পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নতুন বছরের পূর্বলগ্নে বাংলাদেশ শেখ হাসিনাকে আরো পাঁচ বছরের জন্য ভোট দিয়েছে। বিরোধী পক্ষ বিএনপি-জামায়াত জোটের উদ্যোগ বা তাদের প্রতি ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় প্রতিবেশীর সমর্থনকে গুঁড়িয়ে দিয়ে ভূমিধস বিজয়ের মধ্য দিয়ে তিনি ক্ষমতায় এসেছেন। ভারত শেখ হাসিনার এক উৎসাহী সমর্থক এবং আগামী পাঁচ বছরে তারা আরো সমর্থনের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে।
ভারত মংলা, পায়রা ও চট্টগ্রাম বন্দরে বিনিয়োগ করেছে। ফলে আরো বন্দর , সড়ক সংযুক্তি, অভ্যন্তরীণ নৌ পথ ও উপকূলীয় জাহাজ চলাচল হবে। উভয় দেশের জন্য এ বন্দরগুলোর অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা গুরুত্ব রয়েছে, বিশেষ করে ভারতের প্রভাব বলয় বিস্তারের অংশ হিসেবে বঙ্গোপসাগরের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে। হ্যাঁ, বাংলাদেশ চীনকে দুটি সাবমেরিন সরবরাহের নির্দেশ দিয়েছে যা নয়াদিল্লীর কোনো কোনো মহল ভালো চোখে দেখছে না। কিন্তু এটাও বুঝতে হবে যে ভারত এই অঞ্চলে চীনা প্রভাব পুরোপুরি বিলীন করতে পারবে না। মোটের উপর বাংলাদেশের উন্নতি ও সমৃদ্ধি হলে তাতে ভারতের স্বার্থেও রক্ষা হবে।
শেখ হাসিনা কিছু সময়ের জন্য তা বুঝতে পেরেছেন এবং তার স্বার্থে এটি কাজে লাগিয়েছেন। ভারতের ধারাবাহিক সরকারগুলো খুশি হয়ে তাকে সাহায্য করেছে। তিনি নিরাপত্তা সমস্যার ক্ষেত্রে ভারতকে সহযোগিতা করেছেন এবং ভারত তার উন্নয়ন কর্মকান্ডে সহযোগিতা করেছে। স্থল ও সমুদ্রসীমা নিশ্চিত হওয়ার পর দু’দেশের সম্পর্ক প্রভূত পরিমাণে সহজ হয়েছে।
কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিশ্বাসযোগ্য রাজনৈতিক বিরোধীদল প্রয়োজন। শেখ হাসিনা আগামী বছরগুলোতেও যদি কন্ঠরোধ অব্যাহত রাখেন তাহলে জামায়াত ও আইএসআই মোকাবেলা ইস্যু সত্তে¡ও তিনি পাল্টা সমালোচনার সম্মুখীন হতে পারেন। বাংলাদেশের সাথে আলোচনার বিষয় হিসেবে এটা ভারতের অন্তর্ভুক্ত করা উচিত। ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যে পানি ভাগাভাগির সমাধান হয়নি। তিস্তা ছাড়া অন্যান্য নদী থেকে পানি নেয়ার জন্য মমতা ব্যানার্জির দেয়া সমাধান অত্যন্ত বাস্তব সম্মত (ওয়াকেবহাল যে কেউই বলবেন যে তিস্তায় এত পলি জমেছে যে সেখানে পানি খুব কমই আছে)। এ ব্যাপারে বাংলাদেশকে ভারতের অবহিত রাখা উচিত। ভারত অধিকতর যৌক্তিক পদক্ষেপ নেয়ায় ভারত ও দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিবেশীদের মধ্যে বিদ্যুত বাণিজ্য উন্মুক্ত হয়েছে।
বাংলাদেশকে রোহিঙ্গা উদ্বাস্তু সমস্যা মোকাবেলা করতে হচ্ছে যার প্রভাব রয়েছে এ অঞ্চলের সকলের উপর। জার্মানির অ্যাঞ্জেলা মারকেলের মত শেখ হাসিনা বিশ্বাসযোগ্য সমাধান দৃষ্টিগোচর হওয়া ছাড়াই লাখ লাখ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশে ঢুকতে দেন। এখন তার জন্য কঠিন কাজ হচ্ছে তাদের ফেরত পাঠানো। শেখ হাসিনা নিজেই স্বীকার করেছেন যে চীন বা ভারত কেউই এ ব্যাপারে মিয়ানমারকে চাপ দেবে না। সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।