Inqilab Logo

সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫ হিজরী

‘মিরাজ শরীফ’ রাসুল (স:) এর মাধ্যমে আল্লাহর মহাপ্রকাশের গৌরবময় উপলক্ষ-হযরত ঈমাম হায়াত

সার্বজনীন মানবিক সমাজ রাষ্ট্র বিশ্ব ব্যবস্থা গড়ার আহ্বান

প্রকাশের সময় : ১০ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টাফ রিপোর্টার : মহান আল্লাহ তা‘আলা স্থান কালের ঊর্ধ্বে মানব জ্ঞানের অতীত অচিন্তনীয় ঊর্ধ্ব জগতে তাঁর দূরত্বহীন নৈকট্যে উপনীত করে তাঁর প্রিয়তম মহান রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে সাক্ষাৎদানের মাধ্যমে সর্বসৃষ্টির উদ্দেশ্যে তাঁর প্রথম অতুলনীয় মহাপ্রকাশের চির গৌরবময় মহাউপলক্ষ বিজ্ঞানভিত্তিক পবিত্র ঈদে মেরাজ শরীফ।
সত্য ও জীবনের উপলব্ধির জন্য অতিঅপরিহার্য মৌলিক বিষয় ঈদে মেরাজ শরীফের মহান তাৎপর্য তুলে ধরার লক্ষ্যে বিশ্ব সুন্নি আন্দোলনের উদ্যোগে গতকাল ঢাকা সোহ্রাওয়ার্দী উদ্যানে এক বিশাল ঈদে মেরাজ মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান মেহমান হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ আলেমে দ্বীন, ইমামে আহলে সুন্নাত, ওস্তাজুল ওলামা, শায়খুল হাদিস, মুর্শেদে হাক্কানী, ওলিয়ে রাব্বানী- হয়রত আল্লামা ছৈয়দ ছাইফুর রহমান নিজামী শাহ্। এছাড়া শতাধিক বিশিষ্ট পীর-মাশায়েখ, ওলামায়ে কেরাম ও শিক্ষাবিদের উপস্থিতিতে অনুষ্ঠিত এ বিশাল সমাবেশে প্রধান বক্তা হিসেবে মহান মেরাজ শরীফের মহিমা ও দিশা ব্যাখ্যা করে এবং এ মহান দিবস উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় ছুটির আবেদন জানিয়ে বক্তব্য রাখেন-বিশ্ব সুন্নি আন্দোলনের প্রতিষ্ঠাতা ও সার্বজনীন মানবিক রাষ্ট্র ব্যবস্থার দিকদর্শন বিশ্ব ইনসানিয়াত বিপ্লবের প্রবর্তক-হযরত ইমাম হায়াত।
বিশেষ মেহমানের বক্তব্য রাখেন অধ্যক্ষ আল্লামা হযরত জালালুদ্দিন আল কাদেরী (খতিব, জমিয়তুল ফালাহ্ জাতীয় মসজিদ চট্টগ্রাম ও সভাপতি, বাংলাদেশ খতিব কাউন্সিল মাও. মাসউদুর রহমান বিক্রমপুরী, আল্লামা সূফী আহমদ শাহ্ মোর্শেদ আল্লামা শাহ্ আবু আরেফ সরতাজ, ড. কাউসারুল আমীন বাশেখ, আল্লামা রায়হান রাহবার।
ইমাম হায়াত বলেন, মহান মেরাজ শরীফ প্রিয় নবীর নিকট স্বয়ং আল্লাহ তা‘আলার মহিমাময় প্রত্যক্ষ প্রকাশ এবং প্রিয় নবীর মাধ্যমে সমগ্র সৃষ্টির নিকট রহমতময় পরোক্ষ প্রকাশ। আল্লাহতা‘আলা তাঁর অসীম ক্ষমতায় মহান প্রিয় নবীকে স্থান কালের ঊর্ধ্বে তাঁর পরম নৈকট্যে পৌঁছিয়ে তাঁর পবিত্র মহাসত্ত্বার নূর ও তাজাল্লিতে মিলিত করে সমগ্র মানবম-লির জন্য সত্যের আলো, জীবনের কেন্দ্র এবং সর্বজ্ঞান, সর্বগুণ ও সর্বকল্যাণের উৎসরূপে প্রকাশ করেছেন।
তিনি বলেন, দয়াময় আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর মহান হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের এ সরাসরি মহাসাক্ষাৎ সকল মুমিনের জন্য আত্মার প্রাণ-প্রদীপ, হৃদয় ও জীবনের অতুলনীয় মহাউৎসব দয়াময় আল্লাহ তা‘আলা ও তাঁর হাবীব সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের প্রেম ও নৈকট্য সাধনার সর্বোচ্চ পাথেয়, সত্য ও মুক্তির মহাদিকদর্শন এবং সমগ্র মানবম-লির দোজাহানের সার্বিক কল্যাণ।
ইমাম হায়াত বলেন, অনেকে রমজান ও কোরবানির ঈদ ছাড়া আর কোনো উপলক্ষে শোকরিয়া বা ঈদ হতে পারে না মনে করেন যা অজ্ঞতা ও ভুল ধারণা কোরআনুল কারিম ও হাদীস শরীফে আরও অনেক উপলক্ষকে পূর্বাপর সবার জন্য ঈদ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা পালনের পদ্ধতি ভিন্ন (সুরা: মায়েদা আয়াত শরীফ: ১১৪)। আল্লাহ তা‘আলার সকল অনুগ্রহ ও রহমত প্রাপ্তিতে শোকরিয়া ও খুশী তথা ঈদ পালন মহাকল্যাণকর হিসেবে উল্লেখ করে তাকিদ রয়েছে (সুরা: ইউনুস, আয়াত শরীফ: ৫৮)। তাই জীবনের জন্য আল্লাহ তা‘আলার সর্বোচ্চ পরম দান সব ঈদের মূল ঈদ ঈদে আজম কারণ দুনিয়ায় প্রিয় নবীর শুভাগমন যা না হলে আমরা আল্লাহ তা‘আলাকেই পেতাম না। তাই রাসূল (স.) এর দুনিয়ায় আগমনের দিনই সবচেয়ে বড় ঈদ ঈদে আজম। সুতরাং আল্লাহ তা‘আলার স্বয়ং প্রকাশ, যা সমগ্র সৃষ্টির জন্য অসীম রহমত ও দিশার উৎস, যার শোকরিয়া আনন্দ না হলে নাফরমানী হবে। তবে রমজান ও কোরবানির ঈদের মতো ঈদে আজম ও ঈদে মেরাজ হুকুমগত বিধিবদ্ধ নির্ধারিত পদ্ধতিগত ঈদ নয়, ঈমানী প্রাণের ঈদ-অসীম প্রেমের ঈদ, যার সাথে অন্য কোনো আমলগত বিষয়ের তুলনা চলে না, যা অন্য সবকিছুর উৎস।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: ‘মিরাজ শরীফ’ রাসুল (স:) এর মাধ্যমে আল্লাহর মহাপ্রকাশের গৌরবময় উপলক্ষ-হযরত ঈমাম হায়াত
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