পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষে নিজের পদোন্নতি, গাড়ি-বাড়ি, নিরাপত্তাসহ আরো সুযোগ-সুবিধা চাইল নির্বাচন কমিশন (ইসি)। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মতো সুন্দর সমন্বয়, শৃঙ্খলা আগে কখনো হয়নি। ভবিষ্যতে যাতে এই শৃঙ্খলা ধরে যায়, সেই চেষ্টা থাকবে বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমাম।
গতকাল রোববার রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সঙ্গে বৈঠক শেষে তিনি এ কথা বলেন। এইচ টি ইমামের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি দল একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সাংবিধানিক দায়িত্ব অত্যন্ত সুন্দরভাবে পালন করায় নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানাতে আসে। এইচ টি ইমাম বলেন, এবারের নির্বাচনের মতো এত বড় আকারের নির্বাচন বাংলাদেশে আর কখনো হয়নি। এত বিশাল সংখ্যক মানুষকে একত্র করে সমন্বয় করা, এবারের মতো এত সুন্দর সমন্বয় আগে কখনো হয়নি। এটি আমাদের সবচেয়ে গর্বের বিষয়।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে কমিশনকে সহায়তা করার যে বিষয়গুলো ছিল, প্রত্যেকটি কাজ সরকার করেছে। ছোট থেকে বড়, উঁচু পর্যায় থেকে নিচু পর্যায় পর্যন্ত, সামরিক-বেসামরিক, বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সবাই যে কাজ করেছেন, এগুলো নিয়েই মূলত আমরা আলোচনা করেছি। এই শৃঙ্খলাকে কীভাবে ধরে রাখা যায়, সমন্বয়টাকে কীভাবে ধরে রাখা যায়, ভবিষ্যতে নির্বাচন অনেকগুলো নির্বাচন আসছে, সেই নির্বাচনগুলো যাতে সুষ্ঠুভাবে, গ্রহণযোগ্যভাবে করা যায়, সেগুলো নিয়ে আমরা আলোচনা করেছি। মিডিয়া সংবাদ সম্মেলনে এইচ টি ইমাম বলেন, ভবিষ্যতে নির্বাচন কমিশন ও তাদের প্রাতিষ্ঠানিকভাবে আরো সক্রিয় ও সুন্দর করার জন্য তারা কিছু প্রস্তাব রেখেছে। আমরা সেগুলো সরকারের কাছে পেশ করব। তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন মোটামুটিভাবে সবগুলোই প্রশাসনিক কাঠামোগত প্রস্তাব দিয়েছে। যেমন- পদোন্নতির কিছু ব্যাপার আছে, নির্বাচন কর্মকর্তারা যারা তাদের আরো উঁচু স্তরে দেয়া, আরো সুন্দরভাবে দায়িত্ব বণ্টন করা, তাদের চলাচলের জন্য গাড়ি ইত্যাদি। তারপর প্রাধিকার, সরকারের যেমন হয়, যেভাবে প্রাতিষ্ঠানিক এবং নির্বাচন কমিশনের জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনার থেকে সব নির্বাচন কমিশনারদের নিরাপত্তা থকে শুরু করে তাদের জন্য বাড়িঘর দেয়া, জাজরা (বিচারকরা) যা পেয়ে থাকেন, এগুলো নিয়ে কথা হয়েছে। আপনাদের কোনো প্রস্তাব ছিল না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে এইচ টি ইমাম বলেন, আমার মনে হয় করা উচিত, সরকারের সামর্থ্যের মধ্যে যতটুকু আছে। তা ছাড়া নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব বাজেট আছে। আমি প্রস্তাব দেবো, তাদের বাজেটের মধ্যে যদি এগুলো নিজেরা করে নেয়, তা হলে জাতীয় বাজেটে আমরা সমর্থন দিলেই কমিশন এমনিই পেয়ে যাবে। খুঁটিনাটি পরে বলব। আমার মনে হয়, এগুলো করা সম্ভব।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদের ২৯৯ আসনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। গাইবান্ধা-৩ আসনের একজন প্রার্থী মৃত্যুবরণ করায় কারণে সে আসনে ভোটগ্রহণ হবে ২৭ জানুয়ারি। আর ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনের তিনটি কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ স্থগিত হওয়ায় সেখানে ৯ জানুয়ারি পুনঃভোটের পর আসনটির ফল প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। অবশিষ্ট ২৯৮ আসনের মধ্যে আওয়ামী লীগ ২৫৭টি আসন, জাতীয় পার্টি ২২টি আসন, বিকল্পধারা বাংলাদেশ দু’টি আসন, বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি তিনটি আসন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল-জাসদ দু’টি আসন, জাতীয় পার্টি-জেপি একটি আসন ও বাংলাদেশ তরিকত ফেডারেশন একটি আসন পেয়েছে। বিএনপি ছয়টি আসন, গণফোরাম একটি আসন পেয়েছেন। আর স্বতন্ত্র থেকে তিনজন প্রার্থী জয়লাভ করেছেন।
আওয়ামী লীগের নির্বাচন পরিচালনা কমিটির সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর রাজনৈতিক উপদেষ্টা এইচ টি ইমামের নেতৃত্বে ওই প্রতিনিধি দলে উপস্থিত ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, নতুন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ, মো. আকতারুজ্জামান, এ কি এম রিয়াজুল কবীর কাওসার, ফজিলাতুন্নেছা বাপ্পী এবং ড. সেলিম মাহমুদ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।