Inqilab Logo

সোমবার ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার বলি সেচের পানি

রাজশাহী ব্যুরো | প্রকাশের সময় : ৭ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

রাজনৈতিক প্রতিহিংসার জেরে রাজশাহীর তানোরে নির্বাচন পরবর্তী প্রায় অর্ধশতাধিক গভীর নলকূপে তালা এবং অগভীর নলকূপের বিদ্যুৎ সংযোগ কেটে দেয়ায় সেচ সঙ্কটের মুখে চাষাবাদ। এখন চলছে বোরোর বীজতলাসহ শীতকালীন সবজীর মওসুম। এসময় সেচ নিয়ে এমন রাজনীতিতে বিপাকে কৃষক।
অভিযোগ উঠেছে বিগত একাদশ সংসদ নির্বাচনের পর যে সব গভীর নলকূপ বিএনপি নেতা বা ক্ষমতাসীন দলের ভোটের মাঠে নিস্ক্রিয় নেতাকর্মীদের কাছে ছিল এমন প্রায় অর্ধশতাধিক গভীর নলকূপে তালা দিয়ে পানি দেয়া বন্ধ করে দিয়েছে ক্ষমতাসীন দলের কর্মীরা। অগভীর নলকূপ রয়েছে এসবের বিদ্যুতের সংযোগ কেটে দেয়া হয়েছে। কৃষকরা সেচের জন্য ছুটছেন সংশ্লিষ্টদের কাছে।
যে সব গভীর নলকূপে তালা দেয়া হয়েছে সেগুলো হল উপজেলার পাচন্দর ইউপি এলাকার কাজি জিয়া আব্দুল ওহাবের তিনি দীর্ঘ ১৯৯৮ সাল থেকে গভীর নলকূপ চালিয়ে আসছেন। তার ডিপে তালা দেন স্থানীয় যুবলীগ নেতা আনারুল ও আসাদুল। সরনজাই ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হকের কাজিপাড়া, মুস্তাফিজুরের ব্রাম্মনজয়, কলমা বুধ পুকুরের মাহতাব হাজীর, কলমা পশ্চিম মাঠে ফারুক হোসেনের,পূর্বপাড়া মাঠে শফিকুলের, বহাড়া মাঠে, লক্ষনপুর মাঠে, গাল্লাগ্রামের সাদিকুলের ব্যক্তি মালিকানা মিনি মোটরের তার কাটা হয়েছে।
এছাড়াও সরনজাই বাজার মাঠের রুস্তমের, চকপাড়া মাঠে মাহতাব মেম্বারের তিনি ভোটের আগে আওয়ামী লীগে যোগদান করেন, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল মালেকের সিধাইড় মাঠে, শিবপুর বকুলের মিনি মোটরের , গাল্লাগ্রামের গাফফারের মিনি মোটরের তার কাটা হয়, বহরইল ভাংগাল মৌজার নুরুলের, বৈদ্যপুরগ্রামের আনিকুলের , ব্রাম মনজয়গ্রামের মিজানুরের, লবলবী মাঠের নজিবুরের এবং তাতিহাটি মাঠের আজিজুরের নলকূপে দেয়া হয়েছে তালা।
এদিকে উপজেলার বিভিন্ন মাঠের গভীর অগভীর নলকূপে তালা ও বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। অনেকে ভয়ে নামও প্রকাশ করছেনা। যাদের ডিপে তালা দেয়া হয়েছে তারা জানান মাঠে এখন আলুর আবাদ চলছে এবং বোরো রোপণের প্রস্তুতি নিচ্ছে কৃষকরা । চলতি মাসের শেষের দিকে নতুন ভাবে গভীর নলকুপে অপারেটর নিয়োগ হয়। কিন্তু তার আগেই তালা মারা হয়েছে। আমাদের জন্য কৃষকের ফসল নষ্ট করে লাভ কি।
কৃষকরা নাম প্রকাশ না করে জানান অনেক গভীর নলকূপে অতিরিক্ত চাঁদা নিয়ে দেয়া হচ্ছে পানি । আবার অনেক ডিপ রয়েছে বন্ধ। পানিও দেয়া হচ্ছে বাছাই করে করে। ভুক্তভোগি কৃষকরা বলছেন রাজনীতির প্রতিহিংসায় কেন কৃষকের আবাদে বিঘ্ন ঘটবে। আমরা সময় মত পানি পেলেই হবে। কে পরিচালনা করছেন সেটা আমাদের দেখার বিষয় না। বরেন্দ্র উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা বিষয়টি এড়িয়ে যান। পল্লী বিদ্যুতের একজন কর্মকর্তা বিদ্যুত সংযোগ বিচ্ছিন্ন বিষয়টি এড়িয়ে যান।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