পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
কথা রাখলেন নাছির-নওফেল। চট্টগ্রাম সিটি মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন স্বয়ং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে শ্রদ্ধাভরে আশ্বস্ত করেছিলেন, বন্দরনগরী ও পার্শ্ববর্তী ৬টি নির্বাচনী আসনসহ মোট ১৬ আসনেই বিজয় উপহার দেবেন। একই সঙ্গে ‘চট্টল বীর’ সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি মরহুম এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর পুত্র আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল নিজের আসন চট্টগ্রাম-৯ কোতোয়ালী-বাকলিয়াসহ ১৬টি আসনেই বিজয় অর্জন করে প্রধানমন্ত্রীকে উপহার দেবেন।
তাছাড়া নগরীসহ চট্টগ্রাম জেলার আওয়ামী লীগ-মহাজোটের নেতাকর্মীদের কাছেও তারা একই প্রত্যয় ব্যক্ত করেন। অবশ্য উভয় নেতা বিজয়ের জন্য সর্বস্তরের নেতাকর্মীর ঐক্যবদ্ধ হয়ে ভোটের মাঠে সক্রিয় থাকার আহ্বান জানান। বলেছেন, আমরা একাট্টা থাকলে কেউ আমাদের হারাতে পারবে না। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উদীয়মান তরুণ নেতা ব্যারিস্টার নওফেল মনোনয়ন লাভের পরই তিনি নিজে এবং সিটি মেয়র আ জ ম নাছির বেশ জোর দিয়েই উপরোক্ত ‘কথা’ দেন। অবশেষে বাস্তবেই এসে গেলো ধস নামানো বিজয়। এবার দুই প্রতিশ্রুতিশীল ও তরুণ নেতার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে উন্নয়নের প্রত্যাশী চট্টগ্রামবাসী।
চট্টগ্রামবাসীর কৌতূহল ও দৃষ্টি ছিল কে হচ্ছেন চট্টগ্রাম-৯ (কোতোয়ালী) গুরুত্বপূর্ণ আসনের ‘কোতোয়াল’! গত রোববারের নির্বাচনে চাটগাঁ তথা দেশের তরুণ প্রজন্মের ক্রেজ হিসেবেই নিজেকে প্রমাণিত করে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকে বিজয়ী হলেন ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল। চট্টল বীরের পুত্র নওফেল এ আসনে ইভিএম-এ অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোট পেয়েছেন ২ লাখ ২৩ হাজার ৬১৪টি। তার প্রতিদ্ব›দ্বী ধানের শীষে ডা. শাহাদাত হোসেন পেয়েছেন ১৭ হাজার ৬৪২ ভোট। চট্টল বীরপুত্রের বিপুল বিজয়ে তরুণদের মাঝে আনন্দ- উচ্ছ্বাসের বান সর্বত্র। তাছাড়া মহিউদ্দিন চৌধুরীর ভক্ত-অনুরক্ত প্রবীণরাও খুশী।
বন্দরনগরীর গুরুত্বপূর্ণ কোতোয়ালী আসনসহ শহরতলীর ৬টি আসনে নৌকার জয়-জয়কারের নেপথ্যে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনের বলিষ্ঠ নেতৃত্বই পুনরায় প্রমাণিত হলো। এর পরিপ্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা এখন দারুন উজ্জীবিত। গত ১৫ ডিসেম্বর’ ১৭ইং মহিউদ্দিন চৌধুরীর ইন্তেকালের পর চট্টগ্রাম মহানগরীতে আওয়ামী লীগ কান্ডারীশূণ্য অবস্থায় পড়ে। কিন্তু ধীরে ধীরে দলকে মজবুত অবস্থানের দিকে নিয়ে যেতে সক্ষম হন সিটি মেয়র ও দলের মহানগর সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন। এবার নির্বাচনে চট্টগ্রামে মহাজোট প্রার্থীদের বিজয়কে অভূতপূর্ব ঐক্যের ফসল বলে মনে করেন দলের তৃণমূল নেতাকর্মীরা। এরজন্য মেয়রেরও এখন জয়-জয়কার!
