পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৮০ ভাগ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা। তিনি বলেছেন, ঐক্যফ্রন্টের দাবি অনুযায়ি নতুন নির্বাচন আর হবে না। তবে অভিযোগ দিলেও গেজেট প্রকাশে বিলম্ব হবে না। যথারীতিই গেজেট প্রকাশিত হবে। সিইসি বলেন ভোট নিয়ে তিনি তৃপ্ত-সন্তুষ্ট। ভোটে কোনো অনিয়ম হয়নি। ভোটে তারা লজ্জিত নন। একটি গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হয়েছে।
গতকাল সোমবার বিকালে নির্বাচন পরবর্তী আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে অন্য চার নির্বাচন কমিশনারও সিইসির সঙ্গে ছিলেন। তিনি বলেন, নির্বাচনে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী যে সাহস ও সমর্থন যুগিয়েছে এজন্য ইসি ধন্য। সহযোগিতার জন্য সেনা প্রধানকেও ধন্যবাদ। দু’একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটলেও এ পর্যন্ত কমিশন একটি লিখিত আবেদনও পায়নি জানিয়ে সিইসি বলেন, নির্বাচন নিয়ে তিনি সন্তুষ্ট। একজন সাংবাদিক কয়েকটি অনিয়মের সুনির্দিষ্ট বিষয় উল্লেখ করে সিইসির প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন, এগুলো আমরা দেখব। তবে লিখিত অভিযোগ আসলেও গেজেট প্রকাশে কোন বাধা হবে না। অস্বাভাবিক ভোটের বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ভোটতো আমরা দেইনি। জনগণ দিয়েছে।
প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, বিপুল ভোটার উপস্থিতি ছিল। তারা বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে ভোট দিয়ে নতুন সরকার গঠনের সুযোগ করে দিয়েছে। দেশি-বিদেশি গণমাধ্যমে যা দেখেছি তাতে মনে হয়েছে জাতি গতকাল ভোট উৎসবে মেতেছিল। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। ১৪ জনের প্রাণহানি ঘটেছে সে জন্য আমরা দুঃখিত।
সিইসি বলেন, এবারের নির্বাচনে ৮০ শতাংশের মতো লোক ভোট পড়েছে। অনিয়মের কারণে ১৬টি কেন্দ্রের ভোট বন্ধ করা হয়েছে। ব্রাহ্মণবাড়িয়া ২ আসনের ফল স্থগিত রাখা হয়েছে। নির্বাচনে সব দলের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। সেনাবাহিনী, পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সহায়তায় নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। সে জন্য তাদের ধন্যবাদ। একটি দল চার লাখ ভোট পেয়েছে, আরেক দল ৪০০ ভোট পেয়েছে, শক্তির দিক থেকে দুটি সমান সমান দলে এত পার্থক্য কীভাবে হয়? এ ছাড়া বিরোধীরা নির্বাচন বাতিল দাবি করে নতুন নির্বাচনের দাবি করছেন এমন প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, এটা আমাদের কাছে কিছুই না। জনগণ ভোট দিয়েছে তাই ভোটের এত পার্থক্য। সুতরাং, নতুন করে আমরা নির্বাচন দেব না। গণমাধ্যম, টেলিভিশন, পত্রপত্রিকায় আমরা দেখেছি, কোনো অনিয়ম হয়নি। এখন পর্যন্ত কোনো অনিয়মের অভিযোগও পায়নি। পেলে তদন্তকরে দেখব। আগের রাতে ব্যালটে সিল মারার অভিযোগ বিষয়ে তিনি বলেন, অভিযোগ সম্পূর্ণ অসত্য। সিইসি বলেন, আমরা আশা করি, নতুন সরকার দেশকে সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাবেন। একটি আন্তর্জাতিক ও একটি দেশি গণমাধ্যমের প্রতিবেদনের প্রসঙ্গে টেনে সাংবাদিকরা জানতে চান সেখানে নির্বাচনের আগেই ব্যালট বাক্স ভর্তি হওয়ার কথা জানানো হয়েছে। এ বিষয়ে সিইসি বলেন, এটা আমাদের দেখতে হবে। যদি দু একটা বিচ্ছিন্ন ঘটনা হয়ে থাকে সেটা আমরা তদন্ত করে দেখবো। এই নির্বাচনে খোদ নির্বাচন কমিশন সন্তুষ্ট কি না এ প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, আমি সস্তুষ্ট, কমিশনে অন্য কেউ আমাকে বলে নাই যে তারা অসন্তুষ্ট। এর আগে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে নিজের লিখিত বক্তব্য পড়েন সিইসি। শুরুতেই বিজয়ের মাসের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, ৩০ ডিসেম্বর ভোট উৎসবের মাধ্যমে জাতি নতুন সরকারকে নির্বাচিত করেছে। বিভিন্ন টেলিভিশেনে প্রচারিত খবর এবং গণমাধ্যমে প্রকাশিত চিত্র দেখলে বোঝা যায় যে জাতি কতটা স্বতঃস্ফূর্তভাবে নির্বাচনে অংশ নিয়েছে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।