পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অনিয়মের তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরে আরেকটা ভাল নির্বাচন দিতে সরকারকে বোঝাতে কূটনীতিকদের প্রতি অনুরোধ জানিয়েছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। গতকাল (রোববার) বিকেলে গুলশানে হোটেল আমারিতে কূটনীতিকদের সাথে বৈঠক শেষে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন এসব কথা জানান। এর আগে বিকেল ৪টা থেকে দেড় ঘন্টাব্যাপী কূটনীতিকদের সাথে বৈঠক করেন ড. কামাল হোসেনের নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতারা। বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদ‚ত ডেভিড আর্ল মিলারসহ যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূতসহ ৩০টি বেশি দেশের কূটনীতিকরা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে ডা. কামাল হোসেন বলেন, ভালো আলোচনা হয়েছে। ভোটের দিন যা ঘটলো সেটা আমরা তুলে ধরেছি। তারাও (কূটনীতিকরা) স্বচক্ষে দেখেছেন। অর্থাৎ এটা নিয়ে কোনো বির্তক হয়নি। ওনারা শুনলেন আমরা কি বললাম। আমি বলেছি, তোমরা সরকারকে বুঝাও যে, এর সমাধান করতে হলে আরেকটা ভালো নির্বাচন দিতে হবে। তিনি বলেন, তারা বলেছে যে, তোমরা কী চাও? আমরা বলেছি, এটা কোন নির্বাচন হয়নি, এই নির্বাচনে জনগণ ভোট দিতে পারেনি। আরেকটা ভালো নির্বাচন দিলে শান্তিপূর্ণভাবে সবাই ভোট দিতে পারে- এটা হলে শান্তিপূর্ণ সমাধান হবে। দেশের উজ্জ্বল ভবিষ্য আমরা সবাই মিলে গড়ব।
কূটনীতিকরা আপনাদের কথা শুনে কী বললেন জানতে চাইলে ঐক্যফ্রন্টের এই শীর্ষ নেতা বলেন, আমাদের কথা হলো, ঠিক আছে যা হয়েছে হয়েছে। এখন একটা ভালো নির্বাচন দেয়া হোক। আমরা বলেছি সবাই গঠনমূলক একটা ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা কারো বিপক্ষে নই। সরকারকে আমরা বলব যে, আমরা মনে করি, সকলের শুভাকাক্সক্ষী হিসেবে দেশে শান্তিপূর্ণভাবে আরেকটা নির্বাচন হলে তার ফলাফল যা হয় তার ভিত্তিতে একটা গণতান্ত্রিক সরকার হবে। সেই সরকারই মানুষের আকাক্সক্ষা পূরণ করতে পারে।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, কূটনীতিকদের সাথে রুদ্ধদ্বার এই বৈঠকে ড. কামাল হোসেন একাদশ নির্বাচনের ভোট পরিস্থিতি ও নির্বাচনের আগে ও পরের ঘটনাবলী তুলে ধরে কূটনীতিকদের ব্রিফিং করেন। পরে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও সারাদেশে নির্বাচনী সহিংসতা নিয়ে কথা বলেন। বৈঠকে নির্বাচনে ভোটের নানা অনিয়মের একটি ভিডিও পাওয়া পয়েন্টও উপস্থাপন করা হয়। এতে দেখানো হয় কিভাবে তফসিল ঘোষণার পর থেকে সরকার দলীয় লোকজন বিএনপি তথা জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রার্থীদের প্রচার-প্রচারণায় বাধা দেয়, যাদের ওপর হামলা করা হয় তাদের হামলা পরবর্তী চিত্রও তুলে ধরা হয়। এছাড়া বিভিন্ন এলাকায় নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, ভোটের আগের রাতে ভোট কেন্দ্রে ঢুকে সিল মারা, ভোটের দিনে সকাল থেকে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের এজেন্টদের বের করে দেয়া, ভোটারদের কেন্দ্রে প্রবেশ করতে বাধা দেয়া, ব্যালট না থাকা, ভোটার সংখ্যার চেয়ে ভোট বেশি পড়া ইত্যাদি অনিয়মের ভিডিও চিত্র প্রদর্শন করা হয়। কূটনীতিকদের তথ্য প্রমাণাদিসহ কাগজপত্র সরবারহ করা হয়।
বৈঠকে নির্বাচনের প্রচারনায় ক্ষমতাসীন দলের সন্ত্রাসী ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনী যৌথভাবে বিভিন্ন স্থানে বিরোধী দলের প্রার্থীদের নির্বাচনী প্রচারনায় হামলার শিকার ধানের শীষের প্রার্থী গয়েশ্বর রায়, আফরোজা আব্বাস, রুমানা মোর্শেদ কনক চাঁপা, জেবা খানও উপস্থিত ছিলেন।
যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা, ফ্রান্স, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া, চীন, কোরিয়া, সুইডেন, স্পেন, জার্মানী, নরওয়ে, ভারত, পাকিস্তান, জাপান, অস্ট্রেলিয়া, ইতালী, সুইজারল্যান্ড, তুরস্ক, নেদারল্যান্ড, ডেনমার্ক, নেপাল, ভুটান, শ্রীলংকার কূটনীতিকরাও ছিলেন।
বৈঠকে বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল আউয়াল মিন্টু, সাবিহ উদ্দিন আহমেদ, আসাদুজ্জামান রিপন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, ফাহিমা নাসরিন মুন্নী, তাবিথ আউয়াল, গোলাম মওলা রনি। ঐক্যফ্রন্টের নেতাদের মধ্যে- জেএসডির আসম আবদুর রব, গণফোরামের সুব্রত চৌধুরী, মোস্তফা মহসিন মন্টু, নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্যের ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমূখ। #
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।