পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
শামসুল ইসলাম : জনশক্তি রফতানিতে আশার আলো দেখা যাচ্ছে না। জনশক্তি রফতানির উল্লেখযোগ্য শ্রমবাজার সউদী আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কুয়েত ও মালয়েশিয়ার দ্বার খুলছে না। তেলের মূল্য সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসায় মধ্যপ্রাচ্যের অনেক দেশই বিদেশী কর্মী নিয়োগে সতর্কতা অবলম্বন করছে। সম্প্রতি সউদী আরবের বিন লাদেন কোম্পানীর প্রায় ৭০ হাজার কর্মী ছাঁটাইয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এনিয়ে প্রবাসী কর্মীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ২০০৯ সাল থেকে সউদী আরব ও ২০০৭ সাল থেকে কুয়েতে অঘোষিতভাবে কর্মী নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। তবে দেশ দু’টিতে হাতে গোনা কিছু কর্মী যাচ্ছে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের শ্রমবাজার ২০১২ সালের আগস্ট মাস থেকে বন্ধ রয়েছে। দেশটিতে প্রচুর বাংলাদেশী কর্মীর চাহিদা রয়েছে। দেশটি এখন বাংলাদেশ থেকে পুরুষ কর্মীর পরিবর্তে শুধু মহিলা গৃহকর্মী নিচ্ছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি সংযুক্ত আরব আমিরাতে অধিকহারে বাংলাদেশী দক্ষ কর্মী নিয়োগের জন্য ঢাকায় নিযুক্ত সংযুক্ত আরব আমিরাতে রাষ্ট্রদূত ডক্টর সাঈদ বিন হাজার আল-সেহি’কে অনুরোধ জানান। রাষ্ট্রদূত ডক্টর সাঈদ বিন হাজার আল-সেহি বাংলাদেশ থেকে দক্ষ কর্মী নেয়ার বিষয়ে তার সরকারের সহায়তার আশ্বাস প্রদান করেন। তিনি সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত বাংলাদেশী কর্মীদের কাজের প্রশংসা করেন। ইতিপূর্বে মধ্যপ্রাচ্যসহ প্রধান জনশক্তি আমদানিকারক দেশগুলোতে রফতানিকারক হিসেবে বাংলাদেশই ছিলো প্রথম সারির দেশ। অথচ এইসব দেশগুলোতে এখন বাংলাদেশের জনশক্তি রফতানি নাম মাত্র পর্যায়ে নেমে এসেছে। যুদ্ধবিগ্রহসহ নানা কারণে ইরাক, লিবিয়া, কুয়েত, ইয়েমেন, সুদান প্রভৃতি দেশের শ্রমবাজার এমনিতেই কয়েক বছর ধরে বন্ধ বলা চলে। মধ্যপ্রাচ্যে বাংলাদেশ পিছিয়ে পড়লেও পর্যাপ্ত শ্রমিক রফতানি করছে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, মিয়ানমার, শ্রীলঙ্কা ও ইন্দোনেশিয়া। অনেক ক্ষেত্রে বাংলাদেশের কর্মীদের স্থান দখল করে নিয়েছে এই দেশগুলোর কর্মীরা। মন্ত্রণালয়ের প্রয়োজনীয় উদ্যোগ, চেষ্টা, লবিং, কূটনৈতিক তৎপরতা ও আন্তরিকতার অভাবে বাংলাদেশের শ্রমবাজার একের পর এক হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে অভিজ্ঞ মহল এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন।
বন্ধকৃত মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার পুনরুদ্ধারে আমাদের মিশনগুলোর ইতিবাচক কোনো ভূমিকা রাখতে পারছে না। ফলে তেল সমৃদ্ধ মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজার একচেটিয়া দখল করে নিচ্ছে পার্শ্ববর্তী দেশগুলো। বিদেশে বাংলাদেশী মিশনগুলোর চরম ব্যর্থতার দরুন উল্লেখিত শ্রমবাজারের কোনো আশার আলো উঁকি মারছে না। মিশনগুলো কর্মতৎপরতা শুধু জাতীয় দিবসগুলোতে অনুষ্ঠান পালনের মধ্যে সীমাবদ্ধ। বন্ধকৃত শ্রমবাজারের দ্বার উন্মুক্ত না হওয়ায় জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলো অলস দিন কাটাচ্ছে। গত এপ্রিল মাসে ঢাকায় সউদী পররাষ্ট্র মন্ত্রী’র সংক্ষিপ্ত সফর ও অতিসম্প্রতি কুয়েতের