পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হুইল চেয়ারে করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে গতকাল রোববার কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়। তিনি আদালতের উদ্দেশ্য বলেছেন, যারা জনগণের কথা বলে, মানুষের অধিকারের কথা বলে তারাই বিরোধী দল। কাজেই বিরোধী দল শুধু সংসদের ভেতরেই হয় না, সংসদের বাইরেও বিরোধী দল হয়।
পুরনো ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ শেখ হাফিজুর রহমানের আদালতে নাইকো মামলার শুনানির সময় খালেদা জিয়া ওই কথা বলেন। শুনানি শেষে মামলার অভিযোগ গঠনের পরবর্তী দিন ২১ জানুয়ারি ধার্য করেছেন আদালত। নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, কানাডীয় প্রতিষ্ঠান নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের সহকারি পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকারের আমলে ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন। ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। পরে আসামিদের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার আর্থিক ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।
নাইকো মামলায় অভিযোগ গঠন শুনানির এক পর্যায়ে ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদ বলেন, আমরা বিরোধী দল, সেজন্য আমাদের এ অবস্থা। এ সময় পাশ থেকে দুদকের আইনজীবী বোরহান উদ্দিন বিএনপি নেতা ব্যারিষ্টটার মওদুদকে উদ্দেশ করে বলেন, আপনারা কী বিরোধী দলে আছেন? তখনই আদালতে খালেদা জিয়া বলেন, বিরোধীদল সবখানেই হয়। বিএনপি যে অবস্থানেই থাকুক, বিএনপি জনপ্রিয় একটি দল। জনগণের পক্ষে থাকলেই বিরোধী দল হয়।
এরপর শুনানি শেষ করার জন্য সময় চেয়ে মওদুদ আহমেদ বলেন, হাইকোর্টে ৩৬৫ জন আসামির আগাম জামিন আছে। আমাকে সেখানে যেতে হবে। আর সে জন্যই সময় দেওয়া হোক। এরপর আদালত অভিযোগ গঠন শুনানির জন্য পরবর্তী তারিখ ধার্য করেন।
মামলার অভিযোগ থেকে অব্যাহতি চেয়ে দেড় ঘণ্টা বক্তব্য তুলে ধরেন ব্যারিষ্টার মওদুদ আহমদ। তিনি নিজেদের নির্দোষ দাবী করে বলেন, আওয়ামী লীগ যখন ১৯৯৬ সন থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ক্ষমতায় ছিল তখই নাইকো চুক্তি হয়। আমরা ক্ষমতায় আসার পর শুধু ধারাবাহিকতা রেখেছি। বলা হচ্ছে, আমি লিগ্যাল অ্যাডভাইজার ছিলাম, মতামত দিয়েছি চুক্তির পক্ষে। অথচ এ সংক্রান্ত কোনো কাগজপত্র আমরা পাইনি। সত্যায়িত অথবা ফটোকপি কোনোটাই না। মামলার নথির সত্যায়িত কপি পেতে আবেদন করবেন জানিয়ে সময় চান ব্যারিস্টার মওদুদ।
এই মামলার আসামীরা হচ্ছেন বিএনপির চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া, সাবেক মন্ত্রী মওদুদ আহমদ, সাবেক প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, সাবেক সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারি সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া এবং নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ। ##
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।