পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
বন্দীদের যে আইনসম্মত অধিকার তা থেকেও বেগম খালেদা জিয়াকে বঞ্চিত করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, প্রায় ২১/২২ দিন অতিক্রান্ত হলেও খালেদা জিয়ার সাথে তাঁর নিকটাত্মীয়দের দেখা করতে দেয়া হচ্ছে না। এই নিষ্ঠুর আচরণ কিসের ইঙ্গিতবাহী? বিশাল লাল দেয়ালের মধ্যে রুদ্ধকপাট মুক্তিহীন বেগম জিয়াকে অন্তরীণ রেখে বাইরের দুনিয়া থেকেও সম্পূর্ণরুপে বিচ্ছিন্ন করার পাঁয়তারা চলছে। ঘনিষ্ঠ আত্মীয়দের সাথে দেখা করতে দেয়ার যে কারাবিধান সেটিকে গায়ের জোরে লঙ্ঘন করাটা বেগম জিয়াকে নিয়ে সরকারের আরেকটি নতুন কোন খারাপ পরিকল্পনা কি না তা নিয়ে প্রশ্নবোধক চিহ্নটা আরও দীর্ঘতর হচ্ছে। গতকাল (সোমবার) দুপুরে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, পৃথিবীর কোন নিষ্ঠুর স্বৈরতান্ত্রিক দেশেও বন্দীদের সাথে এরুপ দূর্ব্যবহার করা হয় না, যা করা হচ্ছে বেগম জিয়ার ওপর। বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব আত্মীয়স্বজন ও দলের সিনিয়র নেতৃবৃন্দের সাক্ষাতের জন্য বারবার আবেদন করার পরেও কারাকর্তৃপক্ষ তাতে কোন কর্ণপাতই করেনি। কারাবিধি অনুযায়ী ৭ দিন পরপর বন্দীদের সাথে সাক্ষাতের নিয়ম। অথচ বেগম জিয়ার ক্ষেত্রে এই বিধান করা হলো ১৫ দিন পরপর। এখন সেই ১৫ দিনের বিধানকেও সরকারের নির্দেশে কারাকর্তৃপক্ষ অগ্রাহ্য করছে। বেগম জিয়ার ওপর এই মানসিক নির্যাতনের উদ্দেশ্যই হচ্ছে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে নানাভাবে পর্যুদস্ত করার সুদুরপ্রসারী পরিকল্পনারাই অংশ।
তিনি বলেন, বেগম জিয়ার সাথে তাঁর নিকটাত্মীয়দের দেখা করতে না দেয়াটা রীতিমতো কঠিন মানসিক নির্যাতন। এ নিয়ে শুধু তাঁর আত্মীয়স্বজনরাই নয়, দেশবাসী উদ্বেগাকুল ও উৎকন্ঠিত। রিজভী অবিলম্বে বেগম খালেদা জিয়ার সাথে তাঁর আত্মীয়স্বজনদের সাক্ষাতের ব্যবস্থা গ্রহণ করার দাবি জানান।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমামের বক্তব্যের সমালোচনা করে রুহুল কবির রিজভী বলেন, ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচন জনগণের ললাটে এক বিষাক্ত কাঁটা। অথচ প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা এইচটি ইমাম বলেছেন, এবারের নির্বাচনের শৃঙ্খলা আগামীবারেও থাকবে। সাবাস এইচটি ইমাম সাহেব। আপনি আত্মমর্যাদাহীন, অনুশোচনাহীন, আজ্ঞাবাহী একজন মানুষ, আগামী নির্বাচন নিয়ে এই ধরনেই অঙ্গীকার করা ছাড়া আর কি-ই বা বলার থাকতে পারে আপনার।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, বিবেক বিক্রি করা এইচটি ইমাম সাহেবরা মানুষের ভোট কেড়ে নিতে কত দ্বিধাহীন, কত নির্লজ্জ। ভোগ-লালসায় অস্থির থাকায় এদের কাছে মানবিক বিবেচনাগুলো হারিয়ে গেছে। এরা ক্ষমতা ধরে রাখতে পুলিশের বুটের তলায় মানুষের ভোটাধিকার চেপে দেওয়ার যে কলঙ্কজনক দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন, সেটারই পুনরাবৃত্তি করার অঙ্গীকার করলেন আগামী নির্বাচনের জন্য।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য নাজমুল হক নান্নু, প্রফেসর সাহিদা রফিক, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুস সালাম আজাদ, মুনির হোসেন প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।