Inqilab Logo

শনিবার ৩০ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৭ জামাদিউল সানী ১৪৪৬ হিজরি

ভিন্নমাত্রায় জাতীয় নির্বাচন

ইভিএমে ভোট ও সব দলের অংশগ্রহণ

পঞ্চায়েত হাবিব | প্রকাশের সময় : ৩০ ডিসেম্বর, ২০১৮, ১২:০৩ এএম

একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট আজ রোববার। সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে টানা ভোটগ্রহণ। বিকার ৪টার পর থেকে কেন্দ্র থেকে আসনভিত্তিক ফল একত্রিত করে রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয় থেকে ফল ঘোষনা করা হবে। আর নির্বাচন ভবন থেকে বিটিভির সহায়তায় বেসরকারিভাবে সরাসরি ফলাফল প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন
৩০০ আসনে মধ্যে নির্বাচন হচ্ছে ২৯৯টি আসনে। মোট প্রার্থী ১ হাজার ৮ ৬১জন। এর মধ্যে ২৩জনের প্রার্থীতা স্থগিত রয়েছে। এবার নারী প্রার্থঅর সংখ্যা বাড়ছে। মোট নারী প্রার্থী ৬৮জন, এর মধ্যে আওয়ামী লীগে নারী প্রার্থী ২০জন, বিএনপির নারী প্রার্থী ১৪জন এবং অন্যান্য রাজনীতিক দলের নারী ৩৪জন। সংখ্যালঘু প্রার্থী সরকারী দলে ১৮জন, বিএনপির ৬ জন এবং সিপিবি ১৭ জন। নতুন প্রার্থীর ক্ষেত্রে সরকারি দল বিএনপির চেয়ে পিছিয়ে রয়েছে এবার। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের নতুন ৪৯জন প্রার্থী এবং বিএনপিতে ৮৮জন। ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন (ইসি) ২৯৯ আসনের চূড়ান্ত প্রতিদ্ব›দ্বীর যে তালিকা প্রকাশ করেছে। এর মধ্যে মহাজোটের প্রধান শরিক আওয়ামী লীগ লড়ছে ২৬০টি আসনে। দলটি শরিকদের সঙ্গে নৌকা নিয়ে লড়ছে ২৭২টি আসনে। বাকি আসনে শরিকেরা নিজেদের প্রতীক নিয়ে লড়ছে। মহাজোটের অংশ হলেও জাতীয় পার্টি লড়ছে ১৭৫টি আসনে। বিএনপির নেতৃত্বাধীন জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট লড়ছে ২৮৪টি আসনে। ১৬টি আসনে তাদের কোনো প্রার্থী নেই। তবে শেষ মুহূর্তে এসে তারা এসব আসনের কয়েকটিতে স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সমর্থন দিয়েছে। এই জোটের বিএনপি লড়ছে ২৫৮টি আসনে। শরিকদের সঙ্গে ধানের শীষ প্রতীক নিয়ে লড়ছে ২৮৩টি আসনে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির নেতৃত্বাধিন জোট-মহাজোটের ক্ষেত্রে নতুন মেরুকরণ তৈরি হয়েছে এবার রাজনৈতিক অঙ্গনে। যা বিগত ১০টি জাতীয় নির্বাচন থেকে ব্যতিক্রম। এবার সাধারণ মানুষ ও ভোটার এবং সর্বোপরি রাজনৈতিক দলগুলো যা ভাবেনি, তাই ঘটেছে এবারের নির্বাচনে। জোট-মহাজোট সম্প্রসারণের মাধ্যমে ভোটে শক্তি প্রদর্শনের চেষ্টায় কেউ কারো থেকে পিছিয়ে নেই। টানা দুই মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা আওয়ামী লীগ নির্বাচনের প্রচারণাসহ সব দিক থেকে সুবিধাজনক অবস্থায় থাকলেও সেদিক থেকে নাজুক অবস্থানে ছিল বিএনপি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার দুই থেকে তিন মাস আগেও মানুষের ভাবনার জগতে ছিল না, বিএনপি নির্বাচনে ঘূরে দাঁড়াতে পারবে, সব আসনে প্রাথী দিতে পারবে কিংবা একটি প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ নির্বাচন হবে।
