পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নোয়াখালীর সুবর্ণচরে গণধর্ষণে জড়িত সন্ত্রাসীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম। গতকাল মহিলা ফোরামের ৩৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত সমাবেশে নেতৃবৃন্দ এ দাবি জানান। তারা বলেন, নারীর অধিকার ও মর্যাদা প্রতিষ্ঠা ছাড়া গণতান্ত্রিক সমাজ হয় না। গণতন্ত্র, মানবতা ও সভ্যতার স্বার্থে, উন্নত রুচিবোধ ও সংস্কৃতি চেতনার আলোকে নারী-পুরুষের সৌন্দর্যমন্ডিত মিলিত জীবন ও যৌথ কর্মপ্রয়াসের বিকল্প নেই।
সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম এর কেন্দ্রীয় সভাপতি রওশন আরা রুশোর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শম্পা বসুর পরিচালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম এর কেন্দ্রীয় উপদেষ্টামন্ডলীর সদস্য নূরজাহান ঝর্ণা, নারীনেত্রী প্রীতিলতা, জেসমিন আক্তার, রুখসানা আফরোজ আশা। সমাবেশে সংহতি বক্তব্য রাখেন বাসদ ঢাকা নগর শাখার সদস্য সচিব জুলফিকার আলী ও ছাত্র ফ্রন্ট এর সভাপতি ইমরান হাবিব রুমন।
নেতৃবৃন্দ অভিযোগ করেন, গত ৩০ ডিসেম্বর এক প্রহসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। নোয়াখালীর সূবর্ণচরে নির্বাচনের দিন ভোট দিতে যেয়ে ৪ সন্তানের জননীকে গণধর্ষণ করা হয়। নৌকা প্রতীকে ভোট দিতে বলে চাপ প্রয়োগ করা হলে তিনি প্রতিবাদ করেন। এর জের হিসেবে নৌকা প্রতিকের ব্যাচ লাগিয়ে সন্ত্রাসীরা হুমকি দেয়। ওই রাতেই সন্ত্রাসীরা ঘরে প্রবেশ করে স্বামীকে বেঁধে রেখে পালাক্রমে গৃহবধূকে ধর্ষণ করে। ধর্ষিতা নারী এখন হাসপাতালে আছেন। তার স্বামী মামলা করেছেন কিন্তু এজহারে গণধর্ষণের নির্দেশদাতাকে অন্তভর্‚ক্ত করেনি পুলিশ। পরবর্তীতে আন্দোলনের চাপে তাকে গ্রেফতার করা হয়। সমাবেশ থেকে বক্তাগণ অবিলম্বে গণধর্ষণকারীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।
নেতৃবৃন্দ বলেন, সমাজের অগ্রগতি ও প্রগতির স্বার্থে, সুস্থ নিরাপদ জীবন যাপন ও পরবর্তী প্রজন্মের মনুষ্যত্ব নিয়ে বেড়ে উঠার স্বার্থে আজ নারী-পুরুষের মধ্যকার অসাম্য-বৈষম্য বিলোপ সময়ের দাবি। সেই দাবি পূরণের লক্ষ্যে সকল প্রকার অসুস্থ মানসিকতা, প্রতিক্রিয়াশীল ধ্যান-ধারণা, ভোগবাদী প্রবণতা দূর করার জন্য একটি শক্তিশালী নারী সংগঠন, নারী মুক্তি আন্দোলন ও নারী-পুরুষের মিলিত সংগ্রাম অপরিহার্য। শুধু অধিকারের কথা বলাই যথেষ্ট নয়; সমাজ সচেতনতা বিকাশ, প্রতিবাদ-প্রতিরোধ সংগ্রামের পথেই সত্যিকার মর্যাদা ও অধিকার আদায় সম্ভব। সমাজের আমূল পরিবর্তনের বিপ্লবী লড়াইয়ের পথে সার্বিক মুক্তি একদিন অর্জিত হবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।