পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে ও নগরীর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে রাজধানী জুরে চলছে ট্রাফিক শৃঙ্খলা কার্যক্রম। গতকাল রাজধানীর বিভিন্ন পয়েন্টে ট্রাফিক পুলিশের পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠান রেড ক্রিসেন্টের সদস্যদের দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে। বাস ও মোটরসাইকেলসহ যে কোন যানবাহনে অনিয়ম চোখে পড়লেই গাড়ি থামিয়ে মামলা ও জরিমানা করতে দেখা গেছে। তবে অন্যদিনের তুলনায় নগরীতে গণপরিবহনের সংখ্যা তুলনামূলক কিছুটা কম মনে হয়েছে। এদিকে, নগরবাসীর চলাচল নির্বিগ্ন করার পাশাপাশি ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ১৩০টি বাসস্টপেজ ও ৫৭টি চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। প্রায় ৪ হাজার কর্মী সড়কের শৃঙ্খলায় নিয়োজিত রয়েছে। এছাড়া শৃঙ্খলা কার্যক্রম শেষে নগরীর ফুটপাত মুক্তকরণে খুব শিগগিরই অভিযান কার্যক্রম শুরু করা হবে।
গতকাল রাজধানীর গুলিস্তানের জিরো পয়েন্টে ‘ট্রাফিক শৃঙ্খলা কার্যক্রম পক্ষ ২০১৯’ এর উদ্বোধন হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডিএমপি কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া। গতকাল মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়ে আগামী ৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত ট্রাফিক শৃঙ্খলা কার্যক্রম চলবে।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন, নিজেদের নিরাপত্তার জন্যই ট্রাফিক আইন মানা প্রয়োজন। সময়ের মূল্যের চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক বেশি। যার কারণে দ্রুত যাওয়ার চেয়ে জীবন রক্ষা করে সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছানোই অধিক গুরুত্বপূর্ণ।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ট্রাফিক সচেতনতা কার্যক্রমের প্রাথমিক পর্যায়ে পুলিশের পাশপাশি রেড ক্রিসেন্টকে সংযুক্ত করা হয়েছে। প্রয়োজনে রোভার স্কাউটকেও সংযুক্ত করা হবে। তিনি বলেন, ট্রাফিক আইন মানলে মানুষের জীবন-মান উন্নয়নের সাথে যাতায়াত ও চলাফেরা আরাম ও স্বস্তিদায়ক হয়। তিনি নগরবাসীকে ট্রাফিক আইন মেনে চলাসহ যত্রতত্র গাড়ি পার্কিং না করা, বেপরোয়া গাড়ি চালানো পরিহার, রাস্তায় মোবাইল ফোন ব্যবহার করতে নিষেধ করেন। তিনি প্রত্যেককে হেলেমেট পড়ার পাশপাশি ফুটওভারব্রিজ ও আন্ডারপাস ব্যবহারের আহবান জানান।
মন্ত্রী বলেন, গত বছর কাণ্ডজ্ঞানহীন দুই বেপরোয়া বাসচালকের প্রতিযোগিতার কারণে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে মানুষের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছিল। সে সময়ে ট্রাফিক সপ্তাহ ও মাসব্যাপী ট্রাফিক অভিযান পরিচালিত হয়। যাতে জনগণ ব্যপক সাড়া দিয়েছিল। একইভাবে ট্রাফিক বিভাগের কার্যক্রমে মানুষের মধ্যে অনেক সচেতনতার সৃষ্টি হয়। বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেন, বর্তমান সরকার রাজধানীতে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছে। বর্তমানেও অনেক কাজ চলছে। নতুন নতুন ফুটওভার ব্রিজ হচ্ছে, সড়ক প্রশস্ত হচ্ছে। ম্যাস র্যাপিড ট্রান্সজিট (এমআরটি) কাজ চলছে। এসব কারণে সড়কে গতিও কমেছে। তিনি বলেন, যানজট সহনশীল রাখতে বিরূপ আবহাওয়ার মধ্যেও ট্রাফিক পুলিশের সাড়ে ৪ হাজার সদস্য নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। তিনি বলেন, আইন না মানা বাঙালির একটি বড় প্রবণতা। এ জন্য আইন প্রয়োগের পাশাপাশি শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা ও সচেতনতা তৈরি করাই ট্রাফিক শৃঙ্খলা কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য।
কমিশনার বলেন, রাজধানীতে নিরাপদ সড়ক নিশ্চিতে ও সড়কের শৃঙ্খলা রক্ষায় রাজউক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বিআরটিএ’র সড়ক বিভাগ যৌথভাবে কাজ করছে। ইতোমধ্যে উল্টোপথে গাড়ি চালানো, হেলমেটবিহীন বাইক চলাচল কমে এসেছে। রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ১৩০টি বাসস্টপেজ চালু করা হয়েছে। নাগরিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ৫৭টি পয়েন্টে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। সিটি কর্পোরেশন এসব স্থাপনা সুন্দরকরণে নিরলসভাবে কাজ করছে। তিনি বলেন, এ কার্যক্রম এখানেই শেষ নয়, বছরব্যাপী অব্যাহত থাকবে। ট্রাফিক শৃঙ্খলা পক্ষ পালনের পর পরই আমরা নগরীর ফুটপাত দখলমুক্ত করার অভিযানে নামবো। এর বাইরে অ্যাপভিত্তিক রাইড শেয়ারিং সেবা নিয়ন্ত্রণের কথাও ভাবা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার ও কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের প্রধান মনিরুল ইসলাম, কৃঞ্চপদ রায় ও মীর রেজাউল আলমসহ ট্রাফিকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।