পোশাক রপ্তানিতে উৎসে কর ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব
আগামী পাঁচ বছরের জন্য তৈরি পোশাক রপ্তানির বিপরীতে প্রযোজ্য উৎসে করহার ১ শতাংশ থেকে হ্রাস করে ০.৫ শতাংশ নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে পোশাক খাতের দুই সংগঠন
গত দুই মাসে চা বিক্রি বেড়েছে ২৫-৩০ শতাংশ। এবারের নির্বাচনে বড় সব রাজনৈতিক দল অংশ নিয়েছে। ইউনিয়নে, ওয়ার্ডে নির্বাচনী ক্যাম্প খুলেছেন প্রার্থীরা। সেখানে দিনরাত উপস্থিত থাকছেন নেতা-কর্মীরা। আসছে কাপের পর কাপ চা। অবশ্য আওয়ামী লীগের প্রধান বিরোধী পক্ষ ঐক্যফ্রন্ট অনেক আসনেই ভোটের মাঠে। তাদের ক্যাম্পের সংখ্যা কম। প্রচারেও জোর কম। ঐক্যফ্রন্টের প্রধান শরিক বিএনপির অভিযোগ, মামলা-হামলায় তারা কোনো প্রচার চালাতে পারছে না। তারা সক্রিয় থাকলে চা বিক্রি আরও বাড়তো বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
চায়ের বাজারের শীর্ষ কোম্পানি ইস্পাহানি মির্জাপুর টি’র মহাব্যবস্থাপক (বিপনন) ওমর হান্নান বলেন, সাধারণ গড়ের চেয়ে নির্বাচন ঘিরে চা’র বিক্রি বেড়েছে ১০-১৫ শতাংশ। তবে চাহিদা আরও বাড়বে বলে আশা করেছিলাম। তিনি বলেন, শীতের প্রভাবেই দেশব্যাপি চাহিদা বেড়েছে। নির্বাচন তেমন প্রভাব ফেলেনি। তবে সার্বিকভাবে দু’টোর প্রভাবই রয়েছে।
সূত্র মতে, দেশে বর্তমানে নিবন্ধিত চা-বাগানের সংখ্যা ১৬৪। চা বোর্ডের হিসাবে, ২০১৬ সালে দেশে রেকর্ড পরিমাণ আট কোটি ৫০ লাখ ৫০ হাজার কেজি চা উৎপাদিত হয়। গত বছর চা উৎপাদন নেমে আসে ৭ কোটি ৮৯ লাখ ৪৯ হাজার কেজিতে। এ বছরের নভেম্বর মাস পর্যন্ত চলতি বছরের ১১ মাসে ৭ কোটি ৬০ লাখ কেজি চা উৎপাদিত হয়েছে। এ ছাড়া প্রায় ৭৪ লাখ ৪০ হাজার কেজি চা আমদানি হয়েছে চলতি বছরে।
নভেম্বর মাসে নিলামে প্রতি কেজি নতুন ও পুরোনো মৌসুমের চায়ের গড় দাম দাঁড়িয়েছে ২৯৮ টাকা। চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরের জুলাই থেকে নভেম্বর সময়ে গড় মূল্য দাঁড়িয়েছে কেজিপ্রতি ২৭৪ টাকা, যা আগের অর্থবছরের চেয়ে ৪৪ টাকা বেশি। ফলে বাগানমালিকেরা চায়ের ভালো দাম পাচ্ছেন।
নির্বাচনের আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হয় ১০ ডিসেম্বর থেকে। শুক্রবার সকাল পর্যন্ত প্রচারের সময় ছিল। বেচাবিক্রি কেমন হলো জানতে চাইলে কারওয়ান বাজারের কিচেন মার্কেটের মিতা টি হাউসের বিক্রেতা তারেক হোসেন বলেন, নির্বাচনের জন্য বাড়তি কোনো চাহিদা দেখিনি। শীতে একটু বেশি বিক্রি হয়। সেটাই হচ্ছে। তিনি বলেন, ঢাকায় তো নির্বাচনের তেমন আমেজই দেখি না।
মিতা টি হাউসে চায়ের দর সাধারণ খুচরা দোকানের চেয়ে কম। সেখানে প্রতি কেজি ভালো মানের খোলা চা ৪২০ টাকায় বিক্রি হয়। আর বিভিন্ন ব্র্যান্ডের চা বিক্রি হয় কেজিপ্রতি ৪০০ টাকার আশপাশের দরে। তারেক হোসেন বলেন, খোলার চা-পাতার মধ্যে ৩৫০-৩৮০ টাকা দরে কিছু চা বিক্রি হয়।
দৈনিক ইনকিলাব সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।