পটুয়াখালীর যুবক ক্বারী সাইয়্যেদ মুসতানজিদ বিল্লাহ রব্বানীর কোরআন তেলাওয়াতে মুগ্ধ যুক্তরাষ্ট্রবাসী
ইসলামি সভ্যতা ও সংস্কৃতি বিকাশে বাংলাদেশের অবদান অনস্বীকার্য। এদেশে ইসলামি সংস্কৃতি চর্চার ইতিহাস অনেক প্রাচীন।
ভারতীয় দৈনিক দ্য ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সঙ্গে এক সাক্ষাতকারে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা ভারতের সঙ্গে বন্ধুত্ব চাই এবং আমাদের নিয়ে ভারতের যে ধারণা আছে তার সঙ্গে দ্বিমত পোষণ করছি। কারণ আমরা সাম্প্রদায়িকতা, মৌলবাদে বিশ্বাস করি না। এটা পুরোপুরি ভ্রান্ত ধারণা যে, আমরা ভারতবিরোধী। এটা আওয়ামী লীগের অপপ্রচারের অংশ।’
ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা উদার গণতান্ত্রিক দল। আমরা অর্থনৈতিক উন্নয়ন, সামাজিক ও অর্থনৈতিক অগ্রগতির জন্য উন্মুখ হয়ে আছি। তবে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, আমরা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি ১৯৯১ সালে বহুদলীয় গণতন্ত্র পুনরুজ্জীবিত করেছে; যখন স্বৈরশাসক হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনের অবসান ঘটে।’
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে মির্জা ফখরুল জানান, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে স¤প্রতি প্রতিবেশী ভারতের ক্ষমতাসীন সরকারের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। সিঙ্গাপুরে ভারতীয় শীর্ষ পর্যায়ের সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠকের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ভারতের পক্ষ থেকে তাতে সাড়া মেলেনি। এ নিয়ে কার্যত তার কণ্ঠে উঠে এসেছে হতাশার সুর।
বিএনপির এই মহাসচিব বলেন, ‘আমরা দেশের বাইরে ভারতীয় নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের চেষ্টা করেছি। আমরা ভারতীয় হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ চেয়েছিলাম এবং তিনবার সাক্ষাৎ করেছি। কিন্তু এতে মনে হয়েছে, ভারতীয় কূটনীতিকরা বিএনপির সঙ্গে আলোচনায় বসতে আগ্রহী নন। সম্ভবত বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে ভারতীয় কূটনীতিকরা শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি চান না।’
তবে ঢাকায় নিযুক্ত ভারতীয় কূটনীতিকরা বলছেন, বিএনপি তাদের ক্ষমতার মেয়াদে করা কর্মের প্রায়শ্চিত্ত করছে। কিন্তু ফখরুল বলেন, আমরা ভারতের কাছে পৌঁছানোর চেষ্টা করেছি। এমনকি ২০১২ সালে নয়াদিল্লিতে বেগম খালেদা জিয়ার সফরের সময়ও। ২০১৪ সালে বিজেপি ক্ষমতায় আসার পর আমরা ভেবেছিলাম পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে। মোদির সঙ্গে অত্যন্ত ফলপ্রসূ বৈঠক করেছিলেন খালেদা জিয়া। কিন্তু তারপর আর কোনো কিছুর পরিবর্তন ঘটেনি। কোনো ফলোআপও নেই।
মির্জা ফখরুল বলেন, আমরা হতাশ হয়েছিলাম। চলতি বছরের আগস্টে আমরা বিজেপির সাধারণ সম্পাদক রাম মাদভের সঙ্গে ব্যাংককে বৈঠকের চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু ভারতীয় পক্ষ এ বৈঠকের ব্যাপারে কোনো সাড়া দেয়নি।
প্রসঙ্গত, বিএনপির চেয়ারপারসন কারাবন্দি খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিএনপির নেতৃত্ব দিচ্ছেন মূলত ফখরুলই। এছাড়া খালেদা জিয়ার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান দীর্ঘদিন ধরে লন্ডনে। দুর্নীতির অভিযোগে গত ফেব্রুয়ারিতে দলটির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে কারাদন্ডের আদেশ দেন ঢাকার আদালত। তখন থেকেই দলের মুখপাত্রের ভূমিকায় ফখরুল। গত দুই মাসে নির্বাচনী প্রচারণার অংশ হিসেবে অন্তত দুই শতাধিক বক্তৃতা করেছেন তিনি। বাংলাদেশের প্রধান এই বিরোধী দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ভারতীয় দৈনিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বিশেষ এক সাক্ষাৎকার দিয়েছেন।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।