Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

মৃণাল সেনের পরলোকগমন

বরেণ্য চলচ্চিত্র পরিচালক

ইনকিলাব ডেস্ক | প্রকাশের সময় : ৩১ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০২ এএম

বাংলা চলচ্চিত্রের মহীরূহ ও কিংবদন্তি চলচ্চিত্র পরিচালক মৃণাল সেন মারা গেছেন। দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুখে ভুগছিলেন। রোববার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে পশ্চিমবঙ্গের ভবানীপুরে নিজ বাড়িতে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে চলে গেলেন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৫ বছর। তার মৃত্যুতে বাংলা চলচ্চিত্র জগতে একটা যুগের অবসান হল বলেই মনে করছেন অনেকেই।
মৃণাল সেনের জীবনাবসানে শোকস্তব্ধ সব মহল। টুইট করে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ থেকে শুরু করে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতো অনেকেই। রাষ্ট্রপতি লেখেন, তার মৃত্যুতে আমি গভীর শোক অনুভব করছি। বিভিন্ন ছবিতে সমাজ জীবনের যে বাস্তব চিত্র তিনি তুলে ধরেছেন তার কোনও তুলনা নেই। বাংলা তথা ভারত এবং বিশ্ব সিনেমার বিরাট ক্ষতি হল।
মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, মৃণাল সেনের জীবনাবসানে আমি শোকস্তব্ধ। তার পরিবারের প্রতি সমবেনা জানাই।
শোক প্রকাশ করেছেন চলচ্চিত্র জগতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্বরাও। কিংবদন্তি অভিনেতা অমিতাভ বচ্চন টুইট করেছেন, মৃণাল সেন চলে যাওয়ায় আমি অত্যন্ত মর্মাহত।
১৯২৩ সালের ১৪ মে বাংলাদেশের ফরিদপুরে জন্মগ্রহণ করেন মৃণাল সেন। রাজেন্দ্র কলেজে পড়ার সময় ১৯৪৩ সালে কলকাতায় পাড়ি জমান তিনি। পদার্থবিদ্যা নিয়ে স্কটিশ চার্চ কলেজে পড়াশোনা করেন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন তিনি। আজীবন বামপন্থায় বিশ্বাসী ছিলেন। কমিউনিস্ট পার্টি অব ইন্ডিয়ার সাংস্কৃতিক কাজকর্মের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। কিন্তু কখনও পার্টির সদস্য হননি তিনি। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় মুক্তিযোদ্ধাদের পাশেও দাঁড়িয়েছিলেন তিনি।
১৯৫৫ সালে ‘রাতভোর’ ছবি দিয়ে চলচ্চিত্র জগতে যাত্রা শুরু মৃণাল সেনের। এ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন বাংলার মহানায়ক উত্তম কুমার। প্রথম ছবিতে তেমন সাফল্য না পেলেও পরের ছবি ‘নীল আকাশের নিচে’-তে নিজের জাত চেনান তিনি। এরপর ‘বাইশে শ্রাবণ’ ছবির হাত ধরে আন্তর্জাতিক স্তরে স্বীকৃতি মেলে মৃণাল সেনের। ‘ভুবনসোম’, ‘কোরাস’, ‘মৃগয়া’, ‘অকালের সন্ধানে’-র মতো সিনেমাগুলো চিরকাল সিনেপ্রেমীদের মনের মণিকোঠায় জায়গা করে থাকবে। তিনি বাংলা, হিন্দি, ওডিশা ও তেলেগু ভাষায় ছবি করেছেন। ১৬টি ছবির জন্য তিনি পান জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার। ১৯৮৩ সালে ভারতের পদ্মভূষণ সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন গুণী এই চলচ্চিত্র পরিচালক। সূত্র: টাইমস নাউ, এনডিটিভি।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: চলচ্চিত্র পরিচালক
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