পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
স্টাফ রিপোর্টার : ‘আসামীর প্রতি সমন জারি করা হইলো’ এই শিরোনামে একটি নোটিশ ঝুলছে ফিরোজা’য়। গুলশান-২ এলাকার ৭৯ নম্বর রোডের ১ নম্বর বাড়ির নাম ‘ফিরোজা’। এই বাড়িটির মূল গেইটে সুতা দিয়ে নোটিশটি ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। গতকাল সন্ধ্যা ৬টা ২৫ মিনিটে স্থানীয় থানার পুলিশ নোটিশটি নিয়ে আসে।
নোটিশে লেখা আছে, ‘প্রাপক : বেগম খালেদা জিয়া। চেয়ারপার্সন বিএনপি। স্বামী-মরহুম জিয়াউর রহমান। গুলশান সার্কেল-২, রোড-৭৯। আসামীর প্রতি ১২৩/১২৪/৫০৫ ধারার অপরাধে অভিযোগ আনা হয়েছে। আগামী ৩/৩/২০১৬ তারিখে হাজির হবার জন্য নোটিশ জারি করা হইলো।’
এই বাড়ি ‘ফিরোজা’র মালিক সাবেক একজন সেনা কর্মকর্তা। তার বাড়িতে ভাড়া থাকেন দেশের তিনবারের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়া। নোটিশ ঝুলানোর একদিন আগে (সোমবার) ঢাকা মহানগর হাকিম রাশেদ তালুকদার খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে সমন জারি করেন। এর আগে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করেন ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য আইনজীবী মোমতাজ উদ্দীন আহমদ।
২০১৫ সালের ২১ ডিসেম্বর বেগম খালেদা জিয়ার বক্তব্যে দেশদ্রোহী মনোভাব পাওয়া গেছে অভিহিত করে তার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে ২৩ ডিসেম্বর উকিল নোটিশ পাঠান এই আইনজীবী। নোটিশের জবাব না পাওয়ায় ফৌজদারি কার্যবিধির ১৯৬ ধারা মোতাবেক রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা অনুমোদনের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আবেদন জানান আওয়ামী লীগের এই নেতা। গত ২৪ জানুয়ারি অনুমোন দেয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। পরদিন মামলা তারপর দিন নোটিশই এলো বিবাদীর ভাড়া বাসার ঠিকানায়।
উল্লেখ্য, গত ২১ ডিসেম্বর রাজধানীতে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের একটি আলোচনা সভায় খালেদা জিয়া মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করে বলেন, ‘আজকে বলা হয় এত লক্ষ লোক শহীদ হয়েছেন। এটা নিয়েও অনেক বিতর্ক আছে যে আসলে কত লক্ষ লোক মুক্তিযুদ্ধে শহীদ হয়েছেন। নানা বই-কিতাবে নানা রকম তথ্য আছে।’
শীর্ষ নেতার এই বক্তব্যের অপব্যাখ্যা যেন না হয় সে কারণে দলের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর একটি বিবৃতিতে তা খোলাসা করেছিলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার এই বক্তব্যের প্রতি সমাজের সুশীলদের অনেকেই একমত পোষণ করেছেন। শহীদদের সংখ্যা নির্ধারণের দাবিকে সমর্থনও জানিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।