জাতীয় সংসদ নির্বাচন নানা কারণে আলোচনায় থাকবে। কারণ এ নির্বাচনে নতুন নতুন বৈশিষ্ট যোগ হয়েছে। এর মধ্যে বেশির ভাগ রাজনৈতিক দলের আপত্তির পরও যুক্ত করা হয়েছে আলোচিত ও বিতর্কিত ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম)। এছাড়া নিবন্ধিত ৩৯ রাজনৈতিক দলের বাইরে অনিবন্ধিত কিছু দল এ নির্বাচনে নিবন্ধিত দলের ব্যানারে নির্বাচনে অংশ নিয়ে নতুন মাত্রা যোগ করেছে, যা বিগত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত ছিল অকল্পনীয়।
ভোটগ্রহণ উপলক্ষ্যে আজ সারাদেশে সাধারণ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। দেশজুড়ে বিরাজ করছে সাজ সাজ রব। উৎসবমূখর পরিবেশ বিরাজ করছে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনসহ আশপাশ এলাকাজুড়ে। নির্বাচনের প্রস্তুতি আগেই শেষ করেছে সাংবিধানিক সংস্থাটি। এখন চলছে ফলাফল প্রকাশের প্রস্তুতির পাশাপাশি সারাদেশের নির্বাচনের সার্বিক তদারকি কাজ। নির্বাচন কমিশন আশা করছে, এবারের নির্বাচনটি শান্তিপূর্ণ হবে। ভোট বিপ্লব ঘটবে দেশজুড়ে। জনগণ তাদের পছন্দের প্রার্থীর পক্ষে রায় প্রদান করবেন নির্বিঘ্নে। সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের ভোটদান নিশ্চিত করতে সব ধরণের প্রস্তুতি নিয়েছে কমিশন। বাড়তি নজরদারি থাকছে দেশের সব ভোট কেন্দ্রে। তিন স্তরের নিরাপত্তায় মোতায়েন রয়েছে প্রায় ৭ লাখের বেশি আইন-শৃঙখলা বাহিনীর সদস্য। এর মধ্যে ভোটকেন্দ্র পাহারায় থাকছে পুলিশ, আনসার ও গ্রাম পুলিশের ৬ লাখ ৮ হাজার সদস্য। বাড়তি নিরাপত্তায় মোতায়েন রয়েছে সশস্ত্রবাহিনীর সদস্য। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটারদের সুবিধার্থে ভোটকেন্দ্রের তথ্য জানার জন্য শর্ট মেসেজ সার্ভিস এসএমএস ব্যবস্থা চালু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ সার্ভিস শুধু মহানগর এলাকার বাসিন্দারা পাবেন।
এদিকে, গত ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারি দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরবর্তী সরকার গঠন, এর পর থেকেই অপেক্ষায় ছিল গোটাজাতি আরেকটি নির্বাচনের দৌরাত্ব দেখার জন্য। ওই নির্বাচনে বিএনপি-জামায়াতসহ বেশির ভাগ দল অংশ নেয়নি। কিন্তু এবার সব রাজনৈতিক দল ও জোট নির্বাচনে অংশ নেয়ায় ওই নির্বাচন থেকে এবারের নির্বাচনের পরিবেশ-আমেজ ভিন্নতর। রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট এবং মরা-বাঁচার লড়াই ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও বিএনপির জন্য। তবে, নির্বাচন যাই হোক, অন্য দল ও প্রতীক ছাপিয়ে মূল লড়াই এসে দাঁড়িয়েছে নৌকা-ধানের শীষের মধ্যে। প্রশ্ন উঠেছে, সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় থাকবে নাকি পরিবর্তন হবে। তবে, জয়-পরাজয় যাই হোক, সরকারে থাকবে হয় আওয়ামী লীগ না হয় বিএনপি
