পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গণফোরাম সভাপতি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছেন, ভোট কারচুপির নির্বাচনে সংবিধানের সব বিধান লঙ্ঘিত হয়েছে। এটা সংবিধানের উপর আঘাত। এই অবৈধ নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ পরিচালিত হলে সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি হতে পারে। ৩০ ডিসেম্বর প্রহসনের নির্বাচনে যাদেরকে কমিশন নির্বাচিত ঘোষনা করেছে তারা কেউই নির্বাচিত নয় এবং যাদের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে তারা কেউই জনগণের প্রতিনিধি নয়। গতকাল রাজধানীর তোপখানা রোডে শিশু কল্যাণ পরিষদ মিলনায়তনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন। এ সময় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, গণফোরামের দুই বিজয়ী প্রার্থীর শপথ নেয়ার বিষয়টি দলীয় ফোরামের আলোচনা হয়েছে। সিদ্ধান্ত ইতিবাচক হতে পারে। তবে ড. কামালের নেতৃত্বে নির্বাচনে অংশ নেওয়া জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের প্রধান শরিক বিএনপির ৫ নির্বাচিত সদস্য শপথ নেবেন না বলে দলটির পক্ষ থেকে স্পষ্ট করা হয়েছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের হয়ে গণফোরাম প্রার্থী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর ধানের শীষ প্রতীকে মৌলভীবাজার-২ থেকে জয়ী হয়েছেন। এ ছাড়া সিলেট-২ থেকে গণফোরামের উদীয়মান সূর্য প্রতীকে জিতেছেন দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য মোকাব্বির খান। এ দুজনের শপথ নেওয়া প্রসঙ্গে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে ড. কামাল হোসেন বলেন, গণফোরামের বর্ধিত সভা চলছে। এতে সুনির্দিষ্ট আলোচনা করে আমরা সিদ্ধান্ত নেব। আমার নিজের ধারণা যে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আমরা নেব। বিষয়টা সিদ্ধান্ত সাপেক্ষে জানানো হবে।
এ বিষয়ে জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহ্বায়ক কামাল হোসেন নির্বাচনের দিন রাতে সংবাদ সম্মেলনে বলেছিলেন, তারা ‘প্রহসনের’ নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করেছেন। নির্বাচনের পরের দিন জোটের স্টিয়ারিং কমিটির বৈঠক শেষে শপথ প্রসঙ্গে কামাল হোসেন বলেছিলেন বিষয়টি বিবেচনাধীন। তবে ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র ও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তাঁরা সব ফলই প্রত্যাখ্যান করেছেন। কেউ শপথ নেবে না।
নির্বাচনকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ঐক্য থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে কামাল হোসেন বলেন, নীতিগতভাবে তিনি ঐক্যকে রাখার পক্ষে। তবে এগুলো সবই আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। সরকারে ওপর চাপ সৃষ্টি করার জন্য ঐক্য কাজ করবে বলে তিনি মনে করেন। এ ছাড়া জামায়াত প্রসঙ্গে জানান, জামায়াত ঐক্যফ্রন্টে নেই, ২০ দলের মধ্যে আছে।
নির্বাচনে ভোট ডাকাতি বা ভয়াবহ কারচুপির কথা বলছেন, এর কোন দলিল বা প্রমাণ কি আপনাদের কাছে আছে। আর যদি থেকে থাকে তাহলে কি আইনী পদক্ষেপ নেবেন? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের জবাবে ড. কামাল বলেন, ভোট ডাকাতির অনেক তথ্য প্রমাণ আছে। ভোটের আগের দিন রাতেই নৌকায় সিল মেরে ব্যালট বাক্স ভরে রাখা হয়েছে। তথ্য প্রমাণ নিয়েই আমরা আইনী পদক্ষেপের বিষয়টি চিন্তাভাবনা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন, গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক, মোস্তফা মহসীন মন্টু, নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী, এ ছাড়া দুই জয়ী প্রার্থী সুলতান মোহাম্মদ মনসুর, এডভোকেট মোকাব্বির খান, এডভোকেট জগলুল হায়দার আফ্রিক প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান গণফোরামের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা মোহসীন মন্টু। সেখানে বলা হয়, তফসিল ঘোষণা থেকে শুরু করে প্রতীক বরাদ্দের পর থেকে ঐক্যফ্রন্টসহ বিরোধী রাজনৈতিক দলগুলোকে মাঠে নামতে দেয়নি ক্ষমতাসীনরা। সেনাবাহিনী নামার পর পরিবেশের উন্নতি হবে বলে মনে করেছিল গণফোরাম। কিন্তু তারা বলে, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন, ও বিচার বিভাগ একজোট হয়ে অত্যন্ত পরিকল্পিত উপায়ে চরম নৈরাজ্যকর ও ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করে দেশের জনগণকে অসহায় করেে ফেলেছে। সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তারা আইনের আবরনে সেনাবাহিনীর ভূমিকাকে নিয়ন্ত্রণ করে অকার্যকর করে রাখে।
তিনি বলেন, আমাদের ভুলে গেলে চলবে না যে, ক্ষমতাসীন সরকার, নির্বাচন কমিশন, জনপ্রশাসন, পুলিশ প্রশাসন ও আদালত কেহই আইনের উর্ধ্বে নয়। নির্বাচন কমিশন প্রহসেন নির্বাচনের পর যাদের নির্বাচিত বলে ঘোষনা করেছে তারা কেউ নির্বাচিত নয়, যাদের গেজেট প্রকাশ করা হয়েছে তারা কেউ জনগণের প্রতিনিধি নয়। আমরা এই নির্বাচনকে ইতিপূর্বে ঘৃণাভরে প্রত্যাখান করেছি। অনতিবিলম্বে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জোর দাবি জানান। নোয়াখালীর সুবর্ণচরে ধর্ষণের ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করে গণফোরাম বলেছে, এ ঘটনায় জনগণের সাংবিধানিক অধিকার, মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকার ধর্ষিত হয়েছে।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।