পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অর্থনৈতিক রিপোর্টার : বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার হার কমছে। চলতি অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে (জুলাই-জানুয়ারি) আগের অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে এলসি খোলা কমেছে ২ দশমিক ২৯ শতাংশ। তবে এলসি খোলা কমলেও নয় মাসে নিষ্পত্তি বেড়েছে ৪ দশমিক ৯৮ শতাংশ। এ সময়ে জ্বালানি তেল ও খাদ্যপণ্য আমদানির এলসি সবচেয়ে বেশি কমেছে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চÑএই নয় মাসে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে এলসি খোলা হয়েছে ৩ হাজার ১৫৬ কোটি ৫৯ লাখ মার্কিন ডলার, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ৩ হাজার ২৩০ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। অন্যদিকে, এ সময়ে বিভিন্ন পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র নিষ্পত্তি হয়েছে ৩ হাজার ২২ কোটি ১২ লাখ ডলার। যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২ হাজার ৮৭৮ কোটি ৮৭ লাখ ডলার। বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদনে দেখা যায়, এ সময়ে খাদ্যপণ্য ও জ্বালানি তেল আমদানিতে ঋণপত্র খোলার হার অনেক কমে গেছে। তবে শিল্পের মূলধনী যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানি ঋণপত্র খোলার হার বেড়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অর্থবছরের জুলাই থেকে মার্চ এই নয় মাসে খাদ্যপণ্যের মধ্যে চাল ও গমের আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছে ৮৭ কোটি ডলারের, যা আগের অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১৪৬ কোটি ২২ লাখ ডলার। সে হিসাবে খাদ্যপণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খোলা কমেছে ৪৪ দশমিক ৪৪ শতাংশ। একই সঙ্গে খাদ্যপণ্য আমদানিতে ঋণপত্র নিষ্পত্তি কমেছে ২২ দশমিক ৯৩ শতাংশ। এ সময়ে খাদ্যপন্যের এলসিও নিষ্পত্তি হয় ৭৬ কোটি ডলার। যা গেল অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১১২ কোটি ৯৭ লাখ ডলার।
এ সময়ে পেট্রোলিয়াম তথা জ্বালানি তেল আমদানির ঋণপত্র খোলা হয়েছে ১৬২ কোটি ৬৯ লাখ ডলার। যা গেল অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ৪০ দশমিক ২১ শতাংশ কম। গেল অর্থবছরের একই সময়ে এই পণ্যটির এলসি খোলা হয়েছিল ২৭২ কোটি ১২ লাখ ডলারের। এ সময়ে পেট্রোলিয়ম পণ্যের এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ১৯২ কোটি ৬৮ লাখ ডলার। যা গেল অর্থবছরের একই সময়ের চেয়ে ২৮ দশমিক ৯২ শতাংশ কম। গেল অর্থবছরের একই সময়ে এই পণ্যটির এলসি নিষ্পত্তি হয়েছিল ২৭১ কোটি ডলার।
প্রতিবেদনে দেখা যায়, এ সময়ে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ঋণপত্র খোলা হয়েছে ৩৩৩ কোটি ৪৭ লাখ ডলার, যা গেল অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে ছিল ২২৯ কোটি ৮০ লাখ ডলার। সে হিসেবে মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানিতে ঋণপত্র খোলা বেড়েছে ১৩ দশমিক ৮৯ শতাংশ। আর এ সময়ে ২৫০ কোটি ৮৩ লাখ ডলারের মূলধনী যন্ত্রপাতি আমদানি নিষ্পত্তি হয়েছে। যা গেল অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ২২২ কোটি ৮৫ লাখ ডলার। এ হিসেবে মূলধনী যন্ত্রপাতির নিষ্পত্তি বেড়েছে ১২ দশমিক ৫৫ শতাংশ।
অর্থবছরের প্রথম নয় মাসে শিল্পের কাঁচামালের আমদানি ঋণপত্র খোলা ও নিষ্পত্তি বেড়েছে যথাক্রমে ২ দশমিক ৮৬ শতাংশ ও ৩ দশমিক ৪৭ শতাংশ। এ সময়ে শিল্পের কাঁচামাল আমদানি ঋণপত্র খোলা হয়েছে ১ হাজার ২৫০ কোটি ৫৩ লাখ ডলার। যা গেল অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ২১৫ কোটি ৭৪ লাখ ডলার। আর এ সময়ে মূলধনী যন্ত্রপাতির এলসি নিষ্পত্তি হয়েছে ১ হাজার ১৮৫ কোটি ২৩ লাখ ডলার। যা গেল অর্থবছরের একই সময়ে ছিল ১ হাজার ১৪৫ কোটি ৫০ লাখ ডলার।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।