পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে সরকারি গম পাচারের ছবি তোলায় এক ফটো সাংবাদিককে আটকে বেদম মারধর করেছে কারারক্ষীরা। মহানগর পুলিশ কারাগারের প্রধান ফটকের বাইরে সদর রোড থেকে ৪০ বস্তা গম আটক করেছে। দৈনিক যুগান্তরের ফটো সাংবাদিক শামীম আহম্মেদ গতকাল (শনিবার) বেলা আড়াইটার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগার সংলগ্ন সড়ক থেকে ধরে নিয়ে কারাগারের ভেতরে নির্যাতন করা হয়। এ ঘটনার পর বরিশালে কর্মরত সকল সাংবাদিকরা সেখানে উপস্থিত হয়ে প্রতিবাদ জানালে তাৎক্ষনিকভাবে ৫ কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র তত্বাবধায়ক প্রশান্ত কুমার বণিক জানান, সাংবাদিক নির্যাতনের অভিযোগে তাৎক্ষনিকভাবে ৫ কারারক্ষীকে চিহ্নিত করে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকৃতরা হচ্ছে- আবু বক্কর সিদ্দিক, উজ্জল, সাইদ, আবুল খায়ের ও কাওসার। বরিশালের ডিআইজি-প্রিজন তৌহিদুল ইসলাম জানান, এই ৫ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের ও তদন্ত কমিটি গঠন করা হবে। তদন্ত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে কারা কর্তৃপক্ষ।
নির্যাতিত সাংবাদিক শামীম আহম্মেদ জানান, কারাগার থেকে গম পাচার করা হচ্ছে এ খবর পেয়ে তিনি কেন্দ্রীয় কারাগারের প্রধান ফটক সংলগ্ন সড়কে যান। এমন সময় গমের বস্তাভর্তি একটি ভ্যান কারাগার থেকে বের হচ্ছিল। তিনি ভ্যানের ছবি তোলার সময় কারাগারের ভেতর থেকে কয়েকজন কারারক্ষী এসে তাকে জাপটে ধরে কিল-ঘুষি লাথি মারতে থাকে। তাকে টেনে হেঁচরে কারগারের ভেতরে নিয়ে যায়। পায়ে বুট পরিহিত কয়েকজন কারারক্ষী তাকে লাগাতর লাথি মাড়তে থাকে।
ফটো সাংবাদিক সাংবাদিক শামীম আহম্মেদকে নির্যাতনের খবর পেয়ে বরিশালে কর্মরত সকল সাংবাদিকরা সেখানে উপস্থিত হন। তাদের তীব্র প্রতিবাদের মুখে পরিস্থিতি সামাল দিতে তাৎক্ষনিক ৫ কারারক্ষীকে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্তের কথা জানান কারা কর্তৃপক্ষ। নির্যাতিত শামীম আহম্মেদ এ ঘটনার ন্যায় বিচার দাবি করেছেন।
এদিকে কারাগার থেকে গম পাচারের খবর পেয়ে বেলা ২টা থেকে কারাগারের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন কোতোয়ালী মডেল থানার এসআই মাইনুল হোসেন। তিনি কারাগার থেকে বের হওয়া দুটি ভ্যানে মোট ৪০ বস্তা গম জব্দ করে থানায় নিয়ে যান। এসআই মাইনুল সাংবাদিকদের কাছে ৪০ বস্তা গম জব্দ করার কথা স্বীকার করেছেন। কারাগার থেকে কিসের জন্য গম বাইরে নেওয়া হচ্ছিল তা যাচাই-বাছাই চলছে বলেও জানান তিনি।
কারগারের সিনিয়র তত্বাবধায়ক গম পাচারের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, কারারক্ষীদের রেশন দেওয়ার পর তাদের কিছু পরিমান বাড়তি গম ছিল। ওই গম তারা বিধি অনুযায়ী বাহিরের দোকানে বিক্রি করেছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।