প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশে সফরে আসলেও দেশ দু’টিতে জনশক্তি রফতানি বৃদ্ধির ব্যাপারে তেমন কোনো আশ্বাস পাওয়া যায়নি। ২০০৯ সাল থেকে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি বন্ধ রয়েছে। বহু কূটনৈতিক তৎপরতার পর মালয়েশিয়ায় জিটুজি প্রক্রিয়ায় কর্মী প্রেরণ শুরু হলেও বিগত তিন বছরে তা’ সফল হয়নি। এ যাবত মাত্র ১০ হাজার কর্মী স্বল্প অভিবাসন ব্যয়ে মালয়েশিয়ায় চাকরি লাভ করেছে। প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি’র আন্তরিক প্রচেষ্টায় গত ১৮ ফেব্রুয়ারী মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি চালুর লক্ষ্যে উভয় দেশের মধ্যে জিটুজি প্লাস সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছিল। কিন্ত পরের দিন ১৯ ফেব্রুয়ারী পূর্ব মালয়েশিয়ার সারওর্য়াকে সেনাবাহিনীর সাথে বৈঠক শেষে মালয়েশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী দাতো শ্রী ড. আহমদ জাহিদ হামিদি বাংলাদেশসহ অন্যান্য সোর্স কান্ট্রি থেকে অভিবাসী কর্মী নেয়ার সিদ্ধান্ত স্থগিত করেছেন। মালয়েশিয়া সরকারের ঘোষণা এমন সময়ে দেয়া হয়েছে যখন বাংলাদেশ থেকে অনলাইনের মাধ্যমে নতুন করে কর্মী নেয়ার ব্যাপারে জিটুজি প্লাস সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে। মালয়েশিয়া সরকার অভিবাসী কর্মী নিয়োগের সিদ্ধান্ত স্থগিত ঘোষণা করায় বাংলাদেশী কর্মী ও রিক্রুটিং এজেন্সি’র মালিকদের মাঝে চরম হতাশার সৃষ্টি হয়েছে।
বিভিন্ন সেন্ডিং কান্ট্রি মধ্যপ্রাচ্যের এসব দেশগুলোতে তাদের মহিলা গৃহকর্মী প্রেরণ কমিয়ে দিয়েছে। ফলে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে মহিলা গৃহকর্মীর সংকট তীব্র আকার ধারণ করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সউদী আরবসহ মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো বাংলাদেশ থেকে মহিলা গৃহকর্মী আমদানী করতে হুমড়ি খেয়ে পড়েছে। ২০১৫ সালে সউদী সরকার বাংলাদেশ থেকে মহিলা গৃহকর্মী নিতে ঢাকার সাথে দ্বি-পাক্ষিক সমঝোতা স্মারকে স্বাক্ষর করে। ঐ চুক্তি অনুযায়ী সউদীতে মহিলা গৃহকর্মীর সাথে ১০টি ক্যাটাগরিতে বিনা খরচে একজন করে পুরুষ কর্মী নিতেও প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই প্রতিশ্রুতি অদ্যাবধি বাস্তবায়িত হয়নি। বহু দেন দরবারের পর সউদী সরকার দু’শ’ মহিলা গৃহকর্মীর সাথে একশ’ পুরুষ কর্মী নিতে সম্মত হয়েছে। গত জানুয়ারী থেকে এপ্রিল পর্যন্ত মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে ৪৭ হাজার ৬শ’ ৪জন মহিলা গৃহকর্মী বিনা অভিবাসন ব্যয়ে কর্মসংস্থান লাভ করেছে। ২০১৫ সালে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে ৫ লাখ ৫৫ হাজার কর্মী চাকরি লাভ করেছে। এর মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতেই ১ লাখ ৩ হাজার ৭শ’ ১৮জন মহিলা গৃহকর্মী চাকুরি লাভ করেছে। বায়রার ইসি’র সদস্য নূরুল আমিন গতকাল ইনকিলাবকে বলেন, বাংলাদেশী মিশনগুলোর কূটনৈতিক তৎপরতার অভাবে মধ্যপ্রাচ্যের বন্ধ শ্রমবাজার চালু হচ্ছে না। মধ্যপ্রাচ্যের শ্রমবাজারগুলোতে ভারতীয় মিশনগুলো প্রতিনিয়ত বিভিন্ন মেগা কোম্পানীর সংশ্লিষ্ট এলিট পারসনের সাথে মতবিনিময় ও সেমিনার সিম্পোজিয়ামের আয়োজন করে থাকে। আমাদের মিশনগুলো এ ধরনের উদ্যোগ নিতে পারছে না। তিনি বলেন, মধ্যপ্রাচ্যে তেলের মূল্য সর্বনিম্ন পর্যায়ে নেমে আসায় এসব দেশগুলোর অনেকেই বিদেশী কর্মী নিয়োগে সতর্কতা অবলম্বন করছে। বাংলাদেশী মিশনগুলো যদি ব্যবসা বান্ধব হতো তা’ হলে শ্রমবাজার হাত ছাড়া হবে না। বায়রা নেতা নূরুল আমিন বলেন, মিশনগুলোর প্রয়োজনীয় জনবল ও লজিস্টিক সাপোর্ট না থাকায় শ্রমবাজার সম্প্রসারণে তেমন ভূমিকা রাখতে পারছে না। তিনি জনশক্তি রফতানির গতি বাড়াতে হলে মিশনগুলোকে ঠেলে সাজানোর উপর গুরুত্বারোপ করেন।
