পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের কোনো সদস্যই সাংসদ হিসেবে শপথ নেবেন না। গতকাল ঐক্যফ্রন্টের এক বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানিয়েছেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সভাপতি আ স ম আবদুর রব ও গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মহসীন মন্টু। মতিঝিলে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেনের চেম্বারে দুপুর ১২টায় এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
গত শনিবার ড. কামাল হোসেন তাঁর দলে গণফোরামের বিজয়ী দুই সদস্যের শপথ নেয়ার ব্যাপারে ইতিবাচক সিদ্ধান্তের ইঙ্গিত দিয়েছিলেন। এর পরদিনই শপথ না নেয়ার এই সিদ্ধান্ত হলো। নির্বাচনের পরদিন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছিলেন, তাঁরা কেউই শপথ নেবেন না, এটা পরিষ্কার কথা। একাদশ সংসদ নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট ৭টি আসনে জয়লাভ করে। এর মধ্যে ৫টি আসনে জিতেছে জোটের প্রধান শরিক বিএনপি ও ১টি আসনে জয় পেয়েছে গণফোরাম এবং একটি আসনে ঐক্য প্রক্রিয়ার নেতা জয়ী হয়েছেন।
বৈঠক শেষে আ স ম আবদুর রব সাংবাদিকদের বলেন, ঐক্যফ্রন্টের কেউ এই সংসদে শপথ নিতে যাচ্ছে না, যাবে না। তিনি বলেন, গণমাধ্যমে ঐক্যফ্রন্ট ভাঙার যে খবর বেরিয়েছে সেটি সঠিক নয়। আমাদের ঐক্য ছিলো, এখনো আছে এবং থাকবে। আমরা একসঙ্গে মিটিং করছি, আগামীতেও একসঙ্গেই থাকব।
মোস্তফা মহসীন মিন্টু বলেন, গতকাল ড. কামাল হোসেন কোনোভাবেই বলেননি যে, গণফোরামের নির্বাচিতর ২ জন প্রার্থী শপথ নেবেন। তিনি বলেছেন, আমরা ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিতে পারি। তার মানে শপথ নিচ্ছে-এটা নয়। গণমাধ্যমে শপথ নেয়ার খবরটি ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন। আশা করি এই প্রশ্নে আর কোন ভুল বোঝাবুঝি থাকবে না।
মন্টু বলেন, আমরা স্পষ্টভাবেই বলতে চাই, সংসদ নির্বাচনে নির্বাচিতদের শপথগ্রহণ প্রশ্নে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের মধ্যে বিন্দুমাত্র অনৈক্য নেই। বরং গত ৩০ ডিসেম্বর প্রহসনের নির্বাচনের পর জনগণের ভোটের অধিকার এবং অন্যান্য গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট আগের চাইতে আরো বেশি ঐক্যবদ্ধ আছে এবং থাকবে।
তিনি বলেন, আমরা বলে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, ৩০ ডিসেম্বর নির্বাচন নামের প্রহসনটি ঐক্যফ্রন্ট সেদিনই প্রত্যাখ্যান করেছে। এই প্রহসনটি আরো দৃঢ়ভাবে প্রমাণ করেছে এই দেশে দলীয় সরকারের অধীনে অবাধ, নিরপেক্ষ নির্বাচন হতে পারে না। নির্দলীয় নিরপক্ষে সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট তার কর্মসূচি চালিয়ে যাবে।
বৈঠকে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন সভাপতিত্ব করেন। বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, গণফোরামের নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী, নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্না, গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের নেতা ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।