Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

বিশ্ব মিডিয়ায় বাংলাদেশের নির্বাচন

কূটনৈতিক সংবাদদাতা | প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১১:২৬ এএম | আপডেট : ১২:৩৮ পিএম, ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮

ব্যাপক সহিংসতার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে বাংলাদেশে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন। এতে বেশ কিছু মানুষ নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অনেকে। বাংলাদেশের নির্বাচন নিয়ে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম এভাবে রিপোর্ট তুলে ধরেছে। যুক্তরাষ্ট্রের অনলাইন সিএনএনের শিরোনাম ‘বাংলাদেশের নির্বাচন সহিংসতায় পরিণত হয়েছে।’ রিপোর্টে বলা হয়, স্থানীয় পুলিশ কর্মকর্তারা সিএনএনকে বলেছেন, রোববার নির্বাচন সংক্রান্ত সংঘর্ষে কমপক্ষে ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে শুধু চট্টগ্রাম বিভাগে নিহত হয়েছেন ৯ জন।
ব্রিটেনের প্রভাবশালী পত্রিকা গার্ডিয়ানের শিরোনাম ‘বাংলাদেশ ইলেকশন মারড বাই ডেডলি ভায়োলেন্স’। অর্থাৎ ভয়াবহ সহিংসতায় ব্যাহত বাংলাদেশের নির্বাচন।
এক দশকের মধ্যে এটাই বাংলাদেশে প্রথম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ ভোট। এ নির্বাচনে প্রচারণা সহিংসতা ও বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের গণগ্রেফতার ব্যাহত হয়েছে। তাতে সর্বশেষ সংযোজন হলো গতকালের মৃত্যু। এর মধ্যেই রেকর্ড অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন ও দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে খাটো করার অভিযোগ আছে এক দশক ক্ষমতায় থাকা শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। তার বিষয়ে রায় দিয়েছেন প্রায় ১০ কোটি ভোটার। প্রপাগান্ডা বা মিথ্যা প্রচারণা বন্ধ করতে কর্তৃপক্ষ দেশের থ্রি-জি এবং ফোর-জি মোবাইল সেবা ডাউন করে দেয়। তবে বিরোধীদের দাবি, ভোটগ্রহণে অনিয়মের রিপোর্ট প্রতিরোধ করতে এমনটা করা হয়েছে। আওয়ামী লীগ বলেছে, বিএনপির সমর্থকদের সঙ্গে সংঘর্ষের সময় মাথায় মারাত্মক আঘাত পান তাদের একজন কর্মী। পরে তিনি মারা গেছেন। বার্তা সংস্থা এএফপিকে স্থানীয় পুলিশ প্রধান নাজিবুল ইসলাম বলেছেন, ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নেয়ার পথে মারা গেছেন। বাঁশখালীতে বিরোধীদলীয় নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশ গুলি করলে সেখানে একজন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ কামাল হোসেন বলেছেন, বুলেটের আঘাতে একজন নিহত হয়েছেন। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ তাদের ওপর গুলি করেছে।
ভারতের অনলাইন জি-নিউজ লিখেছে, নির্বাচন চলাকালে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির সমর্থক ও প্রার্থীদের মধ্যে হামলায় কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় সকাল ৮টায় ঢাকার একটি ভোটকেন্দ্রে ভোট দেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন তার ভাতিজা ও দলীয় প্রার্থী শেখ ফজলে নূর তাপস। এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ভোট গণনা চলছিল।
বিবিসি’র শিরোনাম- ‘বাংলাদেশে নির্বাচন : ভয়াবহ সংঘর্ষে ভোট ব্যাহত’। ভোটগ্রহণ শেষ হওয়ার পর পর বিবিসি এ রিপোর্টে লিখেছে, ব্যাপক সহিংসতা ও ভোট জালিয়াতির অভিযোগের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ শেষ হয়েছে। এতে বিভিন্ন স্থানে মোট কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নির্বাচন কমিশন বলেছে, তারা সারা দেশে ভোট জালিয়াতির কথা শুনেছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত করবে। ওদিকে নির্বাচনে ভোটগ্রহণের জন্য ভোটকেন্দ্র খোলার আগেই বিবিসি’র একজন প্রতিনিধি দেখতে পেয়েছেন বন্দরনগরী চট্টগ্রামের একটি কেন্দ্রে ব্যালটভর্তি বাক্স। এ বিষয়ে প্রিজাইডিং অফিসারের কাছে জানতে চাইলে তিনি মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানান। ওই ভোটকেন্দ্র ও অন্য অনেক ভোটকেন্দ্রে ছিলেন শুধু ক্ষমতাসীন দলের পোলিং এজেন্ট।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