প্রশ্ন : বিদেশ থেকে দেশে ফিরলে মুসাফির থাকা প্রসঙ্গে।
প্রশ্নের বিবরণ : আমি ২৩ বছর হল অষ্ট্রেলিয়া থাকি এবং বলতে গেলে এটাই এখন আমার পারমানেন্ট ঠিকানা। দেশে যাওয়া হয় খুব কম, তবে যখন যাই
উত্তর : মুসলমানকে গালি দেওয়া ফাসেকি কাজ। বড় গুনাহ। রাগের সময় হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে ফেলা একট মারাত্মক আত্মিক রোগ। অতিরিক্ত রাগও শরীয়তে নিন্দনীয়। রাগের সময় বলা হয়েছে দাঁড়িয়ে থাকলে বসে পড়। হাত-মুখ ধুয়ে অজু করে শান্ত হও। যদি রাগের কারণ ঘটে তবুও অকথ্য ভাষা প্রয়োগ করা যাবে না। এসব ভাষা অভ্যাস থেকে আসে। পারিবারিক শিক্ষার অভাবেও আসে। এমন আচরণ পরিবর্তন করতে হবে। সংযম ও ধৈর্য শিখতে হবে। আল্লাহ পবিত্র কোরআনে বলেছেন, ‘আল্লাহ সদাচরণকারীদের ভালোবাসেন। যারা রাগকে সংবরণ করে, ক্রোধ গিলে ফেলে, মানুষের ভুল ক্ষমা করে দেয়, উপরন্তু তাদের প্রতি অনুগ্রহ করে।’ আল কোরআন। এমন হতে হবে। বিশেষ করে সম্মানিত ও বড়দের তো গালি দেওয়ার প্রশ্নই উঠে না। স্বামীকে স্ত্রী গালি দিতে পারে না। বুঝিয়ে বলতে পারে। স্বামীর পিতা-মাতা ও মুরব্বীদের গালি দেওয়া কল্পনাও করা যায় না। স্ত্রীকে এসব বুঝেই চলতে হবে। তবে যদি স্বামীর এমন কোনো দোষ থাকে, যে জন্য স্ত্রী পাগলের মতো হয়ে গালাগালি করে, তাহলে এর অন্য প্রতিকার আছে। অকথ্য ভাষায় গালাগালি নয়। আর মুরব্বীদের তো গালি দেওয়ার কোনো যুক্তি বা কারণই থাকতে পারে না। এখানে কি সমস্যা, তা বুঝতে হলে কেস স্টাডি করতে হবে। বড় আলেম বা মুফতিরা এর সমাধান দিতে চেষ্টা করবেন। তবে, গালি দেওয়ার কোনো বৈধতা বা সুযোগ নেই।
সূত্র : জামেউল ফাতাওয়া, ইসলামী ফিক্হ ও ফাতাওয়া বিশ্বকোষ।
উত্তর দিয়েছেন : আল্লামা মুফতি উবায়দুর রহমান খান নদভী
ইসলামিক প্রশ্নোত্তর বিভাগে প্রশ্ন পাঠানোর ঠিকানা
[email protected]
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।