প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : সমাজে মুখ দেখাতে না পারা উচিত ছিল, ওদের দু’জনের। প্রশ্নে মনে হয়, মুখ দেখাতে পারছে না অবৈধ সন্তানটি। শরিয়তে এ ধরনের সন্তানের কোনো পাপ বা দোষ থাকে না। তাদের দায় ওই বাবাকে নিতে হবে, যে তাকে অবৈধ উপায়ে জন্ম দিয়েছে। এ ক্ষেত্রে শরিয়ত যদি ব্যাভিচারীদের সাজা দেয় আর তারা মৃত্যুদন্ড পায়, তা হলে মেয়েটির দায়িত্ব সরকারের। যদি ব্যাভিচারীরা বিবাহিত হয়, তাহলেই সাজা মৃত্যুদন্ড। অবিবাহিত হলে বেত্রাঘাত। একই অপরাধ পুনরায় সংঘটিত হওয়ার আশঙ্কা থাকলে বিচারক তাদের দু’জনকেই দূরে দূরে থাকার নির্দেশ দেবেন এবং যাকে সম্ভব এলাকা ছাড়া করে দেবেন। যে সমাজে শরিয়তি আইন চালু নেই, সেখানে এ দুই নারী-পুরুষকে সামাজিকভাবে বিয়ে বন্ধনে বাধ্য করা হবে, যাতে বিয়ে পূর্ব সন্তানটি মা-বাবার আশ্রয়ে জীবন কাটাতে পারে। সমাজে তাকে লজ্জা দেয়ার বা অবৈধ বলার ক্ষেত্রে সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কারণ, আমরা আগেই বলেছি, বাবা-মায়ের দায় সন্তানের ওপর আসে না। এসব ঘোর প্যাঁচওয়ালা প্রশ্নের জবাব লিখে শেষ করা যাবে না। বললে, বুঝিয়ে বলা যায়। সম্পূরক অনেক প্রশ্ন থাকে। সেসব না জানলে জবাবটি পূর্ণ হয় না। আশা করি আলোচনার ভেতর থেকে যাদের প্রশ্ন তারা তাদের সমাধানটি খুঁজে নেবেন।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।