পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আমি কোন প্রকার প্রতিশোধ নেওয়ার পক্ষপাতিত্ব নয়, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সারা বাংলাদেশে যে গণজোয়ার সৃষ্টি হয়েছিল সেই গণজোয়ারের সোনালী ফসল এ বিপুল বিজয় শেখ হাসিনার নেতৃত্বে মহাজোটের বিজয়। এই বিজয়ে উল্লাসিত, উচ্ছাসিত না হওয়ার জন্য নেত্রীর পক্ষ থেকে আহ্বান জানাচ্ছি। আমাদের নেত্রী বিজয় উৎসব মিছিল না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। আমি আশা করি আমাদের নেতা-কর্মীরা ধৈর্য্যরে সাথে সংযমী হয়ে বিজয়ের আনন্দ ঘরোয়াভাবে উদযাপন করবে। কোন বাড়াবাড়ি করবেন না এবং আমাদের প্রতিপক্ষ নেতাকর্মীর সাথে খারাপ আচরণ করবেন না।
ওবায়দুল কাদের বলেন, আমাদের এ এলাকার একটা ঐতিহ্য ও গৌরব আছে। বাকবিতন্ডা মাঠে থাকবে, কারো ঘরে গিয়ে হামলা ও ভাঙচুর করবেন না। আমি বিদ্বেষ ও প্রতিহিংসা পছন্দ করি না। রাজনীতিতে জোয়ার ভাটা আছে। কখনও জোয়ার আসবে, তেমনি ভাটাও আসবে। নেত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী আহ্বান জানাচ্ছি, সারা দেশে কিছু কিছু সহিংস ঘটনা ঘটেছে, কিন্তু আমাদের এলাকায় কিছুই হয়নি। সেজন্য আমার নেতাকর্মী ও জনগণকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। সবাইকে ধৈর্য ধরতে বলছি, রাতারাতি সব কিছু সমাধান করা সম্ভব না, সময় লাগবে। মুছাপুরের ক্লোজারের মত কঠিন কাজ করেছি, বিদ্যুৎ দিয়েছি, আজকে যেস্থানে যান মাকড়াসার জালের মত পাকা রাস্তা ছড়িয়ে পড়েছে। এখানে এখন দরকার গ্যাস ও তরুন বেকারদের জন্য কর্মসংস্থান।
মন্ত্রী বলেন, পর্যায়ক্রমে সমাধানের চেষ্টা করব, আজ থেকে মনোযোগী হবো। আমি শুধু আপনাদেরকে বলব প্রতিপক্ষের ওপর রাজনৈতিক প্রতিহিংসা পরায়ন হবেন না। যেটা আমরা অতীতেও করিনি। ২০০১ সালে অনেক বেদনা আছে, ১৪ সালেও আছে। সে সময় বছরের পর বছর আমার নেতাকর্মীরা বাবা মায়ের জানাজা ও ঈদের নামায পর্যন্ত পড়তে পারেনি। সে ঘটনার পুনরাবৃত্তি করব না এবং প্রতিহিংসা পরায়ন হবো না। এ কথা আমার এলাকায় নয়, সারা বাংলাদেশের নেতাকর্মীদেরকে এই নির্দেশ পালন করার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি।
তিনি আরো বলেন, নেত্রীর কন্ঠে কন্ঠ মিলিয়ে বলতে চাই যে, আমরা অতীতে যে ভুল করেছি সেই ভুল সংশোধন করব। ভুল সংশোধন করার সৎ সাহস শেখ হাসিনার আছে। পার্টির যে শিক্ষা, বঙ্গবন্ধুর যে শিক্ষা, শেখ হাসিনার যে শিক্ষা সেই শিক্ষা থেকে শিক্ষা নেব। নবতর পথযাত্রার সূচনা করব। জনগণের কাছে উন্নয়ন নিয়ে, আচরণ নিয়ে ঐতিহ্যবাহী দল হিসেবে সম্মান ও মর্যাদাকে সু-প্রতিষ্ঠিত করব। আমরা সু-শাসনকে দৃঢ় ভিত্তির ওপর প্রতিষ্ঠিত করার অঙ্গীকার করছি। পরবর্তী জেনারেশনের জন্য শেখ হাসিনার কর্মসূচি বাস্তবায়ন করব এবং দেশের বেকার তরুনদেরকে কর্মসংস্থানের সুযোগ করে দিব। নতুন বছরে এ ম্যাসেজটা আমাদের নেত্রীর পক্ষ থেকে আপনাদেরকে দিয়ে যাচ্ছি।
মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় নোয়াখালী-৫ আসনের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার আ.লীগ কার্যালয়ের সামনে বিজয়োত্তর পথসভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন, বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা, নোয়াখালী জেলা আ.লীগের সহ-সভাপতি মো. শাহাব উদ্দিন, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. মিজানুর রহমান বাদল, উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, সাদারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরী, এলিন গ্রুপের পরিচালক গোলাম শরীফ চৌধুরী পিপুল, আমেরিকান প্রবাসী রমেশ চন্দ্র নাথ, অরবিন্দ ভৌমিক, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেল, কেন্দ্রীয় আ.লীগ উপ-সম্পাদক ইস্কান্দার মির্জা শামীম প্রমুখ।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।