Inqilab Logo

শুক্রবার, ২৮ জুন ২০২৪, ১৪ আষাঢ় ১৪৩১, ২১ যিলহজ ১৪৪৫ হিজরী

আমি বুদ্ধিজীবী বলছি

প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

স্টালিন সরকার : ‘অদ্ভুত আঁধার এক এসেছে এ পৃথিবীতে আজ/ যারা অন্ধ সবচেয়ে বেশি আজ চোখে দেখে তারা/ যাদের হৃদয়ে কোনো প্রেম নেই, প্রীতি নেই, করুণার আলোড়ন নেই/ পৃথিবী অচল আজ তাদের সুপরামর্শ ছাড়া’ কবি জীবনানন্দ দাশ এ কবিতার মাধ্যমে যেন আমাদের বুদ্ধিজীবীদের ‘জীবনচরিত’ উন্মোচন করে গেছেন। কোথায় চলছি আমরা? কোথায় চলছে আমার হৃদয়ের বাংলাদেশ! রাজনীতিকরা ব্যক্তিস্বার্থ ও দলীয় স্বার্থের রাজনীতি চর্চায় বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলাদেশকে কোন খাদে নিয়ে যাচ্ছেন? ১৬ কোটি মানুষের ৩২ কোটি হাতের দেশে কেন এই ভীতি, আতঙ্ক, উদ্বেগ, উৎকণ্ঠা? অথচ বুদ্ধিজীবীদের বিবেক বধির-অন্ধ।
রাজনীতিকরা দেশ পরিচালনা করেন। তারা দেশ পরিচালনায় এবং ব্যক্তিস্বার্থে ভুল পথে পা বাড়াতেই পারেন। কাজ করলে ভুল হতেই পারে। ভুল নীতি গ্রহণ করে আত্মসম্মান খুইয়ে বিদেশীদের কাছে ধরনা দিতেই পারেন। নিজেদের চেয়ার রক্ষার কৌশল গ্রহণ করতে হতে পারেন লেন্দুপ দর্জি-হামিদ কারজাই-নূরে আল মালিকী। চেয়ারের লোভে নীতি-নৈতিকতা চাপা দিয়ে দৌড়াতে পারেন মাঠে-ময়দানে। রাজনীতিকদের সে ভুল নীতি ধরিয়ে দেবেন দেশের বুদ্ধিজীবীরা। সরকারের ভুল সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ, মন্দ কাজের তিরস্কার এবং ভালো কাজের প্রশংসা করবেন বুদ্ধিজীবীরা, এটাই ঘটে দেশে দেশে। আমাদের বুদ্ধিজীবীরা (আমরা) কি সে দায়িত্ব পালন করছেনÑকরছি? দেশের বুদ্ধিজীবীরাই জাগিয়ে তোলেন জাতির বিবেক। তারাই জাতিকে জাগিয়ে রাখেন প্রবন্ধ-নিবন্ধ, সাংবাদিকদের কলম, গানের সুর, সিনেমা-নাটক, শিক্ষালয়ে পাঠদান, চিকিৎসা, প্রকৌশল ইত্যাদির মাধ্যমে। তারাই জাতির দামাল ছেলেদের উজ্জীবিত করে হায়েনাদের হাত থেকে জাতিকে রক্ষা করতে। একটি জাতিকে নিবীর্য করে দেবার প্রথম উপায় দেশকে বুদ্ধিজীবীশূন্য করে দেয়া। আমরা কি সে পথেই হাঁটছি না? দলবাজির কারণে কেউ শত নাগরিক কমিটি গঠন করছি; আবার কেউ সহ¯্র নাগরিক কমিটি গঠন করছি। কমিটি গঠনের প্রতিযোগিতা! তাহলে দেশের স্বার্থ দেখার বুদ্ধিজীবী থাকল কোথায়?
