পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
নির্বাচনের ফলাফল প্রত্যাখ্যান করে নির্দলীয় নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচন দাবি করেছে জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট। রাজধানীর বেইলী রোডের বাসায় গতকাল রাতে ঐক্যফ্রন্টের শীর্ষ নেতা ড. কামাল হোসেন সাংবাদিকদের তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এ দাবি জানান। তিনি বলেন, সারাদেশে ঐক্যফ্রন্টের এজেন্ট বের করে দিয়ে কেন্দ্র দখল করে ইচ্ছামত নৌকা মার্কায় সিল মেরে ব্যালট বাক্সভরা হয়েছে। দেশের মানুষ তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেনি। তাদের ভোটাধিকার ছিনতাই করা হয়েছে। এটা নির্বাচন নয় জাতির সাথে প্রহসন করা হয়েছে। এই প্রহসনের নির্বাচনের কথিত ফলাফল আমরা প্রত্যাখান করছি। সেই সাথে অবিলম্বে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারের অধীনে পুনরায় নির্বাচনের দাবি জানাচ্ছি। এ সময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির মহাসচিব ঐক্যফ্রন্টের মুখপাত্র মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, এটাকে কোনভাবেই নির্বাচন বলা যাবে না। এটা নির্বাচনের নামে প্রহসন করা হয়েছে। সারাদেশে ঐক্যফ্রন্টের এজেন্টদের বের করে দিয়ে নৌকামার্কায় সিল মেরে বাক্স ভরা হয়েছে। এতে প্রমানীত হয়েছে যে দলীয় সরকারের অধীনে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। আমরা যে নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকারে দাবি জানিয়ে আসছি তা যৌক্তিক। সেই সাথে ২০১৪ সালে আমরা যে নির্বাচন বর্জন করে ছিলাম তা সঠিক এবং যথার্থ ছিল। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জাসদের সভাপতি আ স ম আবদুর রব, ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী, নজরুল ইসলাম খান প্রমুখ।
মানুষের ভোটাধিকার ছিনতাই হয়েছে
জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের আহবায়ক ড. কামাল হোসেন বলেছেন, একটি প্রহসনের নির্বাচন হয়েছে। সুষ্ঠু নির্বাচনের খবর দেশের কোথাও থেকে পাইনি। স্বাধীনতার ৪৭ বছর পর আজও দেশে ভোটাধিকার ছিনতাই হয় এটা জাতির জন্য লজ্জাজনক। এক বিভীশিখাময় পরিস্থিতির মধ্যে নির্বাচন হয়েছে। ধানের শীষের প্রার্থীর কোথাও কোন এজেন্ট ঢুকতে দেয় নি। মারপিট করে বের করে দেয়া হয়েছে। গতকাল রাজধানীর আরামবাগে গণফোরাম অফিসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ড. কামাল বলেন, সারাদেশ থেকে যে সব তথ্য পেয়েছি তাতে কোথাও সুন্দর সুষ্ঠু ভোট হয়েছে এমন খবর নেই। খুব দু:খের সাথে বলতে হচ্ছে, মানুষের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা ৭১সালে মুক্তিযুদ্ধ করেছিলাম। স্বাধীনতার ৪৭বছর পর আবার মানুষের ভোটাধিকার হরণ করা হয়েছে। জাতি হিসেবে এর চেয়ে লজ্জার আর কিছু নেই।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা ৬ ও ৭ আসনের ঐক্যফ্রন্টের দুই প্রার্থী মোস্তফা মহসিন মন্টু ও এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী। মন্টু বলেন, ভোর রাতে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ভোট সিল মেরে ব্যালট বাক্সে ঢুকিয়ে রাখা হয়েছে। যারা নিজেদের স্বাধীনতার ও মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের শক্তি দাবি করে তারা এভাবে রাতের আঁধারে ভোট চুরি করবে এটা চিন্তাও করিনি। সকালে আমার আসনের বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়া হয়েছে। কোন কোন কেন্দ্রে এজেন্টদের ঢুকতেও দেয়া হয়নি। পুলিশের সহায়তা সকাল নয়টায়ই ঢাকা-৭ আসনের কেন্দ্র দখল হয়ে গেছে। আর্মিদের এসব বলার পর তারা বলেছে আমাদের করার কিছুই নাই। এজন্য ভোটের মাঠ ছেড়ে এসেছি। আমরা ভোটারদের নিরাপত্তা দিতে পারিনি। ভোটাররা ভোট দিতে গিয়েও ভোট দিতে পারেননি এজন্য তাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি।
এডভোকেট সুব্রত চৌধুরী বলেন, ঢাকা ৬ আসনে ইভিএমে ভোট হচ্ছে। এখানে ৭/৮টি কেন্দ্রে ইভিএম চালুই হয়নি। অন্যান্য কেন্দ্রে চলছে জালিয়াতি। ইভিএমের কেন্দ্রে ভোটারদের ফিঙ্গারপ্রিন্ট নেয়ার পর ভোট দিতে দেয়া হচ্ছে না। এভাবে জালিয়াতি করে ইভিএমের ব্যবহারকে অনিশ্চিত করা হয়েছে। এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের লাঠিয়ালবাহিনীর সাথে পুলিশ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে ধানের শীষের এজেন্টদের কেন্দ্র থেকে বের করে দিয়েছে। ধানের শীষের ভোট দিতে পারে এমন ভোটারদের কাউকে পুলিশ কেন্দ্রে ঢুকতে দেয়নি।#
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।