পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
রূপগঞ্জ উপজেলা সংবাদদাতা : নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে বাড়ির সীমানা নিয়ে বিরোধকে কেন্দ্র করে আপন বড় ভাই ও তার পরিবারের লোকজন মিলে স্ত্রীসহ দুই সন্তানকে ঘরে আটকে রেখে ছোট ভাই আকমাল হোসেন (৩০) কে প্রকাশ্যে গলা কেটে ও কুপিয়ে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। সোমবার সকালে উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার চরপাড়া এলাকায় ঘটে এ হত্যাকান্ডের ঘটনা। নিহত আকমাল হোসেন ওই এলাকার বলাই হোসেনের ছেলে। তিনি ভ্যান চালিয়ে সংসার চালিয়ে আসছিলেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, বাড়ির সীমানা প্রাচীর নিয়ে বলাই হোসেনের ছেলে আকমাল হোসেনের সঙ্গে তার বড় ভাই সাদেক হোসেনের পুর্ববিরোধ চলে আসছিলো। এ নিয়ে প্রায় সময়ই দুই ভাইসহ তাদের পরিবারের মাঝে ঝগড়া বিবাধ ও মারপিটের ঘটনা ঘটতো।
সোমবার সকাল ৮টার দিকে বাড়ির সীমানা নিয়ে ফের আকমাল হোসেনের সঙ্গে বড় ভাই সাদেক হোসেনের বাকবিত-া হয়। এক পর্যায়ে সাদেক হোসেন, তার ছেলে সুমন ও সোহাগ ধারালো বটি দিয়ে আকমাল হোসেনকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করে। পরে হত্যাকারীরা এলাকা ত্যাগ করে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে ধারালো বটি উদ্ধার করে। নিহত আকমালের স্ত্রী মরজিনা আক্তার জানায়, তার স্বামীর সঙ্গে ভাসুর সাদেক হোসেনের বাড়ির সীমানা প্রাচীর নিয়ে দীর্ঘ দিন যাবৎ বিরোধ চলছিল। ভাসুর সাদেক হোসেন তার স্বামীর বাড়ীর আঙ্গীনায় গরু পালন করতো। আর গরুর বিষ্টা তাদের জায়গায় ও বসত ঘরের কাছে ফেলত। এতে দুর্গন্ত সহ্য করতে তাদের কষ্ট হতো। আর এ নিয়ে দুই ভাইয়ের মাঝে প্রায়ই বাকবিত-া হতো। গ্রাম্যসালিশ বৈঠকের মাধ্যমে একাধিক বার তাদের বিবাদের মীমাংসাও করা হয়ে ছিল কিন্ত ভাসুর সাদেক ও তার পরিবারের লোকজন সালিশ বৈঠকের পরও তাদের ইচ্ছে মতই চলতো। গত রোববার সন্ধ্যায়ও তাদের দুই ভাইয়ের মাঝে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয়।
মরজিনা আক্তার আরো অভিযোগ করে জানান, ভাসুর সাদেক হোসেনের স্ত্রী সুমা বেগম, মেয়ে তাকমিনা ও নিলা মিলে তাকেসহ দুই কন্যা সন্তান রিয়া (৯) ও ফাতেমা (৫) কে ঘরে আটকে রাখে। এরপর ভাসুর সাদেক হোসেন ও ভাসুরের দুই ছেলে সুমন ও সোহাগ তার স্বামী আকমাল হোসেনকে কুপিয়ে ও গলাকেটে হত্যা করে।
এদিকে, নিহত আকমাল হোসেনের শিশু কন্যা রিয়া ও ফাতেমা বাবাকে হারিয়ে প্রায় পাগল হয়ে গেছে। কাঁদছে আর বলছে ”আমার বাবারে আইনা দাও”।
হত্যাকারীদের দ্রুত গ্রেফতারের পর ফাঁসির দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী। তা না হলে হত্যাকারীদের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়া হবে বলেও হুঁশিয়ারী দিয়েছেন বিক্ষুব্ধ এলাকাবাসী।
এ বিষয়ে রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইসমাইল হোসেন বলেন, হত্যার সঙ্গে জড়িতরা ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে পালিয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।