পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৪ আসনে ঐক্যফ্রন্টের ধানের শীষ প্রতীকের প্রার্থী সালাউদ্দিন আহমেদের ওপর হামলা ও তাকে ছুরিকাঘাতে গুরুত্বর জখমের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল রোববার সকালে ভোট চলাকালে শ্যামপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে গেলে তার ওপরে এ হামলার ঘটনা ঘটে বলে। পরে তাকে রাজধানীর অ্যাপোলো হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। সালাহউদ্দিনের পরিবার ও স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীরা এ অভিযোগ করেন। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন নেতা-কর্মী বলেন, ধানের শীষের এজেন্টকে বের করে দেওয়ার বিষয়ে জানতে গেলে তার ওপর হামলা করা হয়। তারা বলেন, স্কুলের চতুর্থ তলা থেকে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সালাউদ্দিনকে ধাক্কা দেয়। এতে তিনি সিঁড়ি থেকে নিচে পড়ে নাকে ও পায়ে গুরুত্বর আঘাত পান। এ সময় কয়েকজনে তাকে ছুরিকাঘাত করে বলে তারা অভিযোগ করেন। পরে তিতিন দলীয় নেতাকর্মীদের নিয়ে সেখান থেকে চলে যান সালাউদ্দিন। তিনি নিজেই নিজের ভোট দিতে পারেনি বলে নেতাকর্মীরা অভিযোগ করেন। সালাউদ্দিনের ছেলে মো. রবিন অভিযোগে বলেন, ধানের শীষের পোলিং এজেন্টদের বের করে দেয়ার খবর পেয়ে তারা শ্যামপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রে যান। ওই ভবনের চতুর্থ তলায় প্রিসাইডিং অফিসারের সঙ্গে কথা বলে সিঁড়ি দিয়ে নামার সময় মহাজোটের প্রার্থী সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলার লোকজন তাদেরকে ধাক্কা দেয় এবং ধারালো অস্ত্র দিয়ে হামলা করে। এতে তারা বাবা সালাউদ্দিনসহ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হয়। পরে সালাউদ্দিনকে অ্যাপালো হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা দেওয়া হয়। তার অবস্থা খুব একটা ভালো নয় বলে রবিন জানান।
হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশের শ্যামপুর জোনের সহকারী কমিশনার (এসি) ফয়সাল আহমেদ বলেন, তেমন কিছুই হয়নি। ধানের শীষের প্রার্থী সালাউদ্দিন আহমেদ লোকজন নিয়ে ভোটকেন্দ্রে এসেছিলেন। এজেন্টদের বের করে দেওয়ার অভিযোগ তুলে প্রিসাইডিং অফিসারের ওপর চড়াও হয় তার লোকজন। পরে লাঙল প্রতীকের প্রার্থীর লোকজনের সঙ্গে তাদের হাতাহাতি হয়। পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ঘটনার পর সালাউদ্দিন বাসায় ফিরে যান। পরে বাসা থেকে বের হলে তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তমাখা ব্য্যান্ডেজ দেখা যায়।
শ্যামপুর মডেল স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্রের প্রিসাইডিং অফিসার রেজাউল করিম পলাশ বলেন, তার কেন্দ্রে ধানের শীষের প্রার্থী সালাউদ্দিনের কোনো এজেন্ট আসেনি। সকালে ভোট চলাকালে সালাউদ্দিন আহমেদ এসে আমাকে বলেন, আমার এজেন্ট কই? তাদের ঢুকতে দেওয়া হয়নি কেন? আমি তাকে বলি, আপনার কোনো এজেন্ট আসেনি। কোনো এজেন্ট থাকলে এখন আসতে বলেন। কিন্তু তা না করে তিনি উত্তেজনার সৃষ্টি করেন, আমাদের ওপর চড়াও হন। এ ঘটনায় ১০ থেকে ১৫ মিনিট ভোটগ্রহণ বন্ধ ছিল বলেও জানান তিনি।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।