পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
গোপালগঞ্জ-৩ (টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া) আসনে বিপুল ভোটে বিজয়ী হয়েছেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। মোট ১০৮টি কেন্দ্রের সবকটির ফলাফল পাওয়ার পর রোববার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে বেসরকারিভাবে তাকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।
ভোটগণনা শেষে জেলা রিটার্নিং অফিসার মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান জানান, আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনাকে বেসরকারিভাবে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। শেখ হাসিনার প্রাপ্ত মোট ভোট ২ লাখ ২৯ হাজার ৫৩৯। তার নিকটতম প্রতিদ্ব›দ্বী বিএনপির এসএম জিলানী পেয়েছেন ১২৩ ভোট এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের প্রার্থী পেয়েছেন ৭১ ভোট।
গোপালগঞ্জ জাতীয় সংসদের ২১৭ নম্বর আসন। গোপালগঞ্জ-৩ আসন বঙ্গবন্ধুর জন্মস্থান। দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনেও এ আসন থেকে এমপি হয়েছিলেন শেখ হাসিনা। এর আগে ২০০১ সালে অষ্টম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনা গোপালগঞ্জ-৩ আসন থেকে জয়লাভ করেন। এদিকে, কনকনে ঠান্ডা উপেক্ষা করে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনা ও উৎসবমূখর পরিবেশের মধ্যে দিয়ে গোপালগঞ্জে প্রধানমন্ত্রীর আসনের (কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া) ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সকাল ৮টার আগ থেকেই ভোটারদের দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। পরে তারা উৎসবমূখর আমেজে ভোট দেন। এছাড়া ভোট কেন্দ্রে নারীদের উপস্থিতি ছিল লক্ষণীয়।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রার্থী হয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত বুধবার (১২ ডিসেম্বর) টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে নির্বাচনী প্রচারণা শুরু করেন। ওই দিন তিনি কোটালীপাড়া শেখ লুৎফর রহমান সরকারি আদর্শ কলেজ জনসভা করে টুঙ্গিপাড়া-কোটালীপাড়া বাসীর কাছে ভোট চান। জনসভায় উপস্থিত লাখো জনতা প্রধানমন্ত্রীকে ভোট দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী এলাকার নেতা কর্মী ও সমর্থকরা ব্যাপক প্রচার প্রচারণা চালান। বাড়ি বাড়ি গিয়ে ভোট চেয়ে ভোটার স্লিপ বিতরণ করেন। এতে ভোটারদের মধ্যে ভোট দেয়ার বিপুল আগ্রহ সৃষ্টি হয়। অবশেষে ভোটের দিন ভোট কেন্দ্রে ব্যাপক ভোটারের উপস্থিতিতে ভোট উৎসব হয়েছে।
সকাল ৮টায় টুঙ্গিপাড়ার খান সাহেব শেখ মোশাররফ হোসেন স্কুল এন্ড কলেজ কেন্দ্রে শেখ পরিবারের জ্যেষ্ঠ সদস্য ও প্রধানমন্ত্রীর চাচা শেখ কবির হোসেন ভোট দিয়ে ভোট উৎসবের সূচনা করেন। পরে তিনি বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে ঘুরে দেখেন।
প্রধানমন্ত্রীর প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব অ্যাডভোকেট শেখ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়া উপজেলার সব ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। তিনি বলেন, ব্যাপক প্রচার প্রচারণার কারণেই প্রধানমন্ত্রীর আসনে ভোট উৎসব হয়েছে।
এছাড়া কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মন্ডলীর অন্যতম সদস্য, এফবিসিসিআই এর সাবেক সভাপতি ও লায়ন্স ইন্টারন্যাশনালের ইন্টারন্যাশনাল ডিরেক্টর কাজী আকরাম উদ্দিন আহমদ কোটালীপাড়া উপজেলার বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখেন।
কোটালীপাড়া উপজেলার কুরপালা কেন্দ্রের ভোটার গৃহবধূ জেসমিন রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী কোটালীপাড়ায় জনসভা করে আমাদের কাছে ভোট চেয়েছেন। তাই আমরা নারীরা প্রধানমন্ত্রীকে পুরুষের চেয়ে বেশি ভোট দিতে কেন্দ্রে আসি। কেন্দ্রে এসে দেখি মহিলাদের উপস্থিতি বেশি। আমরা বিপুল উৎসাহ উদ্দীপনা নিয়ে ভোট দিয়েছি।
কোটালীপাড়া উপজেলার টুপুরিয়া কেন্দ্রের ভোটার রফিক তালুকদার বলেন, ভোট দিতে নেতা কর্মীরা আমাদের উৎসাহিত করেছেন। আন্তরিকভাবে ভোট চেয়েছেন। বাড়িবাড়ি ভোটার স্লিপ পৌছে দিয়েছেন। তাই সকাল সকাল ভোট কেন্দ্রে পরিবারের সদস্যদের নিয়ে উপস্থিত হয়েছি। কেন্দ্রে এসে দেখছি লম্বা লাইন। শেষ পর্যন্ত উৎসবের আমেজে লাইনে দাড়িয়ে ভোট দিয়েছি।
সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগ সদস্য বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কোটালীপাড়ায় জনসভা করার পর থেকে টুঙ্গিাপাড়া-কোটালীপাড়ার নেতা-কর্মী ও সমর্থকরা ভোটকেন্দ্রে সর্বোচ্চ ভোটার উপস্থিত করতে ব্যাপক প্রচার প্রচারণা শুরু করেন। এতে ভোটারদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া পড়ে। ফলশ্রুতিতে তীব্র শীত উপেক্ষা করে সকালেই ভোটারদের উপস্থিতিতে কোটালীপাড়া-টুঙ্গিপাড়ার ভোট কেন্দ্র মুখরিত হয়ে ওঠে। তাই শেষ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রীর আসনে ভোট উৎসব হয়েছে।
এছাড়া গোপালগঞ্জ-১ ও গোপালগঞ্জ-২ আসনেও উৎসব মুখর পরিবেশে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখানোও ভোট উৎসব হয়েছে বলে নির্বাচনের দায়িত্বে নিয়োজিত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।