Inqilab Logo

বৃহস্পতিবার ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ২৯ কার্তিক ১৪৩১, ১১ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

১০ জানুয়ারির মধ্যে নতুন সরকার গঠন

সাংবাদিকদের ওবায়দুল কাদের

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ২ জানুয়ারি, ২০১৯, ১২:০২ এএম

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের জানিয়েছেন, সব ধরনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে ১০ জানুয়ারির মধ্যেই নতুন সরকার গঠন হতে পারে। গতকাল ধানমন্ডিতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে দলের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের পর তিনি সাংবাদিকদের এ কথা জানান।
তিনি বলেন, আজকালের মধ্যেই জাতীয় নির্বাচনের ফলাফলের গেজেট হতে পারে। গেজেট হওয়ার পর এমপিদের শপথ হবে। তারপর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দেখা করবেন। প্রেসিডেন্ট তাকে বিজয়ী দলের প্রধান হিসেবে সরকার গঠনের আহবান জানাবেন। আমার মনে হয়, এমপিদের শপথ, মন্ত্রীদের শপথ এবং সরকার গঠনসহ সব আনুষ্ঠানিকতা ১০ জানুয়ারির মধ্যেই সম্পন্ন হবে।
জাতীয় পার্টির সঙ্গে ঐক্যমতের সরকার হবে না তারা বিরোধীদল হিসেবে থাকবে তা জানতে চাইলে তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা সরকার গঠনের সময় বিষয়টি দেখবেন। জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে এ বিষয়ে তিনি সিদ্ধান্ত নেবেন।
এক প্রশ্নের জবাবে কাদের বলেন, বিএনপি ও ঐক্যফ্রন্টের যারা নির্বাচিত হয়েছেন তারা যদি শপথ না নেন তাহলে সংবিধানের নিয়মানুযায়ী নির্ধারিত সময়ের পর সেসব স্থানে নতুন করে নির্বাচন হবে। তবে, এটা নির্বাচন কমিশনের বিষয়। যা কিছু হবে, সেটা নিয়মানুযায়ী হবে।
‘২০১৪ সালের নির্বাচনে অংশ না নিয়ে বিএনপি ভুল করেনি’- বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের এমন বক্তব্যর বিষয়ে তার দৃষ্টি আকর্ষণ করলে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, তাদের গণতন্ত্র বিরোধী ভূমিকা কি গণতান্ত্রিক বিশ্ব সমর্থন করবে? ইতোমধ্যে এ নির্বাচনে বিজয়ের জন্য বিশ্বের বড় বড় রাষ্ট্রগুলোর পক্ষ থেকে প্রধানমন্ত্রীকে অভিনন্দন জানানো হয়েছে।ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিতরা শপথ না নিয়ে জনগণের রায়কে অসন্মান করবেন না বলে ওবায়দুল কাদের আশা প্রকাশ করেছেন।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমাদের নতুন বছরের অঙ্গীকার হলো- এই নির্বাচনের মাধ্যমে আমরা নিজেদের ভুল, দুর্বলতা, সাংগঠনিক দুর্বলতা সব বুঝতে পেরেছি। নতুন বছরে সেগুলো কাটিয়ে উঠে পূর্ণ উদ্যোমে কাজ করবো। নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, নেতাকর্মীরা ধৈর্য্য ধরে, মাথা ঠান্ডা করে কাজ করবেন। কেউ যেন বাড়াবাড়ি না করে, প্রতিপক্ষের প্রতি প্রতিহিংসা পরায়ণ হবেন না।
এছাড়া দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে নির্বাচন পরবর্তী শুভেচ্ছা বিনিময়কালে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী লীগের পক্ষে গণজোয়ারের প্রতিফলন ঘটেছে। নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সারাদেশে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর তা আর কখনো দেখা যায়নি। এ নির্বাচনের রায়ে ’৭০ ও ’৫৪ সালের মত গণজোয়ারের প্রতিফলন ঘটেছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমি অবাক হয়েছি যে বিএনপির মতো একটি বড় দলের সাংগঠনিক কোন কাঠামো নেই। তারা সাংগঠনিকভাবে যে কতটা দুর্বল তা এ নির্বাচনের মাধ্যমে প্রকাশ পেয়েছে। এ জন্য বিএনপির হেভিওয়েট প্রার্থীরাও এজেন্ট দিতে পারেন নি। নির্বাচনে তাদের ভোটের এমন ফলাফল হয়েছে।
কাদের বলেন, বিএনপি নেতা মওদুদ আহমদ নিজের কেন্দ্রে তার ভোট দিতে যান নি। তার বাড়ী থেকে মাত্র ৭০ গজের মধ্যে ভোট কেন্দ্র। যদিও তিনি তার কেন্দ্রে জয় লাভ করেছেন। তিনি বলেন, বিএনপির প্রার্থীরা কোথাও তাদের পোষ্টার-ব্যানার লাগান নি। তারা নির্বাচনে পরাজয়ের আগেই হাল ছেড়ে দিয়েছিলেন। বাস্তবে নির্বাচনে অংশ নেয়ার মত তাদের কোন প্রস্তুতি ছিল না। তাই এ নির্বাচনে তাদের পরাজয় ছিল অবধারিত।
বিএনপি ও জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নির্বাচিত এমপিদের শপথ না নেয়া ও তাদের আন্দোলন কর্মসূচীর বিষয়ে জানতে চাইলে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাদের বলেন, বিএনপির আন্দোলনের মত অবজেকটিভ কন্ডিশন দেশে নেই। আর আন্দোলনে অংশ নেয়ার মত সাবজেকটিভ প্রিপারেশনও তাদের নেই। আন্দোলনের সকল সূত্র তাদের বিপক্ষে।
তিনি বলেন, বিএনপির সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির নেতাদের এত হতাশ ও বিমর্ষ দেখাচ্ছিল যে মনে হয় যেন তারা নির্বাচনের ভরাডুবিতে ভেঙ্গে পড়েছে। এ অবস্থায় তাদের কর্মীরা কিভাবে আন্দোলন করতে আশাবাদী হবে?#



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