Inqilab Logo

মঙ্গলবার ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

এটা কোনো নির্বাচন হয়নি প্রহসন-তামাশা হয়েছে

গুলশান কার্যালয়ে মির্জা ফখরুল

স্টাফ রিপোর্টার | প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন কোন নির্বাচনই হয়নি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এটা একটা প্রহসন। একটা তামাশা হয়েছে। গতকাল (রোববার) রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক প্রতিক্রিয়ায় তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, কীভাবে শক্তি ব্যবহার করতে হয় রাষ্ট্রযন্ত্রকে, তার এক নতুন নমূনা দেখলাম আমরা। আমরা কখনোই এরকম নির্বাচন অতীতে দেখিনি। যেখানে পুলিশ, র‌্যাব, প্রশাসন- সবাই মিলে নির্বাচন করছে। আওয়ামী লীগ তো গৌণ। মূল কাজ করছে পুলিশ আর র‌্যাব। তিনি বলেন, এই নির্বাচনের সবচেয়ে উদ্বেগজনক ব্যাপারটা হচ্ছে এখানে একটি ইনস্টিটিউশন হিসেবে নির্বাচন জিনিসটাকেই ধ্বংস করে ফেলা হয়েছে। একদম ধ্বংস হয়ে গেল। মানুষের আস্থা পুরোপুরি চলে গেল। নির্বাচনের ফলাফল যখন স্পষ্ট হয়ে যাবে, তখন তারা কী করবেন? এ প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর জানান, জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের নেতৃবৃন্দ বৈঠকে বসে করণীয় সিদ্ধান্ত গ্রহণ করবেন।
ঠাকুরগাঁও সংবাদদাতা জানান, আমরা শেষ পর্যন্ত দেখতে চাই এই স্বৈরাচারি সরকার কতোটা অগণতান্ত্রিক আচরণ করতে পারে? নির্বাচনের শেষ পর্যন্ত দেখে সিদ্ধান্ত নেবো আমরা। ভোট বর্জনের দলীয় সিদ্ধান্ত এখনও হয়নি। শেষটা দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নেবে বলে জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। গতকাল রোববার দুপুর ১টায় ঠাকুরগাঁওয়ে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ব্যক্তিগতভাবে কেউ নির্বাচন বর্জন করতে পারে। দলীয়ভাবে আমরা শেষ পর্যন্ত ভোট গ্রহণ দেখতে চাই। এ নির্বাচন পুরোপুরি প্রহসনে পরিণত হয়েছে। সরকার এভাবে নির্বাচন করে জাতিকে দীর্ঘদিনের জন্য সমস্যায় ফেললো। নির্বাচন কমিশনের উপর মানুষের কোন আস্থা নেই। প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপর কোন আস্থা থাকবে না। সবচেয়ে দুঃখজনক সেনাবাহিনীকে মূর্তির মত রেখে একাজটি হচ্ছে। যেটা সেনাবাহিনীর ইমেজও ক্ষতি করছে। এটা দেশের জন্য বড় রকমের ক্ষতি। যা জাতির জন্য ক্ষতি। আস্থাহীনতায় ভুগবে সবাই।
এ সময় তিনি অভিযোগ করে বলেন, বেলা ১১টার পর লোকজনের ঢল কেন্দ্রে আসতে দেখে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা ভোটকেন্দ্র নিজেদের দখলে নেয়। ঠাকুরগাঁওয়ের ১০০টি কেন্দ্র আওয়ামী লীগের দখলে।
বিভিন্ন ভোটকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এ সংবাদ সম্মেলন করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আরো বলেন, এটা প্রহসনের নির্বাচন। সরকার সব রাষ্ট্রযন্ত্র ব্যবহার করে নির্বাচনের নামে তামাশা করছে। পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা কেন্দ্র দখল করেছে।
এই নির্বাচন মিনিমাম গ্রহণযোগ্যও হচ্ছে না। আমরা বলতে চাই নির্বাচনের নামে প্রহসন করে লাভ কী। জনগণকে কষ্ট দিয়ে লাভ কী? বলেও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি তৈমুর রহমান, পৌরসভা বিএনপির সভাপতি ও জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আব্দুল হালিম, জেলা যুবদলের সভাপতি মহেবুল্লাহ চৌধুরী আবু নুর প্রমুখ।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