বুদ্ধিতে শেয়াল খুবই ধূর্ত। বেজি-খরগোশও কম চালাক নয়। তাদের বুদ্ধি নিজেদের জন্য, অন্যের কাজে আসে না। মানবসমাজে বুদ্ধিজীবীদের বুদ্ধি মানুষের ‘উপকারে’ আসে। বুদ্ধিজীবীরা সমাজে সম্মানিত হন। ‘বুদ্ধি’ শব্দ থেকে ‘বুদ্ধিজীবী’র প্রচলন। অভিধানে বুদ্ধিজীবী শব্দটির অর্থ বেশ উচ্চ স্তরে। অক্সফোর্ড ডিকশনারি অনুযায়ীÑ‘ওয়েল এডুকেটেড অ্যান্ড এনজয়িং অ্যাকটিভিটিজ ইন হুইচ ইউ হ্যাভ টু থিঙ্ক সিরিয়াসলি অ্যাবাউট থিংস।’ বাংলা একাডেমির অভিধানে বলা হয়েছে : ‘সমাজ ও সংস্কৃতি সচেতন এবং জ্ঞানবিজ্ঞানে দক্ষ সুশিক্ষিত মানুষ যারা বুদ্ধির বলে বা বুদ্ধির কাজ দিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন।’ বুদ্ধিজীবীর সরল সংজ্ঞা হলো : ‘যে ব্যক্তি নিজের বুদ্ধি দ্বারা জীবিকা নির্বাহ করে তাকে বুদ্ধিজীবী বলে।’ অর্থাৎ শারীরিক শ্রম বা অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কোনোরূপ ব্যবহার না করে যিনি তার মেধা দ্বারা উপার্জন করতে সক্ষম তাকে বুদ্ধিজীবী হিসাবে বিবেচনা করা যায়। যারা দেশের স্বাধীনতাকে ভিত্তি করে রাষ্ট্র এবং দেশের মানুষের কল্যাণের জন্য বিচার, বুদ্ধি, বিচক্ষণতা দিয়ে সার্বভৌমত্ব রক্ষার্থে কাজ করেন তারা বুদ্ধিজীবী। সোজা কথায় বুদ্ধিজীবী অর্থ লেখক, বিজ্ঞানী, চিত্রশিল্পি, কণ্ঠশিল্পী, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, গবেষক, সাংবাদিক, রাজনীতিক, আইনজীবী, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, স্থপতি, ভাস্কর, চলচ্চিত্র ও নাটকের সাথে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি, সমাজসেবী ও সংস্কৃতিসেবী। কয়েক বছর থেকে বিদেশী টাকায় এনজিও খুলে গরীব ঠকিয়ে গাড়ি-বাড়ির মালিক হয়েছেন তারাও এখন বুদ্ধিজীবীভুক্ত।
ওয়েল এডুকেটেড (সুশিক্ষিত) শব্দ বাদ দিলেই বাংলাদেশকে নিঃসন্দেহে বুদ্ধিজীবীসমৃদ্ধ একটি দেশ হিসেবে গণ্য করা যায়। টিভি খুললেই বোঝা যায় বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবীর ছড়াছড়ি। টিভির টকশোতে এক ব্যক্তিই অর্থনীতি, বিজ্ঞান, সমাজনীতি, ভুগোল, পররাষ্ট্রনীতি, আন্তর্জাতিক রাজনীতি, অপরাধ, মিডিয়া, চিকিৎসা, ভূমি অধিকার, নির্বাচন, সংবিধান, স্থানীয় সরকার, প্রবাসী শ্রমিক, ধর্ম, আইটি এক্সপার্ট, বাংক বিশেষজ্ঞ হিসেবে তাবৎ বিষয়ে জাতিকে জ্ঞানদান করছেন। বুদ্ধিজীবীদের এই জ্ঞানদান প্রতিযোগিতায় দেশের গণতন্ত্র, আইনের শাসন, ভোটের অধিকার যে ধুলায় গড়াগড়ি দিচ্ছে সেদিকে তাদের খেয়াল নেই। ১০ বছরেও গ্রামের কৃষকের সঙ্গে যোগাযোগ করেননি অথচ তিনিই কৃষকের অন্তরের কথা অবলিলায় বলে দিচ্ছেন। চিকিৎসার ‘চ’ জানেন না অথচ তিনি ডাক্তারি নিয়ে টিভিতে জ্ঞানদান করছেন। বিজ্ঞানের বই পড়েনি; অথচ ডক্টর কুদরত ই খুদার মতো বিজ্ঞানের জ্ঞান টকশোতে বিতরণ করছেন।
