Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

রাবি অধ্যাপক ও পীর হত্যা একই কায়দায় : রামেক

প্রকাশের সময় : ৯ মে, ২০১৬, ১২:০০ এএম

ইনকিলাব ডেস্ক : রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ইংরেজি বিভাগের অধ্যাপক ড. এএফএম রেজাউল করিম সিদ্দিকী এবং নগরীর উপকণ্ঠ নওহাটা এলাকার পীর শহিদুল্লাহ হত্যাকা-ের ধরন একই। গতকাল রোববার সকালে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রভাষক ড. এনামুল হক নিহত ‘পীর’ শহিদুল্লাহর লাশের ময়নাতদন্ত শেষে এ তথ্য জানিয়েছেন।
ডা. এনামুল হক জানান, এই দু’জনকে হত্যার ক্ষেত্রে প্রায় একই ধরনের অস্ত্র ব্যবহার করা হয়েছে। রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রেজাউল করিমের মতো শহিদুল্লাহকেও ঘাড়ের ডান পাশে কুপিয়ে হত্যা করা হয়। এদিকে, রাজশাহীর পুলিশ সুপার নিশারুল আরিফ জানান, শহিদুল্লাহর খুনের ধরনের সঙ্গে সম্প্রতিক ঘটে যাওয়া হত্যাকা-ের মিল আছে। সেদিকে গুরুত্ব দিয়ে ঘটনাটি তদন্ত করা হচ্ছে।
এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় তানোর উপজেলার জুমারপাড়া এলাকার একটি আম বাগান থেকে পীর শহিদুল্লাহর গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। শহিদুল্লাহর বাড়ি নওহাটা পৌর এলাকার মহানন্দখালি এলাকায়। শনিবার বিকেলে পরিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে। গোয়ালন্দ ঘাটের পীর নূর মোহাম্মদ দয়ালের ভক্ত ছিলেন। তার নিজেরও কিছু ভক্ত-অনুরাগী ছিল। তানোর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানান, এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে নিহতের ছেলে রাসেল আহম্মেদ বাদী হয়ে তানোর থানায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় এখনো কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। তবে পারিবারিক, ব্যক্তিগত বিরোধ ছাড়া জঙ্গি ইস্যু সামনে রেখে তদন্ত এগিয়ে চলেছে বলে জানান তিনি।
এদিকে, নিহতের ছেলে রাসেল আহম্মেদ জানিয়েছেন, গোয়ালন্দ ঘাটের পীর নূর মোহাম্মদ দয়ালের ভক্ত ছিলেন তার বাবা। মাঝেমধ্যেই তিনি সেখানে গিয়ে থাকতেন। সম্প্রতি চাঁপাইনবাবগঞ্জের নাচোল ও গোমস্তাপুর এলাকায় তার বাবার কিছু ভক্ত হয়েছে। বিভিন্ন সময় তাদের বাড়িতেও যেতেন তার বাবা। এর আগে অধ্যাপক রেজাউলকে কুপিয়ে হত্যা ঘটনার পরপরই দায় স্বীকার করে কথিত বিবৃতি দেয় উগ্রপন্থী সংগঠন আইএস। তবে পীর হত্যার দায় স্বীকার করেনি কেউই। সূত্র: শীর্ষ নিউজ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: রাবি অধ্যাপক ও পীর হত্যা একই কায়দায় : রামেক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