পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
হাসান সোহেল : মাত্র ২৩ দিনের ভারপ্রাপ্ত দায়িত্ব। আর এই সময়েই ৬৬ জন কর্মচারীকে মাস্টাররোলে নিয়োগ দিয়েছেন। আর এই নিয়োগের ক্ষেত্রে একাই প্রধান প্রকৌশলী (ভারপ্রাপ্ত), অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী (পানি সম্পদ) এবং তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী রংপুর বিভাগের তিনটি পদে নিজেই নোট পাঠিয়ে নিজেই স্বাক্ষর করেছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. দেল্ওয়ার হোসেন। এই নিয়োগের মাধ্যমে প্রায় ৪শ’কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা এই অনিয়মের বিরুদ্ধে ইতিমধ্যে দুর্নীতি দমন কমিশন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলীসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন শাখায় চিঠি দিয়েছেন। এদিকে এ ধরণের অনিয়ম করে আবারও অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী পদ বাগিয়ে নিতে দৌড়ঝাঁপ করছেন দেলওয়ার হোসেন বলে মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে। অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, গত ১২ জানুয়ারি প্রধান প্রকৌশলী খালেদা আহসান অবসরে গেল পদটি শূন্য হয়ে যায়। প্রায় ২ সপ্তাহ থেকে পদটি শূন্য রয়েছে।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর সূত্র মতে, প্রধান প্রকৌশলী বেগম খালেদা আহসান (বর্তমানে অবসরে) হজে থাকাকলীন গত ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে ৬ অক্টোবর দায়িত্ব পালন করেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী মো. দেলওয়ার হোসেন দেলওয়ার হোসেন। এই সময়ে তিনি একাই তিনজনের স্বাক্ষরের মাধ্যমে ৬৬ জন কর্মচারীকে মাস্টাররোলে নিয়োগ দেন। এই নিয়োগের মাধ্যমে প্রায় ৪শ’ কোটি টাকা হাতিয়ে নেন বলে জানান কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। এছাড়া দেলোয়ার হোসেন রংপুর বিভাগের দায়িত্ব পালনকালে পাইপ লাইন ও ওয়াটার ট্রিটমেন্ট প্ল্যান্ট সংস্কারের নামে ব্যাপক অনিয়ম করেছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
সূত্র মতে, ৬৬ জন কর্মচারী নিয়োগের ক্ষেত্রে দেলওয়ার হোসেন বিভিন্ন মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যের সুপারিশ দেখিয়েছেন। এক্ষেত্রে তিনি পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি রমেশ চন্দ্র সেন স্বাক্ষরিত কয়েকটি সুপারিশ, সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর-এর সুপারিশ এবং স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গার সুপারিশ দেখিয়েছেন। যদিও অধিকাংশই নিয়োগের ক্ষেত্রেই প্রতিমন্ত্রী মসিউর রহমান রাঙ্গার স্বাক্ষর দেখানো হয়েছে। অথচ প্রতিমন্ত্রীর দফতরের এক কর্মকর্তা ইনকিলাবকে জানান, প্রতিমন্ত্রীর একটি সুপারিশকে স্ক্যান করে অনিয়মের মাধ্যমে বিভিন্ন জনের আবেদনে বসিয়ে নিয়োগ দিয়েছেন অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী দেল্ওয়ার হোসেন। এ সব বিষয়ে সদ্য অবসরে যাওয়া প্রধান প্রকৌশলী খালেদা আহসানের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এদিকে স্থানীয় সরকার বিভাগ সূত্র মতে, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী নিয়োগ নিয়ে চলছে নানামুখী তৎপরতা। অবশ্য সব কর্মকর্তার বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। তাদের মতে, সৎ ও যোগ্য ব্যক্তিই প্রধান প্রকৌশলীর দায়িত্ব পাচ্ছেন। বিতবির্কতদের এই পদে কোনভাবেই বসানো হবে না বলেও জানিয়েছেন কর্মকর্তারা।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের (এলজিআরডি) একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, প্রধান প্রকৌশলী পদের দৌড়ে রয়েছেন প্রকৌশলী মো. দেল্ওয়ার হোসেন, প্রকৌশলী ওয়ালিউল্লাহ এবং প্রকৌশলী শহিদ ইকবাল।
বিভিন্ন অভিযোগের বিষয়ে অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী দেল্ওয়ার হোসেনের সঙ্গে একাধিকবার মোবাইলে যোগাযোগের চেষ্টা করলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি।
জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের দায়িত্বে থাকা মন্ত্রণালয়ের উপ-সচিব ও প্রধানমন্ত্রীর সাবেক এপিএস খাইরুল ইসলাম ইনকিলাবকে বলেন, কিছুদিন থেকে প্রধান প্রকৌশলীর পদটি শূন্য আছে। তবে এ সপ্তাহের মধ্যেই নিয়োগ প্রদান করা হচ্ছে। অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী দেল্ওয়ার হোসেনের তিন পদের একই স্বাক্ষরে ৬৬ জন কর্মচারীর নিয়োগ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমি শুনেছি। তবে এখনও এ বিষয়ে কোন অভিযোগ পাইনি। এ বিষয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব আবদুল মালেকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করলে জানা যায়, তিনি দেশের বাইরে রয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।