পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
অবিশ্বাস্য পরিকল্পনায় সাজনো ছকে রাতের ভোটেই কাত হলো সিলেটে ঐক্যফ্রন্ট প্রার্থীরা (!)। সেই ভোট চিত্র দেখেও নিরূপায় হওয়া ছাড়া কোন কিছুই করার ছিল না ধানের শীষ সমর্থকদের। তব্ওু ভরসা নিয়ে লড়ছে পুরো ভোট গ্রহণ পূর্ব। ভোট পরিস্থিতি কোন অর্থেই অনুকূল ছিল না তাদের জন্য। চারিদিকে বৈরী পরিবেশ। তারপরও সর্তক সক্রিয় ছিলেন তারা। কিন্তু সংঘটিত হয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর সুযোগই ছিল না তাদের। উপায়হীন নির্বাচনী এহেন পরিস্থিতি দেখে হতবাক হয়েছেন অতীতের প্রবীন ভোটারা। সেই সাথে নতুন প্রজন্মের ভোটাররাও হয়েছে বিচলিত, অবাক। নিজ নিজ অবস্থান থেকে ঝুঁকি নিয়েই নির্বাচন অবলোকন করেছেন তারা। রাতেই চারিদিকে ছড়িয়ে যায় ভোট কাস্টের খবর। ফুরফুরে মেজাজে চাঙ্গা হয়ে উঠে মহাজোটের নেতাকর্মীরা। কিন্তু ভাঙা মনেও শেষ চেষ্টা করে গেছে ঐক্যফ্রন্টের সমর্থিত ধানের শীষের সমর্থকরা। ভোটের আগেই কেন্দ্র ভিত্তিক সক্রিয় নেতাকর্মীরা বিতাড়িত হয়েছে ধরপাকড়ের ভয়ে। সেকারণে কোন প্রস্তুতি নিতে পারেনি তারা। অথচ বিপুল সমর্থন ছিল আমজনতার। সেই আমজনতার মধ্যে ভয়-ভীতির কোন কমতি রাখা হয়নি। আসন ভিত্তিক স্থানীয় সচেতন মানুষের নিজস্ব জরিপ ছিল ভোটের মাঠের। সেই জরিপ ভোট এলেই করে নেন মনে মনে। আলাপে প্রকাশ করেন জয় পরাজয়ের তথ্য। আঙ্গলে গুনে বলতে পারতে কোন কেন্দ্রে কার ভোট কত। সেই কত এবার যতেই পরিণিত হয়েছে। কিভাবে হলো, তারা বুঝে নিয়েছেন। কিন্তু বলবেন কার কাছে, কেনই বা বলবেন। ভেতরে ভেতরে আফসোসের সীমা ছড়িয়ে যাচ্ছে মুখে মুখে। বাস্তবের এতো অমিল, কল্পনাতীত বলছেন তারা। রূপকথার গল্প নয়, বাস্তবে দেখলেন ভোটের সেই হাইবিড ফলাফল। মাঝে মধ্য বাঙালীর রক্তের চিরন্তর গরমী হ্ওায়া উঠলেও জোরে চেপে রেখেছেন ভবিষ্যত অনিশ্চয়তায়। কারণ কারো উপর ভরসা নেই তাদের। দেখে দেখে চলা তাদের এখন মস্তিষ্কে ক্রীয়াশীল হয়ে গেছে। যে চায় লংকায়, সে হয় রাবণ। তাহলে কার জন্য ঝুঁকি নিবেন তারা। বিএনপির প্রার্থী এমনকি স্থানীয় নেতারা, এলাকার মানুষের পাশে গিয়ে ভোটের আওয়াজ তুলে জাগাতে পারেনি সাধারণ ভোটারদের। অসহায়ভাবে গ্রেফতার বা পালিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন বেশিরভাগ নেতাকর্মী। তারপরও ভোটারদের সহানুভূতি ছিল তাদের উপর। শক্তি যোগাতে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছেন বিএনপির স্থানীয় নেতারা। কেন্দ্রগুলোতে চিন্থিত স্থানীয় কোন নেতাকে দেখেনি ভোটারা। মাঠ ছেড়ে ভোটের বাক্স নির্ভর বিপ্লবের স্বপ্ন দেখেছিলেন তারা। মহাজোট আর বিএনপি তথা ঐক্যফ্রন্ট নেতৃত্বের চিন্তা বা বাস্তবতার আকাশ-পাতাল প্রার্থক্য প্রকাশ পেয়েছে নির্বাচনী ফলাফলে। আকাশ পথে যখন হাটছে আ.লীগ, ভোটের মাঠে তখন মেঠো পথে গন্তব্যে যাওয়ার যুদ্ধে। ভয়-ভীতিতে অস্তিত্ব সঙ্কটে পড়েছে নিজেরাই। উত্তরণে সংঘটিত হতে পারছেনা দলটি। দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ক্ষমতার বাইরে বিএনপি।
নতুন প্রজন্মের বিএনপি সমর্থকরা দেখেছে, তাদের প্রার্থীদের ভোট রাজনীতির মাঠে কত অবলা (!) সেই অবলাদের কারণে মানসিক প্রস্তুতি থাকার পরও ধাক্কা দিয়ে নিজেদের জানান দিতে পারলো না তারা নির্বাচনে। সময়ের মোকাবেলা সময়ে না করার এ ব্যর্থতায়, যেতে পারলো না বহুদূর তারা। এখন কি হবে তাদের, নিজেই সে প্রশ্নের উত্তর খুজতে গিয়ে সরষে ফুল দেখছে চোখে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।