পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে পশ্চিমা মিডিয়ায় স্বৈরাচারী (অথরিটারিয়ান) আখ্যায়িত করাকে তার প্রতি সম্মান (ব্যাজ অব অনার) হিসেবে দেখেন তিনি। বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে নির্বাচনের প্রাক্কালে এ কথা বলেন তার ছেলে ও তথ্য প্রযুক্তি উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়। একই সঙ্গে জয় বলেন, এরই মধ্যে মিডিয়া বিষয়ক যে নতুন আইন প্রস্তাব করা হয়েছে যদি তার দল ক্ষমতায় ফেরে তাহলে তা কঠোর করার কথা বিবেচনা করা হবে। কঠোর করা হবে আরেকটি আইন, যা এরই মধ্যে কার্যকর হয়েছে।
রয়টার্স লিখেছে, আজকের নির্বাচনের মাধ্যমে টানা তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসতে চাইছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গত এক দশকে দ্রুত বর্ধনশীল অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির জন্য দেশের ভিতরে তার প্রশংসা রয়েছে। প্রতিবেশী মিয়ানমারের নির্যাতিত রোহিঙ্গা মুসলিমদের আশ্রয় দেয়ার জন্য তার প্রশংসা করা হয়েছে আন্তর্জাতিক দুনিয়া থেকে। কিন্তু প্রধান বিরোধী দল বিএনপির বহু নেতাকর্মী সহ সমালোচকদের জেল দেয়া এবং ভিন্নমতকে দমিয়ে রাখার অভিযোগ আছে তার সরকারের বিরুদ্ধে।
অনেক সাংবাদিক বলেন, তাদের বিরুদ্ধে অস্পষ্ট শব্দ সম্বলিত আইন ব্যবহার করে মিডিয়াকে ভীতি প্রদর্শন করা হচ্ছে।
তবে প্রধানমন্ত্রীর ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় রয়টার্সকে বলেছেন, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ প্রায় সাড়ে ১৬ কোটি মানুষের এই দেশে ভিন্ন মতাবলম্বীদের কথা বলার সুযোগ আছে। কিন্তু এক্ষেত্রে পশ্চিমা মিডিয়া তার মাকে ‘আনফেয়ার’ভাবে তুলে ধরেছে। ঢাকায় প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনে বসে জয় বলেন, আপনি জানেন মা আজ সকালে আমাকে কি বলেছেন? পশ্চিমা মিডিয়া তাকে স্বৈরাচার (অথরিটারিয়ান) হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এটা এখন একটি ‘ব্যাজ অব অনার’। তিনি প্রশ্ন রাখেন, আপনারা কি ফেসবুকে সরকার বিরোধী পোস্ট দেখেন না? আপনারা কি এটা দেখেন না? আপনি যা খুশি লিখতে পারেন, বাধা নেই। কিন্তু আপনি তো কাউকে আঘাত দেয়ার ক্ষেত্রে স্বাধীন নন। আপনি যদি মিথ্যা কথা লেখেন এবং তাতে অন্যের আঘাত লাগে, তাহলে এর জন্য কি ফল ভোগ করতে হবে না?
সজীব ওয়াজেদ জয়ের বয়স ৪৭ বছর। তিনি অনিচ্ছায় রাজনীতিতে প্রবেশ করেছেন। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগে কোনো সিনিয়র পদ নিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন। বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী হওয়ার জন্য তার খুব আগ্রহ নেই। তিনি বলেন, ‘এনিথিং ইজ পসিবল, বাট ইন্টারেস্টেড? না। সম্ভাব্যতা ঘটতে পারে, তা সময়ই বলে দেবে।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।