এ নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে পরাস্পর বিরোধী অভিযোগ অব্যাহত আছে। নির্বাচনে কেউ কাউকে ছাড় না দিতে শেষ পর্যন্ত নির্বাচনে থাকার ঘোষনা দিয়েছে নৌকা-ধানের শীষবিএনপির অভিযোগ, সরকারি দল পুলিশ দিয়ে তাদের পোলিং এজেন্টদের হয়রানি করছে। কেন্দ্রে যেতে ভয়ভীতি দেখাচ্ছে নৌকার ভিন্ন মতাদর্শের নাগরিক ও ভোটারদের। তবে, এ অভিযোগ নাকচ করে আওয়ামী লীগ বলছে, নির্বাচনে পরাজয় নিশ্চিত হয়েই আবোল-তাবোল প্রলাপ করছে বিএনপি। নির্বাচন সুষ্ঠ‚ হবে এবং নৌকায় সরকার গঠন করবে এটা সুনিশ্চিত বলে আত্মতৃপ্তিতে ভূগছে টানা দু’মেয়াদে সরকারে থাকা আওয়ামী লীগ।
এদিকে, এবারের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নতুন আকর্ষণ ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ। জাতীয় নির্বাচনে আইন সংশোধনের মাধ্যমে এ প্রযুক্তির প্রবর্তন করে নতুন ইতিহাস রচনা করেছে কে এম নুরুল হুদার কমিশন। এর আগে এক-এগারো ড. শামসুল হুদার কমিশন ইভিএম স্থানীয় সরকার নির্বাচনে ব্যবহার করে ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করে। একাদশ সংসদ নির্বাচনে ৩০০ সংসদীয় আসনের মধ্যে ৬টি আসনের সব কেন্দ্রে এ প্রযুক্তি ব্যবহার হচ্ছে। ফলে ব্যালটে ভোটের প্রায় দুই-থেকে তিন ঘন্টা আগেই ওই টি আসনের ফল জেনে যাবেন দেশবাসী।
তবে, এবার দেশী-বিদেশী পর্যবেক্ষক, সাংবাদিক ও কূটনীতিক সব মিলিয়ে প্রায় ৫ হাজারের বেশি এ নির্বাচনে ভোট পর্যবেক্ষণ করবে। এর মধ্যে বিদেশী ১০ সংস্থার পর্যবেক্ষক ৩৮ জন, বিদেশী কূটনীতিক ৬৬জন, বাংলাদেশে অবস্থানরত বিদেশী কূটনীতিক ৬১জন এবং ১০০জন বিদেশী সাংবাদিক এ নির্বাচনে পর্যবেক্ষণ করবেন। গত দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাত্র ২জন বিদেশী পর্যবেক্ষক এ নির্বাচন পর্যবেক্ষন করেছিল। দেশী পর্যবেক্ষক ৮১ সংস্থার ২৫ হাজার জন ও দেশী সাংবাদিকসহ সব মিলিয়ে ৩৫ হাজারের উপরে এ নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করবে।
এবার একাদশ জাতীয় নির্বাচনে নতুন প্রায় ১ কোটি ২৩ লাখ ভোটার প্রথমবারের মতো জাতীয় নির্বাচনে ভোট দেবেন। এসব ভোটার জয়-পরাজয়ে বড় ফ্যাক্টর হতে পারে। দশ বছর পর জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি মুখোমুখি হয়েছে। এ নির্বাচনে নিবন্ধিত সবকটি (৩৯টি) রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। এ নির্বাচনে সবমিলিয়ে ১ হাজার ৮৬১ জন প্রার্থী প্রতিদ্ব›িদ্বতা করছেন। এর মধ্যে রাজনৈতিক দলের প্রার্থী প্রায় ১ হাজার ৭৩৩জন। বাকিরা অর্থাৎ ১২৮ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী। নির্বাচনে বিপুল সংখ্যক রাজনৈতিক দল ও প্রার্থী অংশ নেয়ায় এবার একটি অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হতে যাচ্ছে। সর্বশেষ ২০০৮ সালের ২৯ ডিসেম্বর অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হয়েছিল। তত্ত্বাবধায়ক ইস্যুতে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বিএনপিসহ বেশিরভাগ দল বর্জন করেছিল। এবারের নির্বাচনে সব দল অংশ নেয়ায় সারাদেশে নির্বাচনী আবহ বিরাজ করছে।