পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেষ হতেই এবার তোড়জোড় শুরু হয়েছে সংরক্ষিত নারী আসনে সাংসদ নিয়ে। সাংসদ হওয়ার দৌড়ে রয়েছেন সিলেটের প্রায় অর্ধডজন নেত্রী রয়েছেন। সংরক্ষিত আসনের টিকেট নিয়ে সংসদে যেতে তারা লবিং করছেন দলের হাইকমান্ডে। লবিং তদবিরে ব্যস্ত নেত্রীদের বেশিরভাগই গেলো একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে তারা এবার চাইছেন সংরক্ষিত নারী সাংসদ হয়ে সংসদে যেতে।
সিলেট বিভাগের চার জেলা থেকে প্রতিবারই সংরক্ষিত আসনে দুইজন সাংসদ হয়ে থাকেন। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনের পর সিলেট বিভাগ থেকে সংরক্ষিত নারী সাংসদ নির্বাচিত হন আমাতুল কিবরিয়া কেয়া চৌধুরী (সিলেট-হবিগঞ্জ) ও শামসুন্নাহার বেগম শাহানা রব্বানী (সুনামগঞ্জ-মৌলভীবাজার)।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কেয়া চৌধুরী হবিগঞ্জ-১ ও শাহানা রব্বানী সুনামগঞ্জ-৪ আসন থেকে সরাসরি নির্বাচন করতে চেয়েছিলেন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চেয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত মনোনয়ন পাননি কেউই।
এছাড়াও গেলো নির্বাচনে মৌলভীবাজার-৩ আসন থেকে সাবেক সমাজকল্যানমন্ত্রী সৈয়দ মহসিন আলীর স্ত্রী উপনির্বাচনে বিজয়ী সাংসদ সায়রা মহসিন ও কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শামিমা শাহরিয়ার সুনামগঞ্জ-১ আসনে দলীয় মনোনয়ন চান। কিন্তু তাদের ভাগ্যেও আওয়ামী লীগের টিকেট জুটেনি। এবার এ দুই নেত্রীও চাইছেন সংরক্ষিত আসনের নারী সাংসদ হয়ে সংসদে যেতে।
এছাড়া সিলেট জেলা থেকে সংরক্ষিত নারী সাংসদের দৌঁড়ে রয়েছেন আরো দুই নেত্রী। তারা হলেন- সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নাজনীন হোসেন ও মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসমা কামরান। দীর্ঘদিন ধরে দলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন এ দুই নেত্রী। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে দলীয় মনোনয়ন না চাইলেও দলের জন্য তাদের রয়েছে দীর্ঘদীনের ত্যাগ ও শ্রম।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সূত্রে জানা গেছে- এবার সংরক্ষিত মহিলা আসনে নতুনদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে। এক্ষেত্রে যারা দলের ও সরকারের দুর্দিনে ত্যাগ স্বীকার করেছেন, বিভিন্ন কাজে অবদান রেখেছেন, দলের ও দলের সহযোগী সংগঠনে নিষ্ঠার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন তাদেরকেই মূল্যায়ন করবেন দলীয় প্রধান শেখ হাসিনা। এক্ষেত্রে দশম সংসদে যেসব জেলা সংরক্ষিত এমপি বঞ্চিত হয়েছে, সেসব জেলা থেকে অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করা হবে বলে জানা গেছে।
আওয়ামী লীগের এমন সিদ্ধান্ত শেষ পর্যন্ত থাকলে এবার সিলেট বিভাগের মৌলভীবাজার ও সিলেট জেলা থেকে দু’জন যেতে পারেন সংসদে। এক্ষেত্রে এগিয়ে আছেন মৌলভীবাজার-৩ আসনের প্রাক্তন সংসদ সদস্য ও প্রয়াত সমাজকল্যাণমন্ত্রী মহসিন আলীর স্ত্রী সায়রা মহসিন। মহসিন আলীর মৃত্যুর পর তিনি উপ নির্বাচনে বিজয়ী হলেও এবার তাকে মনোনয়ন দেয়নি আওয়ামী লীগ। তাই ধারণা করা হচ্ছে সংরক্ষিত মহিলা আসনে দেওয়া হতে পারে সায়রা মহসিনকে।
আর সিলেট থেকে এ পদে দেখা যেতে পারে নাজনীন হোসেন কিংবা আসমা কামরানকে। সিলেট জেলা আওয়ামী লীগের মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা নাজনীন হোসেন প্রয়াত জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মুক্তিযোদ্ধা ইফতেখার হোসেন শামিমের স্ত্রী। দীর্ঘদিন ধরে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত।
আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সদস্য ও সিলেট মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বদর উদ্দিন আহমদ কামরানের স্ত্রী মহানগর মহিলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসমা কামরান। তিনিও স্বামীর সাথে দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত আছেন। বিগত সিটি নির্বাচনে কামরানের পরাজয় সহজভাবে নেয়নি দলটি। দলের ধারণা অভ্যন্তরীণ কোন্দলের কারণেই হেরেছেন কামরান। তাই এই বিষয় বিবেচনায় এলে সংরক্ষিত আসনে চমক হয়ে আসতে পারেন আসমা কামরানও।
এছাড়া সুনামগঞ্জ-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় মানব সম্পদ বিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট শামিমা শাহরিয়ার এবারও মনোনয়ন পাননি। তিনি এলাকায় শক্ত অবস্থান তৈরীর পাশাপাশি কেন্দ্রীয় রাজনীতিতেও রয়েছেন আলোচনায়। তাই এবারো সুনামগঞ্জ থেকে সংরক্ষিত আসনে প্রার্থী দেওয়া হলে সংসদে যাওয়ার সুযোগ পেতে পারেন তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।