পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
২০১৯ সালে বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশকে ৪১তম অবস্থানে রেখেছে যুক্তরাজ্যভিত্তিক একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান। গত বছর এই তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান ছিল ৪৩তম। সম্প্রতি প্রকাশিত যুক্তরাজ্যভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ইকোনমিক্স অ্যান্ড বিজনেস রিসার্চ (সিইবিআর)-এর এক বিশ্লেষণী প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
ব্রিটিশ গবেষণা প্রতিষ্ঠানের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, বৃহত্তম অর্থনীতির দেশের তালিকার শীর্ষ পাঁচে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, চীন, জাপান, জার্মানি ও ভারত। এশিয়ার অন্যান্য অনেক দেশের ন্যায় আগামী ১৫ বছরে তাৎপর্যপূর্ণ অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ঘটবে বাংলাদেশের।
এতে বলা হয়েছে, আগামী ২০২৩ সালে বাংলাদেশ ৩৬তম, ২০২৮ সালে ২৭তম এবং ২০৩৩ সালে ২৪তম বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। সিইবিআর প্রতিবেদনের ১০ম সংস্করণে বলা হয়েছে, আমরা আশা করছি ২০১৮ থেকে ২০৩৩ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশের বার্ষিক গড়ে সাত শতাংশ জিডিপি প্রবৃদ্ধি হবে। এতে বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতির দেশগুলোর তালিকায় বাংলাদেশের ১৯ ধাপ উন্নতি হবে এবং ২০৩৩ সালে দেশটি ২৪তম অবস্থানে উঠে আসবে।
ব্রিটিশ এই প্রতিষ্ঠানের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, তৈরি পোশাক রফতানি, শক্তিশালী রেমিট্যান্স বৃদ্ধি, ভারতীয় বাজারে শুল্কমুক্ত প্রবেশাধিকার, দেশীয় ও সরকারি ব্যায়ে বাংলাদেশ ইতিবাচক অবস্থানে রয়েছে। প্রায় ৪৩ শতাংশ বাংলাদেশি কৃষিকাজের সঙ্গে যুক্ত; যাদের অধিকাংশই ধান এবং পাট উৎপাদন করেন।
এছাড়া দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিতে ভুট্টা, শাকসবজি এবং গমের উৎপাদন ক্রমবর্ধমান ভূমিকা রাখছে। তবে আমদানির হার বেশি থাকায় বাংলাদেশের রফতানি খাতের সফলতা নিয়ে ঝুঁকিও দেখছে সিইবিআর। অবকাঠামো খাতে অর্থায়ন ও রাজস্ব বৃদ্ধি এবং সামাজিক নিরাপত্তার জন্য সরকারকে নতুন নতুন খাতের দিকে গুরুত্ব দেয়ার প্রয়োজন হতে পারে। কেননা বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থী সঙ্কট আরও গুরুতর আকার ধারণ করছে।
এদিকে ২০৩৩ সালে বিশ্বের শীর্ষ পাঁচ অর্থনীতির মধ্যে তিনটি দেশই হবে এশিয়ার। আর এই তিন দেশের মধ্যে চীন বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতির দেশে পরিণত হবে। এছাড়া শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে ভারত তিনে ও জাপান চারে অবস্থান করবে বলে প্রতিবেদনে আভাস দেওয়া হয়েছে।
২০১৯ সাল বাংলাদেশের জন্য অন্যতম সুখের বছর: অর্থনৈতিক স্বাধীনতার দিক থেকে ২০১৯ সাল হবে বাংলাদেশের জন্য অন্যতম সুখের বছর। এ বছর তার প্রবৃদ্ধির হার হবে সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ। দ্য গ্লোবাল ইকোনমিস্ট ফোরাম (জিইএফ) সম্প্রতি এ তথ্য দিয়েছে।
জাতিসংঘের অর্থনৈতিক ও সামাজিক পরিষদের (ইকোসোক) সংস্থা জিইএফ সম্প্রতি ২০১৯ সালের বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পূর্বাভাস দিয়েছে। এতে তারা বাংলাদেশ সম্পর্কেও পূর্বাভাস দিয়েছে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, মার্কিন-চীন বাণিজ্যযুদ্ধের কারণে বাংলাদেশের রফতানি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে। এতে বাংলাদেশে প্রত্যক্ষ বিদেশি বিনিয়োগ বাড়তে পারে। দেশে যেসব অর্থনৈতিক অঞ্চল তৈরি হচ্ছে, সেখানে এই বিনিয়োগ আসতে পারে বলে তারা মনে করছে।
তবে তারা বলেছে, দেশে ব্যবসা-বাণিজ্যের উৎপাদন খুব বেশি হবে না, তাই এ থেকে রাজস্ব আয়ও বেশি হবে না। বেসরকারি খাতের বিকাশও খুব বেশি হবে না। কিন্ত সরকারি খাত, বিশেষ করে বিদ্যুৎ খাতে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ আসবে। তাদের ভবিষ্যদ্বাণী, বিদ্যুৎ খাতে ২০১৯ সালে ২২ হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ আসতে পারে। আর জিডিপির সাপেক্ষে সরকারের ঋণের অনুপাত ৩০ শতাংশে উঠতে পারে।
জিইএফের প্রেসিডেন্ট এনায়েত করিম বলেন, এ বছর দেশে রফতানির বিপরীতে বিপুল পরিমাণ আমদানি হবে। তাই ব্যালান্স অব পেমেন্টের ঘাটতি থাকবে ১৭ হাজার ৫০০ কোটি টাকা।
জিইএফের বাংলাদেশ-বিষয়ক প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ হায়দার আলী মিয়া বলেন, এ বছর দারিদ্র্য হ্রাসে বাংলাদেশ উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করবে। সম্পদের সুষম বণ্টনের কারণে দারিদ্র্যের পরিমাণ দাঁড়াবে ২১ দশমিক ৮ শতাংশ।
জিইএফের বাংলাদেশ-বিষয়ক সেক্রেটারি জেনারেল মামুন-উর রশিদ বলেন, সউদী আরবে বাংলাদেশি শ্রমিকদের চাকরি যাওয়ার কারণে প্রবাসী আয় হয়তো বাড়বে না। তবে নতুন শ্রমবাজার পাওয়া যাবে এবং মজুরিও বাড়বে।
এদিকে কিছুদিন আগে ব্রিটিশ ম্যাগাজিন দ্য গার্ডিয়ান-এর ইকোনমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের সমীক্ষায় দেখা গেছে, এ বছর সবচেয়ে বেশি প্রবৃদ্ধি হবে যেসব দেশের, সেই তালিকায় বাংলাদেশ থাকবে দ্বিতীয় স্থানে। প্রথম স্থানে থাকবে সিরিয়া, যার প্রবৃদ্ধির সম্ভাব্য হার ৯ দশমিক ৯। আর বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে সাত দশমিক নয় শতাংশ।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।