গতকাল রোববার ঢাকার ইস্কাটনস্থ প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসির কক্ষে বাংলাদেশস্থ সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রদূত ডক্টর সাঈদ বিন হাজার আল-সেহি এক সৌজন্য সাক্ষাতে মন্ত্রীর সাথে মিলিত হন। সাক্ষাৎকালে বাংলাদেশ থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মী প্রেরণের বিষয়ে রাষ্ট্রদূতের সাথে সার্বিক আলোচনা হয়।
সাক্ষাতের শুরুতেই মন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি বলেন, বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীদের পছন্দের তালিকায় প্রথমেই রয়েছে সংযুক্ত আরব আমিরাত। বর্তমানে বাংলাদেশি প্রবাসী কর্মীদের একটি বৃহৎ অংশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে কর্মরত রয়েছে। বাংলাদেশি কর্মীরা তাদের কঠোর পরিশ্রমের মাধ্যমে একদিকে যেমন সুনাম অর্জন করেছে অন্যদিকে বাংলাদেশ ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনীতিতে অবদান রাখছে। সাক্ষাৎকালে মন্ত্রী বাংলাদেশ থেকে অধিক হারে দক্ষ-কর্মী নেওয়ার জন্য রাষ্ট্রদূতকে অনুরোধ জানান। এছাড়া শিক্ষক, আইটি প্রফেশনাল, ইঞ্জিনিয়ার, ডাক্তার ও নার্স নেওয়ার জন্যও রাষ্ট্রদূতের মাধ্যমে সেদেশের সরকারকে অনুরোধ জানান। উল্লেখ্য, বর্তমানে সংযুক্ত আরব আমিরাতে ১০ লক্ষাধিক বাংলাদেশি কর্মী কর্মরত রয়েছে।
সাক্ষাৎকালে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব বেগম শামছুন নাহার, অতিরিক্ত সচিব জাবেদ আহমেদ, জনশক্তি, কর্মসংস্থান ও প্রশিক্ষণ ব্যুরোর মহাপরিচালক মো. সেলিম রেজা, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম সচিব মো. আবদুর রউফ, যুগ্ম সচিব মো. বদরুল আরেফিন এবং মন্ত্রীর একান্ত সচিব মু. মোহসিন চৌধুরী উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে, গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী নুরুল ইসলাম বিএসসি ও মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রী দাতো শ্রী রিচার্ড রায়ত জায়েম পাঁচ বছরের জন্য বাংলাদেশ থেকে কর্মী নেওয়ার লক্ষ্যে জিটুজি প্লাস সমঝোতা স্মারকে সই করেন। যদিও মালয়েশিয়ার মানব সম্পদ মন্ত্রী দাতো শ্রী রিচার্ড রায়ত জায়েম এক বিবৃতিতে বলেছেন, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি জনশক্তি আমদানির উপর জারিকৃত নিষেধাজ্ঞা জনশক্তি আমদানির লক্ষ্যে বাংলাদেশের সাথে স্বাক্ষরিত জিটুজি প্লাস চুক্তিতে কোনো প্রভাব পড়বে না।