পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সাক্ষাত পাচ্ছেন না তার পরিবারের সদস্য, দলের নেতা এমনকি চিকিৎসকরাও। দলটির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়, তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী, দুইবারের বিরোধী দলের নেতা, রাজপথের প্রধান বিরোধী দলের প্রধান হলেও তার সাথে কেউ সাক্ষাতের অনুমতি পাচ্ছেন না। একাধিক চিঠিতে সাক্ষাতের অনুমতি চাওয়া হলেও কোনটিরই জবাব পাওয়া যাচ্ছে না বলেও বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়। বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, কারাবিধি অনুয়ায়ি প্রতি ১৫দিন অন্তর পরিবারের স্বজনরা কারাবন্দির সাথে সাক্ষাত করতে পারেন। কিন্তু এবার ১৮ দিন হয়ে গেলেও এখনো খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাতের অনুমতি পায়নি তারা। এমনকি দলের সিনিয়র নেতা এবং চিকিৎসকদের পক্ষ থেকে আবেদন করা হলেও কোন সাড়া পাওয়া যায়নি। বিএনপি চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শামসুদ্দিন দিদার জানান, সর্বশেষ ২ জানুয়ারি দলের সিনিয়র নেতারা সাক্ষাত চেয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর কাছে আবেদন করেছেন। এর আগে পরিবারের সদস্যরা বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাত চেয়ে ২৮ ডিসেম্বর ও ২২ ডিসেম্বর কারা মহাপরিদর্শক ও জেল সুপারের কাছে আবেদন করে। তিনি বলেন, ১৮ দিন হয়ে গেল কিন্তু পরিবারের সদস্যরা খালেদা জিয়ার সাক্ষাত পাচ্ছে না। অসুস্থ্য বেগম জিয়াকে নিয়ে তাই পরিবারের সদস্যরা বেশ উদ্বিগ্ন।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, গত ১২ ডিসেম্বর থেকে কয়েকদফা সিনিয়র নেতা, চিকিৎসক ও পরিবারের সদস্যরা খালেদা জিয়ার সাক্ষাত চেয়ে চিঠি দিয়েছে। এর মধ্যে গত ২ জানুয়ারি সিনিয়র নেতারা সাক্ষাত চেয়ে চিঠি দিয়েছেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের কাছে। এর আগে ২৮ ডিসেম্বর পরিবারের সদস্যরা আবেদন করেছেন কারা মহাপরিদর্শক ও জেল সুপারের কাছে। ২২ ডিসেম্বরও পরিবারের সদস্যরা জেল সুপারের কাছে আবেদন করে। ২১ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ অনুমতি চেয়ে স্বরাষ্ট্র সচিব, কারা মহাপরিদর্শক ও জেল সুপারের কাছে আবেদন করে। ১৬ ডিসেম্বর দলের সিনিয়র নেতারা অনুমতি চাইলেও পাননি।
২ জানুয়ারি দলের সিনিয়র নেতারা খালেদা জিয়ার সাক্ষাত চেয়ে করা আবেদনে বলা হয়, বিএনপির সিনিয়র নেতৃবৃন্দকে দীর্ঘদিন যাবৎ কারাগারে অবস্থানরত বেগম খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাত করার অনুমতি প্রদান করা হচ্ছে না। আমরা বিভিন্ন সূত্রে জানতে পেরেছি যে, তার শারীরিক অবস্থার আরো অবনতি হয়েছে। আমরা দলের সাত জন সিনিয়র নেতৃবৃন্দ জরুরী ভিত্তিতে তার শারীরিক অবস্থার সার্বিক খোঁজ নেয়ার জন্য চেয়ারপারসনের সাথে কারাগারে সাক্ষাত করতে ইচ্ছুক। এর আগে ২৮ ডিসেম্বর পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাত চেয়ে আবেদনে বলেন-পরিবারের সদস্যরা গত ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কারাগারে খালেদা জিয়ার সাথে সাক্ষাত করেছেন। তার আত্মীয়-স্বজন পুনরায় জরুরী প্রয়োজনে সাক্ষাত করতে ইচ্ছুক। সেখানে পরিবারের পাঁচ সদস্যের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তারা হলেন- শামিম ইস্কান্দার, কানিজ ফাতেমা, শাহিনা খান বিন্দু, শামস ইস্কান্দার ও অভিক ইস্কান্দার। যদিও এর আগে ২৩ ডিসেম্বর জরুরী সাক্ষাত চেয়ে আগের দিন ২২ ডিসেম্বর আবেদন করেন পরিবারের সদস্যরা। কিন্তু সে সময় তারা সাক্ষাতের অনুমতি পাননি।
এছাড়া গত ২১ ডিসেম্বর খালেদা জিয়ার সাথে ব্যক্তিগত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ খালেদা জিয়ার সাক্ষাত চেয়ে আবেদন করেন। তাদের আবেদনে বলা হয়- দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন যাবৎ কারাগারে রয়েছেন এবং দায়িত্বপ্রাপ্ত বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ তার শারীরিক অবস্থার খোঁজ-খবর নেবার সুযোগ পাননি। ফলে বর্তমানে বেগম খালেদা জিয়ার শারীরিক সমস্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। সে কারণে প্রফেসর ডা. এফ এম সিদ্দিকী (মেডিসিন), প্রফেসর ডা. ওয়াহিদুর রহমান (নিউরো মেডিসিন), ডা. মোহাম্মদ আল মামুন (হৃদরোগ), প্রফেসর ডা. সিরাজউদ্দিন আহমেদ (অর্থপেডিক্স), প্রফেসর ডা. রাজিবুল আলম (রিওমেটোলজিস্ট) ও প্রফেসর ডা. এম এ কুদ্দুস (অফথামোলজিস্ট) বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকগণ এবং টেকনিশিয়ান মোঃ শরীফউল্ল্যাহকে তার প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য করুরিভাবে কারাগারে সাক্ষাত করা প্রয়োজন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কারাগারের ডিআইজি (ঢাকা) টিপু সুলতান বলেন, এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেন আইজি প্রিজন। উচ্চ পর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুয়ায়ি বিএনপির আবেদনের বিষয়ে কাজ করা হয়। গতকাল আইজি প্রিজনের সাথে কথা বলার জন্য যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
গতবছর ৮ ফেব্রæয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হয়ে নাজিম উদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। ####
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।