বাংলাদেশের বুদ্ধিজীবীদের তিন ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। সুবুদ্ধিজীবী, কুবুদ্ধিজীবী ও সুবিধাজীবী। সুবুদ্ধিজীবীরা কেমন তা সকলেই জানেন। সমস্যা কুবুদ্ধিজীবী ও সুবিধাজীবীদের নিয়ে। তাদেরকে শনাক্ত করা কঠিন। কারণ তারা সুবুদ্ধিজীবীদের মাঝে মিশে থাকেন। সুবুদ্ধিজীবীরা ব্যক্তি ও দলীয় স্বার্থের ঊর্ধ্বে উঠে দেশ-জাতির স্বার্থে জাতিকে সঠিক পদনির্দেশনা দেন। বুদ্ধি, বিবেক, জ্ঞান, মেধা তার নিজের, পরিবারের ও আত্মীয় স্বজনের বাইরে রাষ্ট্র এবং সমাজের কাজে লাগান। দেশপ্রেম ও জনগণ শব্দ দুটো তাদের কাছে সবচেয়ে অর্থবোদক। কুবুদ্ধিজীবীর কোনো ন্যায়-অন্যায় বোধ থাকে না। নিজ স্বার্থের অনুকূলে রাষ্ট্র ও সমাজের যে কোনো অন্যায়কে এবং তা থেকে সৃষ্ট ক্ষতিকে অন্ধের মত সমর্থন করেন এবং কখনো কখনো এসব কাজে নিজেকে জড়িত করেন। আর সুবিধজীবীরা যেদিকে সুবিধা পাবেন সেদিকে ছাতা ধরেন। কিছু অর্থ দিলে বামপন্থীরাও একের কাছ থেকে বিবৃতি কিনতে পারেন, ডানপন্থীরাও পারেন।
দেশের গণতন্ত্র, ভোটের অধিকার নিশ্চিহ্ন হয়ে পড়া এবং নেতাদের বিদেশমুখীতার জন্য বুদ্ধিজীবীদের দায়ী করে থাকেন কিছু বিবেকবান মানুষ। যারা এক অভিযোগ করেন তারাও বু্িদ্ধজীবী; তবে দলবাজির বাইরে থাকায় আড়ালে তাদের বিচরণ। কি সরকার কি মাঠের বিরোধী দল কেউ তাদের গুরুত্ব দেন না। তবে যখন যার পক্ষে বক্তব্য যায় তখন তারা বাহবা দেন। ’৮০ দশকের শেষের দিকে এরশাদবিরোধী আন্দোলনের সময় অধ্যাপক আবুল কালাম মনজুর মোরশের্দের নের্তৃত্বে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষক ‘এরশাদ হটানোর’ দাবিনামা নিয়ে বারিধারার আমেরিকান এম্বেসী ঘেরাও করেন। অতঃপর ক্ষমতায় থাকা ও ক্ষমতায় যাওয়া নিয়ে রাজনীতিকরা বিদেশীদের কাছেই ধরনা দিতে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। এমনকি ২০০৭ সালেও বিএনপির মহাসচিব আবদুল মান্নান ভূঁইয়া ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল জলিলের সংলাপের ‘নিরপেক্ষ ভেন্যু’ হিসেবে আমেরিকান এম্বেসির নাম প্রস্তাব করে আওয়ামী লীগ। অবশ্য সে সংলাপ অনুষ্ঠিত হয় জাতীয় সংসদের ভিতরে লবিতে। প্রশ্ন হলো আমাদের নেতারা রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে দেশপ্রেম জাতীয়তাবাদকে উপেক্ষা করে জনগণকে যখন চরম অনিশ্চয়তার মুখে ফেলে দিয়েছেন; তখন বুদ্ধিজীবীরা তাদের সঠিক পথে নেয়ার চেষ্টার বদলে নিজেরাও দুই ধরায় বিভক্ত হয়ে গেলেন কেন? কারণ সুবিধাবাদিতা। সুবুদ্ধিজীবী, কুবুদ্ধিজীবী ও সুবিধাজীবীর যে সংজ্ঞা দেয়া হয়েছে কারণ সেটাই। সরকারি দলের তোষামোদি করে অনেকেই যেমন বিশ্ববিদ্যালয়ের মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান, রাষ্ট্রদূত, ব্যাংকের চেয়ারম্যান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিসহ বড় বড় পদ বাগিয়ে নিয়েছেন। আবার অনেকেই রয়েছেন ক্ষমতার পালাবদল ঘটলেই একই সুবিধা নেবেন। এদের সাধারণ মানুষ পতিত বুদ্ধিজীবী হিসেবে আখ্যায়িক করেন। পতিত ও পতিতার সংজ্ঞা হলো সমাজ থেকে যারা পতিত। তাহলে পতিতা বলতে আমরা যা বুঝি তা হলো টাকার বিনিময়ে কারো হাতে নিজের দেহ তুলে দেয়া হয়। তদ্রƒপ পতিত বুদ্ধিজীবী বলতে মূলত তাদের কে বোঝানো হয় যারা টাকার বিনিময়ে নিজের বিবেক, বুদ্ধি, মনুষ্যত্ব মেধাকে বিক্রি করে দেন। বাকস্বাধীনতার অপব্যবহার করে বিভিন্ন মিডিয়া বা টকশোতে মিথ্যার পক্ষে স্টান্টবাজি করেন।
