পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
দেশের ইতিহাসে রেকর্ড সৃষ্টি করে অনন্য উচ্চতায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে তিনি টানা তৃতীয় মেয়াদে প্রধানমন্ত্রী হতে চলেছেন। চতুর্থবারের মতো প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেবেন যা রেকর্ড। ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বাধীন মহাজোট নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। ’৬৯-এর গণঅভ্যূত্থানের পর ১৯৭০-এর নির্বাচনের মতো এবারের নির্বাচনেও নৌকার জোয়ারে ভেসে গেছে বিএনপির ধানের শীষসহ অন্যান্য রাজনৈতিক দলের প্রার্থীদের বিভিন্ন প্রতীক। ২০০৯ সালের ৬ জানুয়ারি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বভার গ্রহণের পর থেকে এখনো ওই পদে রয়েছেন তিনি। এর আগে ১৯৯৬ সালের ২৩ জুন তিনি প্রথম বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন। তাঁর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ ওই বছরের ১২ জুনের সংসদ নির্বাচনে বিজয় অর্জন করে ২১ বছর পর ক্ষমতায় আসে।
‘মাদার অব হিউম্যানেটি’ খ্যাত শেখ হাসিনাকে দেশের রাজনীতিতে বলা হয় ‘রাজনীতির যাদুকর’। ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট সপরিবারে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার সময় পশ্চিম জার্মানিতে ছিলেন শেখ হাসিনা ও তাঁর ছোট বোন শেখ রেহানা। আওয়ামী লীগের রাজানীতিতে অন্ধকার ওই যুগে তিনি ৬ বছর ভারতে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকতে বাধ্য হন। ১৯৮১ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের নেতারা দলকে ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করতে তাকে সর্বসম্মতিক্রমে দলের সভাপতি নির্বাচিত করেন। বিদেশে ৬ বছরের নির্বাসিত জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটিয়ে তিনি ১৯৮১ সালের ১৭ মে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন। ১৯৮১ সালে দেশে ফিরে দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েন। এজন্য তাকে কয়েকবার গৃহবন্দী ও কারাবরণ করতে হয়। ১৯৮৩ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি সামরিক সরকার তাঁকে আটক করে ১৫ দিন অন্তরীণ রাখে। ১৯৮৪ সালের ফেব্রুয়ারি এবং নভেম্বর মাসে তাঁকে দ’দফায় গৃহবন্দী করা হয়। ১৯৮৫ সালের ২ মার্চ তাঁকে আটক করে ৩ মাস গৃহবন্দী রাখা হয়। আন্দোলনের মুখে ১৯৮৬ সালের ৭ মে তৃতীয় জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে বিজয়ী হয়ে তিনি জাতীয় সংসদের প্রথম বিরোধীদলের নেতা নির্বাচিত হন। তবে ১৯৮৬ সালের ১৫ অক্টোবর এবং ১৯৮৭ সালে ১১ নভেম্বর তাঁকে গ্রেফতার করে তাকে গৃহবন্দী করে রাখা হয়। ১৯৮৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি এবং ১৯৯০ সালে ২৭ নভেম্বর তিনি গৃহবন্দী হন। সর্বশেষ ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই সামরিক বাহিনী সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় গ্রেফতার হয়ে এক বছর কারাগারে ছিলেন। সে সময় তাকে সংসদ ভবন চত্বরে সাবজেলে রাখা হয়। আন্দোলনের সময় তিনি আওয়ামী লীগ ছাড়াও বিভিন্ন জোট, ফ্রন্টের নেতৃত্ব দেন।
