Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে বঙ্গবন্ধু রাতচালাকি বলতেন

আলোচনা সভায় ড. কামাল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ১২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০৩ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল ‘রাতচালাকি’ বলে আখ্যা দিয়েছেন জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতা গণফোরাম সভাপতি ড. কামাল হোসেন। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে রাতচালাকির নির্বাচন বলতেন। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির (ডিআরইউ) সাগর-রুনি হলে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে এ আলোচনা সভায় আয়োজন করে গণফোরাম। উল্লেখ ড. কামাল হোসেনও বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন।
ড. কামাল হোসেন বলেন, সবাই ক্ষমতা চায়, ক্ষমতায় থাকতে চায়। পাঁচ বছর আগে ২০১৪ সালে নির্বাচন হয়েছিল। তারপর আবার নির্বাচন এলো। আবার প্রহসন দেখতে হলো। এগুলো তো প্রয়োজন নেই। দেশের মানুষ তো এই খেলার মধ্যে কোনো ভূমিকা রাখতে চায় না। তিনি বলেন, এই অনুষ্ঠানগুলো (নির্বাচন) হবে সুন্দরভাবে। সবাইকে জানিয়ে আমরা একটা ইলেকশন দেব, তারিখ নির্দিষ্ট হবে, মানুষ আসবে, সরাসরি ভোট দেবে। আর এটাকে অন্য কোনো কায়দায় নিলে দেশে স্থিতিশীলতা আসে না, নির্বাচনে বৈধতা আসে না, ক্ষমতা কাউকে বুঝিয়ে দিতেও পারে না। এই ধরনের অনুষ্ঠান, রাতচালাকির অনুষ্ঠান। ‘বঙ্গবন্ধু এটাকে বলতেন রাতচালাকি’ মন্তব্য করে ড. কামাল হোসেন বলেন, আমরা রাজনীতি থেকে সরে যাচ্ছি রাতচালাকি-রাজচালাকিতে। আমি বলব যে, ৩০ ডিসেম্বর হচ্ছে সেই রাতচালাকির একটা উদাহরণ। রাতচালাকি থেকে বিরত থাকুন। জনগণের সামনে সব কিছু তুলে ধরুন। সংবিধানকে মেনে সংবিধান অনুযায়ী আলাপ-আলোচনার মধ্য দিয়ে যা করার তাই করুন। ড. কামাল হোসেন বলেন, সত্যি খুব দুঃখ লাগে। ৩০ ডিসেম্বর যে ঘটনাটা ৪৮ বছর পর এটা দেখতে হচ্ছে। এটা আমি বিশ্বাস করতে পারছি না। এটা তো হবার কথা না। ৪৮ বছর পরে এটা কেন হবে? আমি তো সরলভাবে বলেছি সকালে সকালে গিয়ে ভোট দেবেন। কিন্তু ঘটনা তো রাতেই ঘটে গেছে। তিনি আরো বলেন, আমরা তো কেউ টেরই পেলাম না রাতে ভোট হয়ে গেছে। এটা তো হবার কথা না। কেন এভাবে হতে হবে। আমি প্রশ্নগুলো আজ এভাবেই রাখতে চাই। এইসব অস্বাভাবিক কাজ কেন হবে? এখন ঘোষণা হচ্ছে, থার্ড টাইমের জন্য একজন প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছেন! তিন শ’ লোক সংসদ সদস্য হয়ে গেছেন। আর অপজিশনে মাত্র ৭ জন!
মানসকিভাবে ভারসাম্য না হারালে এমন নির্বাচন আয়োজন সম্ভব না মন্তব্য করে ড.কামাল বলেন, এটা একটা খেলা নাকি? ১৬ কোটি মানুষকে নিয়ে কী খেলা করা যায়? এটা আসলে মানসিনভাবে ভারসাম্য না হারালে এগুলো হয় না। আমি সত্যি মনে করি যে, এটা অস্বাভাবিক। এভাবে হবার কথা না। আর কেন এটা করতে হবে? বলা হচ্ছে কোনো জায়গা থেকে প্রভাবিত হয়ে এটা করা হয়েছে। এটা তো করার কথা না। স্বাধীন সার্বোভৌম বাংলাদেশে আমরা সবাই মিলে সিদ্ধান্ত নেব। সত্যিকার অর্থে যদি এটা সুষ্টুভাবে নিতে হয়, তাহলে মানুষকে জানাতে হবে, পাবলিকলি এটা নিয়ে আলোচনা হবে। সবাই মিলে একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে সেটা ঘোষণা করা হবে। চুপি চুপি রাতে কী হলো, আর সকালে বলে দেওয়া হলো এটা হয়ে গেছে এভাবে তো হয় না।
তিনি বলেন, রাষ্ট্রকে নিয়ে আভোবে খেলা করা চলে না। যারা এগুলো করছে, না বুঝে করছে। স্বাভাবিকভাবে কেউ সুস্থ থাকলে এবাভে করতে পারে না। আমি সত্যি মনে করে এটা অসুস্থ মানুষের কাজ। অসুস্থ মানুষই কেবল করতে পারে। এটা আইনানুগভাবে মেনে নেওয়া যায় না। সংবিধান অনুযায়ী এটা হয় না। সংবিধান মানতে সবাই বাধ্য। সংবিধানের উর্ধ্বে কেউ না। এইগুলো সংকট কেন সৃষ্টি হচ্ছে। জনগণ হচ্ছে রাষ্ট্রের মালিক। সংবিধান তা উল্লেখ আছে। বঙ্গবন্ধু স্বাক্ষরিত দলিলে পরিষ্কার বলা আছে, এ দেশের মালিক জনগণ।
অলোচনা সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তৃতা করেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি অ্যাডভোকেট সুব্রত চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু, গণফোরাম নেতা অধ্যাপক আবু সাঈদ, মোকাব্বের খান প্রমূখ। #