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এবার তিনশ’ আসনে মোট ভোটকেন্দ্র ৪০ হাজার ১৮৩টি যার মধ্যে স্থায়ী কেন্দ্র ৪০ হাজার ১৫৬টি ও অস্থায়ী ২৭টি। আর ২ লাখ ৭ হাজার ৩১২টি ভোট কক্ষের মধ্যে স্থায়ী কক্ষ ১ লাখ ৯৫ হাজার ৯৬০টি ও অস্থায়ী কক্ষ ১১ হাজার ৩৫২টি। এবার কোটির উপরে নতুন ভোটার সহ মোট ভোটার ১০ কোটি ৪২ লাখ ৩৮ হাজার ৬৭৭ জন। তবে, মহিলাদের চেয়ে পুরুষ ভোটার বেশি যার মধ্যে ভোটের ব্যবধান প্রায় ৯ লাখ। এবার পুরুষ ভোটার ৫ কোটি ২৫ লাখ ৭২ হাজার ৩৬৫জন এবং মহিলা ৫ কোটি ১৬ লাখ ৬৬ হাজার ৩১২জন। নির্বাচনে ভোটারদের ভোটদানে সহায়তা করার জন্য ৬ লাখ ৬২ হাজার ১১৯জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা দায়িত্ব পালন করছেন। এর মধ্যে প্রিজাইডিং অফিসার ৪০ হাজার ১৮৩জন, সহকারি পিজাইডিং অফিসার ২ লাখ ৭ হাজার ৩১২জন এবং পোলিং অফিসার ৪ লাখ ১৪ হাজার ৬২৪জন।
ভোটকেন্দ্রে যা নিতে পারবেন, যা পারবেন না।
আজ সকাল ৮টা থেকে বিরামহীন ভাবে বিকাল ৪টা পর্যন্ত। তাই ভোট দিতে যাবার আগে জেনে নিন ভোটকেন্দ্রে যা সঙ্গে নিতে পারবেন। আর যা সঙ্গে নিতে পারবেন না। ভোটাররা শুধু ভোটের স্লিপ নিতে পারবেন। যেখানে ভাটারের নাম, কেন্দ্র ও একটি সিরিয়াল নাম্বার দেওয়া থাকে। জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড নিয়েও কেন্দ্রে যেতে পারেন, তবে সেটা বাধ্যতামূলক নয়। ভোটকেন্দে দাহ্য পদার্থ, আগ্নেয়াস্ত্র বা ধারালো কিছু সঙ্গে নেয়া যাবে না। ভোট দেয়ার মোবাইল ফোন সময় বন্ধ করে রাখতে হবে। ভোট দিতে যাবার সময় আপনার পছন্দ অনুযায়ী পোশাক পরিধান করতে পারবেন। তবে কোন ভোটার যদি নেকাপ পরে থাকেন, তাহলে পরিচয় শনাক্তের জন্য পোলিং এজেন্টকে ভোটারের একবারের জন্য মুখ দেখাতে হতে পারে। ভোটকেন্দ্রে শিশুদের না নেওয়ার অনুরোধ করেছে ইসি। তবে গর্ভবতী নারী, অন্ধ, প্রতিবন্ধী বা প্রবীণ ভোটার তাদের সঙ্গে একজন সহায়ক ব্যক্তি রাখতে পারবেন।
মোবাইল এসএমএসে জানা যাবে ভোটকেন্দ্রর তথ্য
এবার নির্বাচনে ভোটারদের সুবিধার্থে ভোটকেন্দ্রের তথ্য জানার জন্য শর্ট মেসেজ সার্ভিস এসএমএস ব্যবস্থা চালু করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। তবে এ সার্ভিস শুধু মহানগর এলাকার বাসিন্দারা পাবেন বলে ইসির তরফ থেকে জানানো হয়েছে। ভোটাররা এসএমএস সার্ভিসের সুবিধাটি গতকাল শনিবার দুপুর ১টার পর থেকে পাবেন। ঢাকা ও চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনসহ অন্যান্য সিটি করপোরেশন এলাকার ভোটাররা এ সুবিধা পাবেন।এ সংক্রান্ত একটি এসএমএস অনেক ভোটারকেই পাঠানো হয়েছে।



 

দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।

ঘটনাপ্রবাহ: জাতীয় সংসদ নির্বাচন

৬ ফেব্রুয়ারি, ২০১৯

আরও
আরও পড়ুন
এ বিভাগের অন্যান্য সংবাদ
গত​ ৭ দিনের সর্বাধিক পঠিত সংবাদ