রূপকথার ফিনিক্স পাখির মতোই দেশে রাজনীতিতে শেখ হাসিনার উত্থান। আগুনের ছাঁই থেকে উঠে এসে তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন আওয়ামী লীগের। একই সঙ্গে নির্বাচিত হয়ে বাংলাদেশের। দীর্ঘ আন্দোলনে ’৯০-এর রাজনৈতিক পট-পরিবর্তনের পর ’৯১ সালের পঞ্চম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে জাতীয় সংসদে বিরোধীদলের নেতা হন। এ সময় তিনি প্রেসিডেন্সিয়াল পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা থেকে সংসদীয় পদ্ধতির সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। এ সময় তিনি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনে দাবিতে আন্দোলন করে মাঠ নিজের দখলে নেন। এ ওই বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় সংসদ নির্বাচন করে বিএনপির জাতীয় সংসদে সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা প্রবর্তন করে সংসদ ভেঙ্গে দিতে বাধ্য হয়। ১৯৯৬ সালের ১২ জুন অনুষ্ঠিত সপ্তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে; নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে তিনি প্রথমবার প্রধানমন্ত্রী হয়ে সরকার গঠন করেন। এরপর ২০০১ সালের নির্বাচনে তাঁর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের মতো আসন না পেলেও আওয়ামী লীগের ভোট বৃদ্ধি পায় ব্যাপক। শেখ হাসিনা বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে সংসদে বসেন। এরপর জনগণের ভোটের অধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে দীর্ঘ আন্দোলন। গ্রেফতার হয়ে কারাবরণ। দলের ভিতরে সংস্কারবাদী একটি গ্রুপ দলে সংস্কারের নামে তাকে ‘মাইন্যাস’ করার চক্রান্ত করেন। সে চক্রান্ত মোকাবিলা করে ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বরের নবম সংসদ নির্বাচনে অংশ নেন। ওই নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে ২৬৪টিতেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন মহাজোট জয়লাভ করে। তখন থেকেই শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে ‘দিন বদলের শুরু’ হয়। ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচনেও শেখ হাসিনার বিজয়ে চলমান থাকে সরকার। তবে ওই নির্বাচন নিয়ে দেশ-বিদেশে বিতর্ক রয়েছে। বিএনপিসহ অনেকগুলো দল নির্বাচন বর্জন করায় ৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত নির্বাচনকে প্রার্থী-ভোটারবিহীন নির্বাচন হিসেবে অবিহিত করা হয়। তবে নির্বাচনে বিজয়ী হয়ে টানা দুই মেয়াদে প্রধানমন্ত্রিত্বের শপথ নেন শেখ হাসিনা। বিরোধী দলগুলোর ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জন সম্পর্কে আওয়ামী লীগ থেকে বলা হয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল হয়ে যাওয়ায় সংবিধানের মধ্যে থেকেই দলীয় সরকারের অধীনে দশম সংসদ নির্বাচনের আয়োজন করতে বাধ্য হয় আওয়ামী লীগ।
নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে দেশ-বিদেশে বিতর্ক থাকায় ২০১৪ সালের নির্বাচনে পর অনেকেই ভেবেছিলেন শেখ হাসিনা পূর্ণ মেয়াদে সরকার পরিচালনা করতে পারবেন না। দেশি-বিদেশি চাপের মুখে মধ্যবর্তী নির্বাচন দিতে বাধ্য হবেন। কিন্তু তাদের সকলের ধারণা ভুল প্রমাণ করে নৌকার দক্ষ মাঝির মতো তিনি সরকারের ৫ বছর মেয়াদ পূর্ণ করেন। তিনি নিজে কোণঠাসা নন; বরং কাকা কৌশলে বিএনপিকে কোণঠাসা করে রাখেন। এবার দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনে বিএনপিসহ অন্যান্য দল অংশ নেবেন না সেটা বুঝে ঝানু রাজনীতিকের মতোই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে গণভবনে সংলাপের আয়োজন করেন। বিশ্ব মিডিয়ায় সে খবর ফলাও করে প্রচারের ব্যবস্থা করা হয়। সংলাপের পর বিরোধী দলগুলোর দাবি মেনে নেয়া দূরের কথা উল্টো ওই দলগুলোকে চাপের মুখে ফেলে ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিরোধীদলগুলোকে অংশগ্রহণে বাধ্য করেন। ব্যাপক জনসমর্থন থাকার পরও বিএনপিসহ বিরোধীদল বিএনপির নেতারা শেখ হাসিনার রাজনৈতিক কৌশল দেখেছে; কিন্তু কিছুই করতে বা বলতে পারেনি।
শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিবের ৫ সন্তানের মধ্যে সবার বড়। তিনি গোপালগঞ্জ জেলার টুঙ্গিপাড়ায় ১৯৪৭ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর জন্মগ্রহণ করেন। রাজনৈতিক পরিবেশে বেড়ে ওঠা শেখ হাসিনা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৭৩ সালে স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি সরকারি ইন্টারমিডিয়েট গার্লস কলেজের ছাত্রসংসদের সহ-সভাপতি নির্বাচিত হন। তিনি এই কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক এবং পরের বছর সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সদস্য এবং ছাত্রলীগের রোকেয়া হল শাখার সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি সকল গণআন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন।
শেখ হাসিনা হাজারো বাধা-বিপত্তি এবং হত্যার হুমকিসহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে জনগণের ভাত-ভোট এবং সাধারণ মানুষের মৌলিক অধিকার আদায়ে অবিচল থেকে সংগ্রাম করেছেন। তাঁর নেতৃত্বে বিশ্বদরবারে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। তাঁর নেতৃত্বে বাংলাদেশের অর্জন অনেক। ১৯৯৬ সালের ১২ ডিসেম্বর ভারতের সঙ্গে ৩০ বছর মেয়াদি গঙ্গা পানি চুক্তি, ১৯৯৭ সালের ২ ডিসেম্বরে পার্বত্য শান্তি চুক্তি, ১৯৯৯ সালের ১৭ নভেম্বর ইউনেস্কোর প্যারিস অধিবেশনে ২১ ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস স্বীকৃতি, ২০০৯ সালে মিয়ানমার ও ভারতের সঙ্গে সমুদ্রসীমানা নিয়ে দীর্ঘদিনের বিরোধ আন্তর্জাতিক আদালতে নিষ্পত্তি, ভারতের সঙ্গে স্থল সীমান্ত চুক্তি, সীটমহল সংকটের সমাধান, মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইন উৎক্ষেপণ, ২০ হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের সক্ষম বাংলাদেশ গড়ে তোলাসহ অসংখ্য সাফল্য রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। মিয়ানমারের রাখাইন থেকে বিতারিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে তিনি মাদার অব হিউম্যানেটি সম্মান পেয়েছেন। সামাজিক কর্মকান্ড, শান্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে অসামান্য অবদানের জন্য বিশ্বের বিভিন্ন সংস্থা তাকে সম্মানিত করেছে।
