পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ বলেছেন, সপ্তাহের ৫/৭ দিন যাবত সারাদেশ ঘুরে যতটা অভিজ্ঞতা আমার হয়েছে, বিগত ৪৭ বছরে এত একটা শান্ত ও পিসফুল পরিবেশ দেখিনি। আমি ভোটারদের বলবো, আপনারা নির্ভয়ে ভোট দিতে যাবেন। আপনার ভোটটা দেবেন। আমরা আশেপাশেই থাকবো। গতকাল শনিবার দুপুর আড়াইটার দিকে রাজধানীর আজিমপুর কমিউনিটি সেন্টার ক্যাম্প পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান আরো বলেন, জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে ইতোমধ্যে ৫০ হাজারের অধিক সেনা সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। আমি বিভিন্ন ডিভিশন ভিজিট করেছি। বিভিন্ন জেলায় গিয়েছি। প্রত্যেকটি জায়গায় উপস্থিত ছিলেন ডিভিশনাল কমিশনার, ডিআইজি এসপি, ডিসি, কোথাও কোথাও রিটার্নিং কর্মকর্তারা ছিলেন, বিজিবি-র্যাব কর্মকর্তারাও ছিলেন, সেনাবাহিনী সদস্যরা ছিলেন। তাদের সাথে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনের সার্বিক নিরাপত্তা নিয়ে তাদের সাথে কথা বলেছি। আমি সেনাপ্রধান হিসেবে বলব, চমৎকার পরিবেশ যেটা বিশেষ করে ঢাকার বাইরে দেখে এসেছি। সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত ভিজিট করেছি। সেখানে অত্যন্ত চমৎকার পরিবেশ দেখেছি। সবাই আশ্বস্ত করেছে। যে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে এবার ইনশা আল্লাহ নির্বাচন হবে। কোনো থ্রেট আছে কি না তা সবার কাছ থেকে জানার চেষ্টা করেছি। যাতে করে সেনাবাহিনী দিয়ে সেখানে যে ঝুঁকি বা বিপদের বা ভয়ের আশঙ্কা আছে তা কমিয়ে নিয়ে আসতে পারি। সবাই আশ্বস্ত করেছে, কিছু কিছু যেমন বর্ডারিং এলাকাগুলোর সম্পর্কে কথা বলেছেন। আমি সেনাবাহিনীর টহল সেই এলাকাগুলোতে বৃদ্ধি করার জন্য নির্দেশনা দিয়েছি। যাতে ওই জায়গাগুলোতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যায়।
আজিজ আহমেদ আরো বলেন, সারাদেশে যেগুলো সংখ্যালঘু এরিয়া আছে, প্রত্যেকটি এরিয়াতে সেনাবাহিনী বিশেষ করে নিজেরা গিয়ে তাদের যেন আশ্বস্ত করে। তারা নির্ভয়ে-নর্বিঘ্নে যাতে আসতে পারে, যার যার ভোট কেন্দ্রে এসে দিতে পারে সে আশ্বাস প্রদানের জন্য আমাদের সেনাবাহিনীর টহলগুলো ওই এলাকাগুলোতে যাচ্ছে। শনিবারও যাবে। নির্বাচনের পরেও তাদেরকে কোনো ধরনের সমস্যা না হয়। কারণ অতীতের অভিজ্ঞতা থেকে দেখেছি, নির্বাচনে যারা হেরে যাওয়ারা সংখ্যালঘুদের ওপর আক্রমণ করে। এ ব্যাপারে আমরা অনেক সতর্ক থাকব।
তিনি বলেন, নির্বাচনের আর মাত্র একদিন বাকি এমন সময়ে বিগত বছরগুলোতে কিছু না কিছু সহিংসতা ঘটেছে। এবারও যে একদম হয়নি তা না। কিন্তু তা এবার খুবই কম। আমরা টিম ওয়ার্ক হিসেবে কাজ করছি। আর্মি, পুলিশ, বিজিবি, র্যাব, প্রশাসন, আনসার সবাই একটা টিম হিসেবে একটা লক্ষ্য নিয়ে কাজ করব। আমরা কোনো ধরনের সঙ্ঘাত, কাউকে ভয়ভীতি দেখাবে, এগুলো যাতে কেউ ঘটাতে না পারে আমরা অত্যন্ত সতর্ক থাকব। শনিবার থেকে আমাদের দায়িত্ব আরও বেড়ে গেছে। এতদিন আমরা যেটা করেছি এখন থেকে আরো হবে। জনগণের মধ্যে যেন ভয়ভীতি তৈরি না হয়, সেই আস্থাটা দিতে পারি সেজন্য পেট্রোলের সংখ্যা বাড়িয়ে দেব। অন্যান্য সংখ্যার জিনিসও বাড়িয়ে দেব। দিন শেষে আমরা যেটা চাই যে, সুন্দর একটা নির্বাচন সম্পন্ন হোক।
ভোটাররা যেন নিরাপদ ও নির্বিঘ্নে ভোট দিতে পারে আপনারা সেটাই করছেন? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছি বিশেষ করে ঢাকার বাইরের ভোটারদের। এলাকা ভাগ করে আশ্বস্ত করার চেষ্টা করছি। কোথাও পুলিশ, কোথাও র্যাব, কোথাও বিজিবি সেনাবাহিনী যাচ্ছে। অনগ্রাউন্ড পুলিশের পরই সেনাবাহিনীর সংখ্যা আছে। সারাদেশে আমাদের ৫০ হাজারের উপরে সেনা সদস্য মোতায়েন আছে। তারা কনটিনিউয়াস টহল দিচ্ছে। প্রত্যেকটা ক্যান্টনমেন্টে পর্যাপ্ত সেনা সদস্যদেরকে স্ট্যান্ডবাই রেখেছি। বিভিন্ন জায়গায় যদি প্রয়োজন হয়, তাহলে যেন স্বল্প সময়ে পাঠাতে পারি সেজন্য শুক্রবার থেকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
ভোটারদের উদ্দেশে সেনাপ্রধান বলেন, আমি জনগণের জন্য না, ভোটারদের জন্য বলবো, আপনারা নির্ভয়ে ভোট দিতে যাবেন। আপনার ভোটটা দেবেন। আমরা আশেপাশেই থাকবো। শুধু আমরাই না, অন্যান্য ল ইনফোর্স এজেন্সির সাথে সমন্বয় করে আশেপাশেই থাকবো। নির্ভয়ে ভোট দিতে যাবেন। আমরা সাধ্যমতো চেষ্টা করবো, কেউ যেন কোনো অরাজকতা সৃষ্টি করতে না পারে। আমরা নিরাপত্তা দিতে চেষ্টা করবো। এরপর সেনাবাহিনী প্রধান শনিবার রাজধানীর বিভিন্ন সেনা ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।