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালের মার্চ মাস থেকে মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি বন্ধ রয়েছে। বহু কূটনৈতিক তৎপরতার পর ২০১২ সালে মালয়েশিয়ার সাথে বাংলাদেশের জিটুজি প্রক্রিয়ায় শুধু প্ল্যানটেশন খাতে সরকারি উদ্যোগে কর্মী যাওয়ার চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছিল। জিটুজি প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়া কর্মী প্রেরণের জন্য ডাকঢোল পিটিয়ে দুদফায় সারা দেশ থেকে প্রায় ২২ লাখ কর্মীর নিবন্ধন করা হয়েছিল। কিন্তু জিটুজি প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়ায় জনশক্তি রফতানি চরমভাবে ব্যর্থ হয়েছে। ২০১৩ সালের ২৪ এপ্রিল থেকে স্বল্প অভিবাসন ব্যয়ে এ পর্যন্ত প্রায় ১০ হাজার কর্মী জিটুজি প্রক্রিয়ায় মালয়েশিয়া গেছে। মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী দেশটিতে সকল অবৈধ অভিবাসী কর্মীদের বৈধকরণের ঘোষণা দিয়েছেন। মালয়েশিয়ায় অবস্থানরত অবৈধ কর্মীদের নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। সকল কাগজপত্র সঠিকভাবে নথিবদ্ধ করেই এবারের নিবন্ধনের কাজ শুরু হয়েছে। অবৈধ কর্মীদের বৈধতা পাওয়ার সুযোগ ও মালয়েশিয়ার কর্মী চাহিদা মেটানোর কথা মাথায় রেখেই এ ব্যবস্থা নিয়েছে মালয়েশিয়া সরকার। তবে এ সুযোগের আওতাধীনদের বিশেষ কিছু শর্ত বেঁধে দেওয়া হয়েছে। বিদেশি কর্মী নেওয়া বন্ধ থাকায় কর্মী সঙ্কটে পড়েছে মালয়েশিয়ার বেশির ভাগ শিল্প কারখানা। কর্মীর অভাবে কারখানা মালিকরা নির্দিষ্ট সময়ে পণ্য হস্তান্তর করতে পারছে না, যা দেশটির মন্দা অর্থনীতিকে আরও ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। মালয়েশিয়ার একটি দৈনিক পত্রিকায় এমনই তথ্য উঠে এসেছে।
সিঙ্গাপুরে জঙ্গি সন্দেহে আটকৃত বাংলাদেশিদের ইস্যুতে সাধারণ দক্ষ অভিবাসী কর্মীদের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। এ সুযোগে সিঙ্গাপুরের শ্রমবাজার একচেটিয়া দখল করতে পার্শ্ববর্তী একটি দেশ মড়িয়া হয়ে উঠেছে। দুই দফায় সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত পাঠানো ৩২ বাংলাদেশির কারও সঙ্গেই আইএস-এর সংশ্লিষ্টতা খুঁজে পায়নি পুলিশ। সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা দায়েরের পর তাদের রিমান্ডে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন তারা। জিজ্ঞাসাবাদেও তাদের কাছ থেকে আইএস সংশ্লিষ্টতার কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি। তবে তাদের কয়েকজন আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের অনুসারী বলে গোয়েন্দাদের কাছে স্বীকার করেছেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা। সিঙ্গাপুরের শ্রমবাজার ধরে রাখতে সরকারকে সমন্নিত উদ্যোগ নিতে হবে। সিঙ্গাপুরের মেগা প্রকল্পগুলোতে অধিক হারে বাংলাদেশি-কর্মী নিয়োগের সুযোগ সৃষ্টিতে সরকারকে বাস্তবমুখী উদ্যোগ নিতে হবে। বর্তমানে ভারতসহ অন্যান্য সেন্ডিং দেশের কর্মীদের সাথে পাল্লা দিয়ে সিঙ্গাপুরের বিভিন্ন সেক্টরে লক্ষাধিক বাংলাদেশি দক্ষ-কর্মী কাজ করে প্রচুর রেমিটেন্স আয় করছে। একজন জনশক্তি রফতানিকারক এ অভিমত ব্যক্ত করেছেন। এদিকে, বিএমইটির নবনিযুক্ত মহাপরিচালক সেলিম রেজা জনশক্তি রফতানির গতি বাড়াতে ব্যাপক উদ্যোগ নিচ্ছেন। ইতিমধ্যে বিএমইটির বিভিন্ন সেক্টরে বিদেশ গমনেচ্ছুদের অহেতুক হয়রানি বন্ধের বেশ কিছু পদক্ষেপ নিয়েছেন। বিএমইটির মহাপরিচালক সেলিম রেজার মহতি উদ্যোগকে ভুলন্ঠিত করতে একটি চক্র কাকরাইলস্থ বিএমইটির ডিজির রুমে রহস্যজনক চুরি ঘটনা ঘটিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে থানায় মামলা হলেও দোষীরা ধরা ছোঁয়ার বাইরে রয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।