তিনি জাতিসংঘের ‘এজেন্ট অব চেঞ্জ পুরস্কার’ ও ‘প্ল্যানেট ৫০-৫০ চ্যাম্পিয়ন’ পুরস্কার, জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকি মোকাবিলায় জাতিসংঘের পরিবেশবিষয়ক সর্বোচ্চ পুরস্কার-২০১৫ ‘চ্যাম্পিয়ন অব দি আর্থ’ এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গঠন ও তথ্যপ্রযুক্তির উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য ‘আইসিটি টেকসই উন্নয়ন পুরস্কার’, রাজনীতিতে নারী-পুরুষের বৈষম্য কমানোর ক্ষেত্রে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালনের জন্য ‘পান ওম্যান ইন পার্লামেন্ট (ডব্লিউআইপি) গ্লোবাল অ্যাওয়ার্ড’, নারী ও শিশু শিক্ষা উন্নয়নে বিশেষ অবদানের জন্য ২০১৪ সালে শেখ হাসিনাকে ‘শান্তি বৃক্ষ পদক’, সমুদ্রসীমা জয়ের জন্য ‘সাউথ সাউথ’ পুরস্কার পান। তিনি ‘মান্থন অ্যাওয়ার্ড’, ‘ডিপ্লোমা অ্যাওয়ার্ড’, ‘কালচারাল ডাইভারসিটি অ্যাওয়ার্ড’, ‘গ্লোবাল ডাইভারসিটি অ্যাওয়ার্ড’, ‘সাউথ সাউথ অ্যাওয়ার্ড’, জাতিসংঘের ‘মিলেনিয়াম ডেভেলপমেন্ট গোল অ্যাওয়ার্ড’, ‘ইন্দিরা গান্ধী শান্তি পদক-২০০৯’, ‘পার্ল এস বাক পদক’, ‘ডক্টরস অব হিউম্যান লেটার্স’, ‘সেরেস পদক’, ‘মাদার তেরেসা পদক’, ইউনেস্কোর ‘ফেলিং হুফে বইনি শান্তি পুরস্কার’, ‘নেতাজি মেমোরিয়াল পদক-১৯৯৭’সহ অসংখ্য পদক পান। তিনি বিদেশি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকেও ডিগ্রি ও সম্মাননা পেয়েছেন। পুরস্কারের পাশাপাশি তিনি নেতৃত্ব ও ব্যক্তিত্বের কারণে বিভিন্ন স্বীকৃতিও অর্জন করেছেন। এর মধ্যে বিশ্বখ্যাত ফোর্বস সাময়িকীর দৃষ্টিতে বিশ্বের ক্ষমতাধর শত নারীর তালিকায় ৩৬তম এবং নিউইয়র্ক টাইমস সাময়িকীর জরিপে ২০১১ সালে বিশ্বের সেরা প্রভাবশালী নারী নেতাদের তালিকায় সপ্তম স্থান দখল করেন। বিশ্ব নেতৃত্বে তাঁর আরো অনেক অর্জন রয়েছে।
বিশ্ব রাজনীতিতে শেখ হাসিনা একজন অনুকরণীয় নেতৃত্ব। তাঁর যাদুকরী নেতৃত্বে দেশের খাদ্যনিরাপত্তা, শান্তিচুক্তি, যুদ্ধাপরাধী ও বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, সমুদ্র বিজয়, নিজস্ব স্যাটেলাইটের মাধ্যমে মহাকাশ বিজয়, নারীর ক্ষমতায়ন, অর্থনৈতিক উন্নতি, স্বাধীনতার মর্যাদা রক্ষা সমুজ্জ্বল। ৭২ বছর বয়সী শেখ হাসিনা সোনার বাংলা থেকে ক্ষুধা ও দারিদ্র দূর করে পিতার স্বপ্নপূরণের জন্য ছুটে চলছেন। ’৮০ দশকে যেমন তিনি ভাঙনের হাত থেকে রক্ষা করেছেন আওয়ামী লীগকে; তেমনি একটি অনুন্নত দেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে রেখেছেন অসামান্য অবদান। ’৮১ সালে দেশে ফিরে দীর্ঘ তিন যুগ ধরে নেতৃত্ব দিয়ে তিনি জনগণের ভোটে নির্বাচিত হয়ে আওয়ামী লীগকে ক্ষমতায় বসালেন চারবার। তার নেতৃত্বেই আওয়ামী লীগ এখন অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে অনেক বেশি সুসংগঠিত-শক্তিশালী। সরকারপ্রধান হিসেবে তিনি বাংলাদেশকে নিয়ে গেছেন অনন্য উচ্চতায়। আমেরিকানদের ভাষায় ‘তলাবিহীন ঝুড়ি’ লাল-সবুজের এই বাংলাদেশ অর্থনীতির প্রতিটি সূচকে এগিয়ে যাচ্ছে। বিশ্বের কাছে দেশ এখন ‘উন্নয়নের রোলমডেল‘। শেখ হাসিনার এই বলিষ্ট নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে চলছেই।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।