চট্টল বীরপুত্র নওফেলের জন্ম ১৯৮৩ সালের ২৬ জুন। লন্ডনে ব্যারিস্টারি সম্পন্ন করে রাজনীতির হাতেখড়ি পিতার হাত ধরেই। তিনি ২০১৪ সালে ৭১ সদস্যের চট্টগ্রাম মহানগর কমিটির নির্বাহী সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি যুবলীগের সাথেও যুক্ত ছিলেন। ১/১১ সরকারের আমলে লন্ডনে অবস্থানরত বিদেশি আইনবিদ ও অর্থনীতিবিদদের মাঝে প্রবল জনমত তৈরির মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কারামুক্তি আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন ব্যারিস্টার নওফেল। দলের রাজনীতিতে মহিউদ্দিন চৌধুরীর ত্যাগ-নিষ্ঠা এবং নওফেলের প্রখর বুদ্ধিমত্তায় আকৃষ্ট হন শেখ হাসিনা। ফলে মাত্র ৩৩ বছর বয়সে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকের দায়িত্ব পান।
একাদশ সংসদ নির্বাচনে জয়ী হলে আওয়ামী লীগের ইশতেহার অনুযায়ী অঙ্গীকার পূরণের পাশাপাশি ব্যারিস্টার নওফেল চট্টগ্রামের জনগণের উদ্দেশে বিশেষভাবে ৫টি বিষয়ে প্রাধ্যান্য দেয়ার আশ্বাস দেন। এরমধ্যে রয়েছে নাগরিক সেবা প্রদানকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে জনগণকে সম্পৃক্ত করা, সরকারের বিভিন্ন সংস্থার মধ্যে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা, চট্টগ্রামকে ঘিরে যেসব মহাপরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে সেগুলোর দ্রুত বাস্তবায়ন, নারী সমাজের সুযোগ-সুবিধা বৃদ্ধি ও স্বাবলম্বী করা, সকল ধর্মের মানুষের সহাবস্থান ও সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখা এবং চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দর ও ব্যবসা-বাণিজ্য সম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে যাতে অহেতুক ঢাকায় দৌড়াতে না হয় এরজন্য সরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের চট্টগ্রামে বিকেন্দ্রীকরণের প্রচেষ্টা। তিনি মনে করেন, অবকাঠামো থাকলেই হবে না, সক্ষমতা বাড়াতে হবে। চট্টগ্রামকে দেশের বাণিজ্যিক রাজধানী হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে চট্টগ্রামের সক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা সবাই যদি সচেষ্ট হই, নিশ্চয়ই চট্টগ্রাম বাংলাদেশের অর্থনীতিকে আরও সমৃদ্ধ করবে, আনবে আমূল পরিবর্তন।
২০১৫ সালের ২৮ এপ্রিল অনুষ্ঠিত চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের নির্বাচনে বিশাল ভোটের ব্যবধানে বিজয় লাভ করেন বর্তমান মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন। তিনি চট্টগ্রামের অর্থনৈতিক উন্নয়ন, অবকাঠামো সুবিধাসহ চট্টগ্রাম বন্দরের সম্প্রসারণ ছাড়াও ‘ক্লিন সিটি, গ্রিন সিটি’র রূপকার হিসেবে নগরবাসীর কাছে যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছেন। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনকে দলীয় প্রভাবের বাইরে ও দুর্নীতিমুক্ত রাখার প্রত্যয়ে তিনি অবিচল। এবারের সংসদ নির্বাচনে মেয়র আ জ ম নাছির নগরবাসীর উদ্দেশে বলেন, নৌকায় ভোট দিন, চট্টগ্রামের উন্নয়নের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিজেই গ্রহণ করেছেন। মেয়র বলেন, ১০ বছর আগে ২০০৮ সালে লালদীঘি ময়দানে চট্টগ্রামবাসীকে দেয়া সেই অঙ্গীকার পূরণ করে চলেছেন বঙ্গবন্ধু কন্যা। চট্টগ্রামের উন্নয়নে একের পর এক মেগাপ্রকল্প গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে উন্নয়নের মহাযজ্ঞ পরিচালনা করছেন প্রধানমন্ত্রী। এবার নির্বাচনে ‘কেন আপনি নৌকায় ভোট দেবেন?’ শীর্ষক একটি ভিডিওচিত্র নগরবাসীর সামনে তুলে ধরে চমক সৃষ্টি করেন। এতেও ব্যাপক আকৃষ্ট হন নগরবাসী।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।