে এক হাজার ৫২২জন গ্রাহক।
বিটিআরসির পরিসংখ্যান থেকে আরও জানা যায়, প্রথম তিন মাসে গ্রামীণফোন থেকে রবিতে আবেদন এসেছে ৬৪ হাজার ৯১২টি। এর মধ্যে সফল হয়েছে ৪০ হাজার ১২৩টি এবং বাতিল হয়েছে ২৪ হাজার ৭৮৯টি আবেদন। এই সময়ে গ্রামীণফোন থেকে বাংলালিংকে আবেদন এসেছে ১৬ হাজার ৮২৯টি। এর মধ্যে সফল হয়েছে ৮ হাজার ৯৯২টি এবং বাতিল হয়েছে ৭ হাজার ৮৩৭টি। রাষ্ট্রায়াত্ত্ব টেলিটকে আবেদন এসেছে ৭৬৩টি। এর মধ্যে সফল হয়েছে ৫৪৩টি এবং বাতিল হয়েছে ২২০টি।
অন্যদিকে রবি থেকে গ্রামীণফোনে আবেদন এসেছে ১০ হাজার ২৫১টি। এর মধ্যে সফল হয়েছে ৬ হাজার ৭১৮টি এবং বাতিল হয়েছে ৩ হাজার ৫৩৩টি। রবি থেকে বাংলালিংকে আবেদন এসেছে ২১ হাজার ২৩৩টি। এর মধ্যে সফল হয়েছে ১৩ হাজার ৪৯টি এবং বাতিল হয়েছে ৮ হাজার ১৮৪টি। রবি থেকে টেলিটকে আবেদন এসেছে ৯৩১টি। এর মধ্যে সফল হয়েছে ৬৩৯টি এবং বাতিল হয়েছে ২৯২টি।
বাংলালিংক থেকে গ্রামীণফোনে আবেদন এসেছে ৮ হাজার ৮৫৭টি। এর মধ্যে সফল হয়েছে ৩ হাজার ৪৮২টি এবং বাতিল হয়েছে ৫ হাজার ৩৭৫টি। বাংলালিংক থেকে রবিতে আবেদন এসেছে ৬০ হাজার ৪৪টি। এর মধ্যে সফল হয়েছে ৩০ হাজার ৪৩৪টি এবং বাতিল হয়েছে ২৯ হাজার ৬১০টি। বাংলালিংক থেকে টেলিটকে আবেদন এসেছে এক হাজার ৮৮টি। এর মধ্যে সফল হয়েছে ৮৪১টি এবং বাতিল হয়েছে ২৪৭টি।
এমএনপি সেবা চালুর পর থেকে অপারেটর বদলের খরচ ট্যাক্স ও ভ্যাট বাবদ ১৫৮ টাকা খরচ হতো। তবে গত সোমবার অর্থ মন্ত্রণালয় সিমের ওপর ট্যাক্স কমিয়ে দেয়ায় এখন ৫৮ টাকাতেই অপারেটর বদল করতে পারবেন গ্রাহকরা। একবার অপারেটর পরিবর্তন করে অন্য অপারেটরে গেলে কমপক্ষে ৯০ দিন থাকতে হবে। প্রতিবার অপারেটর পরিবর্তনের সময় নতুন সিম নিতে হবে। এমএনপি সেবা চালুর লাইসেন্স পেয়েছে বাংলাদেশ ও স্লোভানিয়ার যৌথ কনসোর্টিয়াম ‘ইনফোজিলিয়ান বিডি টেলিটেক কনসোর্টিয়াম’। বর্তমানে বিশ্বের ৭২ টি দেশে এই সেবা চালু রয়েছে। প্রতিবেশি দেশ ভারতে ২০১১ সাল থেকে, পাকিস্তানে ২০০৭ সাল থেকে এই সেবা চালু রয়েছে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।