এদেশের মানুষ রাজনীতি সচেতন। গান-নাটক-সিনেমার চেয়েও টিভিতে রাজনৈতিক কথাবার্তা বেশি পছন্দ করেন। সে সুযোগ নিয়ে টিভি চ্যানেলগুলো নানা ধরনের নাম দিয়ে রাজনীতির আলোচনা অনুষ্ঠান করা হয়। সেখানে দেখা যায় অনেক ব্যক্তি নিজেকে একজন বুদ্ধিজীবী হিসেবে আত্মপ্রকাশ করান। অভিযোগ রয়েছে প্রথম প্রথম অনুষ্ঠানের আয়োজকদের অর্থ দিয়ে টশশোতে যাওয়ার সুযোগ নেয়া হয়। অতপর কিছু পরিচিতি পেলে নিজেরাই অর্থ পান। আবার কর্পোরেট হাউজের কিছু মিডিয়া কিছু কিছু ব্যক্তিকে টার্গেট করে তাদের নামের আগে বেশ কিছু বিশেষণ যুক্ত করে বুদ্ধিজীবী টাইটেল দিয়ে পরিচিত করে তোলেন। এদের অনেকের পিছনে বিদেশী শক্তি ও অর্থ কাজ করে।
মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হলোÑ‘সমতা, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায় বিচার’। ’৭০ সালে নির্বাচিত সরকারের হাতে ইয়াহহিয়া ক্ষমতা না দেয়ায় বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে মুক্তিযুদ্ধ হয়। সেই গণতন্ত্র, মানুষের ভোটের অধিকার আজ ভূলুণ্ঠিত। জাতীয় নির্বাচনের ১৫৩ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হয়। এখন ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে ভোটের নামে নাটক-সিনেমা হচ্ছে। রাজনীতিকরা ক্ষমতার মোহে না হয় অন্ধ হয়ে গেছেন। কিন্তু বুদ্ধিজীবীরা? তারা তো প্রতিবাদ করতে পারেন? কিন্তু সেটা না করে তারা দুই ধারায় বিভক্ত হয়ে পতিতবৃত্তি করে জাতির বিবেককে ধ্বংস করে দিচ্ছে।  সমালোচনার নামে নিরপেক্ষতার চাদর গায়ে দিয়ে সুকৌশলে নিত্যদিন মিথ্যার বেসাতি করছে। মানুষ তাদের কথা শুনে আগে ছি-ছা করত; এখন তেমন প্রতিক্রিয়া দেখানোর প্রয়োজন মনে করে না। এখন সময় এসেছে পতিত বুদ্ধিজীবীদের চিনে রাখার। বর্তমান প্রজন্মের উচিত এদের চিহ্নিত করে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করা। কারণ রাজনীতিকরা ক্ষমতায় থাকা ও ক্ষমতায় যাওয়ার লোভে গণতন্ত্র, মানুষের ভোটের অধিকার নষ্ট করছে। আর বুুুুুুুুুদ্ধিজীবী নামের এই পতিতজীবীরা মানুষের বিবেক-বুদ্ধি, ন্যায়নীতি, ভালোমন্দ বোঝার ক্ষমতাকে ধ্বংস করছে। আমরা যারা বুদ্ধিজীবী আসুন নিজেই নিজেদের প্রশ্ন করি। আপনি কি ঠিক পথে আছেন? একটি পত্রিকার সম্পাদক প্রতিদিন ৩ থেকে ৪টি টিভির টকশোতে অংশ নিচ্ছেন। হেন বিষয় নেই তিনি জাতিকে ছবক দিচ্ছেন না। দু’দিন আগে তিনি তার পত্রিকার একজন সাংবাদিককে পিটিয়ে রক্তাক্ত করেন এবং সেই সাংবাদিক বর্তমানে শমরিতা হাসপাতালে ভর্তি। পশু মানুষের ওপর আক্রমণ করে, সন্ত্রাসীরা মানুষকে রক্তাক্ত করে; কিন্তু পত্রিকার সম্পাদক কর্মরত সাংবাদিককে রক্তাক্ত করল? কারণ কী? কারণ ওই সম্পাদক একটি বিশেষ বিষয় নিয়ে আলোচনার জন্য টিভির টকশোতে যাবেন। আর ওই বিষয় সম্পর্কে ধারণা পেতে জসিম উদ্দিন বাদল নামের ওই সাংবাদিককে সে সম্পর্কে রিপোর্ট তৈরি করার নির্দেশ দেন। রিপোর্টটি যথাসময়ে (টকশোর আগে) তৈরি না হওয়ায় সম্পাদক হিং¯্র হায়নার মতো সাংবাদিকের উপর ঝাঁপিয়ে পড়েন। পাঠক বুঝুন; এই আমরাই হলাম বুদ্ধিজীবী!



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: আমি বুদ্ধিজীবী বলছি
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