 

Show all comments
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১১ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:১০ এএম says : 0
    উনারা এইভাবে করতে পেরেছে, আর আপনারা পারেন নাই। সুস্থ না অসুস্থ সেটা বিবেচ্য না, জেতাটাই এখানে মূখ্য। কারণ এই জায়গায় আপনারা থাকলে এবং ওইরকম সুবিধা পেলে হয়তো আপনারাও একই কাজ করতেন, যদিও টিকে থাকতে পারতেন কি না সেটা নিয়ে সন্দেহ আছে। তবে ছাড় দিতেন না যে এটা নিশ্চিত।
    Total Reply(0) Reply
  • Dr.Mizan Siddiqi ১১ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:১১ এএম says : 0
    We have to stop politics of inheritance. HEK must retire.
    Total Reply(0) Reply
  • Farooq ১১ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:১২ এএম says : 0
    কামাল হোসেন বলেন, ‘এ ধরনের কাজকে বঙ্গবন্ধু বলতেন রাজ চালাকি। আমরা রাজনীতি থেকে সরে যাচ্ছি রাজ চালাকিতে। ৩০ ডিসেম্বর ছিল রাজ চালাকির সুন্দর উদাহরণ।’
    Total Reply(0) Reply
  • abir ১১ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:১২ এএম says : 0
    এ নির্বাচনে সবচেয়ে বেশী লাভবান হয়েছেন ড. কামাল।তাঁর দল কখনো কোথাও জিততে পারেনি ।এবার পেয়েছে দুটো আসন - ধন্য ড. কামাল,ধন্য গণফোরাম !
    Total Reply(0) Reply
  • আমিন মুন্সি ১১ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:১৩ এএম says : 0
    Oyko Front has to continue to say every day of 5 years about Night vote and No Poling agent vote
    Total Reply(0) Reply
  • দাউদ দস্তগীর ১১ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:১৩ এএম says : 0
    পৃথিবীর অনেক ...শাসক ইতিহাসের অতলে হারিয়ে গেছে।
    Total Reply(0) Reply
  • ABUL KHAIR ১১ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:১৪ এএম says : 0
    এ ছবিটাই বলে দিচ্ছে ড. কামাল বিএনপির কত বড় ক্ষতিটাই না করছে।
    Total Reply(0) Reply
  • নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ১১ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:১৫ এএম says : 0
    Inshallah your dream will be fullfiled.
    Total Reply(0) Reply
  • Zulfiqar Ahmed ১১ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:১৫ এএম says : 0
    পৃথিবীকে সবসময় বদলে দিয়েছে লক্ষ্য সম্পর্কে দৃঢ় প্রত্যয়ী সঙ্ঘবদ্ধ মুষ্টিমেয় কিছু মানুষ। আমরা এদের একজন হবো।
    Total Reply(0) Reply
  • Sohel S.parvez ১১ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:১৫ এএম says : 0
    আমার আসলে লোকগুলোর জন্য মায়াই লাগছে!আসলেই লাগছে।
    Total Reply(0) Reply
  • Ashraf Shahriar ১১ জানুয়ারি, ২০১৯, ২:১৬ এএম says : 0
    হ্যাঁ সেটাই বঙ্গবন্ধু হত্যার খুনিদের আশ্রয় দাতাদের সাথে জোট করে তাঁর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবসে আলোচনা সভায় অংশ নেওয়া কোন স্বাভাবিক মানুষের দ্বারা সম্ভব না।
    Total Reply(0) Reply
  • Kansam ১১ জানুয়ারি, ২০১৯, ৬:০০ এএম says : 0
    I feel those people, who went to vote center and came back home without votes.
    Total Reply(0) Reply

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